দিনাজপুর-চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদায় আজ থেকে কঠোর লকডাউন

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় আজ থেকে ৭ ও ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পর্যালোচনা বৈঠক শেষে এ কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

জেলাবার্তা পরিবেশক ও প্রতিনিধির পাঠানো খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

দিনাজপুর : করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুর সদর উপজেলায় আজ থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে দিনাজপুর জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটি।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত দিনাজপুর জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আজ সকাল ৬টা থেকে ২১ জুন সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন চলাকালে দিনাজপুর সদর উপজেলার কোন মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারবে না। মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, কার-মাইক্রোবাসসহ সবপ্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে, ওষুধ ও অত্যাবশকীয় পণ্য ব্যাতীত সদর উপজেলার সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুর জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সদর উপজেলায় আরও ১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪৪ জনে।

দিনাজপুরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ সংক্রান্ত নিয়মিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সিভিল সার্জন ডা. আবদুল কুদ্দুছ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল জেলায় ১৮৪টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন আরও ৭০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।

এ নিয়ে জেলায় শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ হাজার ৩৪১ জনে। শনাক্ত হওয়া ৭০ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৯ জন, বিরামপুর উপজেলায় ২৩ জন, ফুলবাড়ী উপজেলায় ১ জন, ঘোড়াঘাটে উপজেলায় ২ জন, হাকিমপুর উপজেলায় ১১ জন, কাহারোল উপজেলায় ১ জন ও খানসামা উপজেলায় ১ জন।

চুয়াডাঙ্গা : করোনার সংক্রমণ বাড়ায় সীমান্তবর্তী চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জরুরি সভায় ওই সিদ্ধান্ত জানান জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। আজ সকাল ৬টা থেকে আগামী ১৪ দিন লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। সভায় পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শনাক্তের হার ৪৩ দশমিক ১৮। সপ্তাহ জুড়েই এ হারে করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এর আগে শনিবার ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৭ জন করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ছিল ৬৬ দশমিক শূন্য ৭। গত রোববার দামুড়হুদায় আরও একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত একেএম ফজলুল হক ওরফে বাবু (৫২) উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত ভূন্দা উস্তাগারের ছেলে ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলি আজগার টগরের ভাগ্নে। গত রোববার রাতে ঢাকায় নেয়ার পথে সে মারা যায়। সে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল করোনা ইউনিটে ভর্তি ছিল। জেলায় নতুন শনাক্তকৃত ৫৭ জনের মধ্যে ৩৫ জনই দামুড়হুদার। ১৩ জন সদর উপজেলার। আলমডাঙ্গা উপজেলার ২ জন ও জীবননগর উপজেলার ৭ জন। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩২২ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ৩৭ জন, বাড়িদত ২৮৩ জন, রেফাড রয়েছেন ৩ জন। দামুড়হুদার ৩৫ জনের মধ্যে অধিকাংশের বাড়িই মুক্তারপুরে। এই গ্রামটিসহ ১৮টি গ্রাম এ মাসের শুরুর দিকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। আজ সকাল ৬টা থেকে আগামী ১৪ দিন দামুড়হুদা উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি না করার সিদ্ধান্ত

সাতক্ষীরা

সংক্রমণের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৪টি। শতকরা হারে যা ৪৭ শতাংশ। এর আগের দিন করোনা সংক্রমণের হার ছিল ৬৪ শতাংশ। যেটা ছিল জেলায় করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

সরেজমিন দেখা গেছে, সাতক্ষীরায় ঢিলেঢালাভাবে চলছে দ্বিতীয় দফা লকডাউনের তৃতীয় দিন। বিকেল পাঁচটা থেকে পরের দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত অরক্ষিত থাকছে সবকিছু। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরে কিছুটা কড়াকড়ি থাকলেও গ্রামাঞ্চলে লকডাউন মানছেননা কেউ।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নতুন করে আর কোন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত রোববার সাতক্ষীরা জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, এখন থেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি করা হবে না। বরং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের জন্য আরও ১০০ বেড স্থাপন করা হবে।

রাজশাহীতে আরও ১২ মৃত্যু

রাজশাহী : রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, মারা যাওয়া ১২ জনের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও পাঁচজন মহিলা। এদের মধ্যে রাজশাহীর তিনজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছয়জন, নাটোরের দুইজন ও মেহেরপুরের একজন। চলতি মাসের গত ১৪ দিনে (১ জুন সকাল ৬টা থেকে ১৪ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১৩৬ জন। এর মধ্যে ৮০ জনই মারা গেছেন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। এর মধ্যে ১ জুন, ৭ জন, ২ জুন ৭ জন, ৩ জুন নয়জন, ৪ জুন ১৬ জন, ৫ জুন ৮ জন, ৬ জুন ৬ জন, ৭ জুন ১১ জন, ৮ জুন ৮ জন, ৯ জুন ৮ জন, ১০ জুন ১২ জন, ১১ জুন ১৫ জন, ১২ জুন ৪ জন, ১৩ জুন ১৩ জন ও ১৪ জুন ১২ জন মারা যান।

হাসপাতালের পরিচালক শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ৩৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচ, নওগাঁ ও পাবনার দুইজন করে এবং নাটোর ও কুষ্টিয়ার একজন করে। একই সময় সুস্থ হয়েছে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২৬ জন।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহী নগরের এখন লকডাউন চলছে। আশা করছি দুই সপ্তাহ সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়ন হলে ভালো ফল পাব।

মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১ , ১ আষাড় ১৪২৮ ৩ জিলকদ ১৪৪২

দিনাজপুর-চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদায় আজ থেকে কঠোর লকডাউন

সংবাদ ডেস্ক

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় আজ থেকে ৭ ও ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পর্যালোচনা বৈঠক শেষে এ কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

জেলাবার্তা পরিবেশক ও প্রতিনিধির পাঠানো খবরে এ তথ্য জানা গেছে।

দিনাজপুর : করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুর সদর উপজেলায় আজ থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে দিনাজপুর জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটি।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত দিনাজপুর জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আজ সকাল ৬টা থেকে ২১ জুন সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন চলাকালে দিনাজপুর সদর উপজেলার কোন মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারবে না। মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, কার-মাইক্রোবাসসহ সবপ্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে, ওষুধ ও অত্যাবশকীয় পণ্য ব্যাতীত সদর উপজেলার সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুর জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সদর উপজেলায় আরও ১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪৪ জনে।

দিনাজপুরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ সংক্রান্ত নিয়মিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সিভিল সার্জন ডা. আবদুল কুদ্দুছ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল জেলায় ১৮৪টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন আরও ৭০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।

এ নিয়ে জেলায় শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬ হাজার ৩৪১ জনে। শনাক্ত হওয়া ৭০ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৯ জন, বিরামপুর উপজেলায় ২৩ জন, ফুলবাড়ী উপজেলায় ১ জন, ঘোড়াঘাটে উপজেলায় ২ জন, হাকিমপুর উপজেলায় ১১ জন, কাহারোল উপজেলায় ১ জন ও খানসামা উপজেলায় ১ জন।

চুয়াডাঙ্গা : করোনার সংক্রমণ বাড়ায় সীমান্তবর্তী চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জরুরি সভায় ওই সিদ্ধান্ত জানান জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। আজ সকাল ৬টা থেকে আগামী ১৪ দিন লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। সভায় পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শনাক্তের হার ৪৩ দশমিক ১৮। সপ্তাহ জুড়েই এ হারে করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এর আগে শনিবার ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৭ জন করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ছিল ৬৬ দশমিক শূন্য ৭। গত রোববার দামুড়হুদায় আরও একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত একেএম ফজলুল হক ওরফে বাবু (৫২) উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত ভূন্দা উস্তাগারের ছেলে ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলি আজগার টগরের ভাগ্নে। গত রোববার রাতে ঢাকায় নেয়ার পথে সে মারা যায়। সে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল করোনা ইউনিটে ভর্তি ছিল। জেলায় নতুন শনাক্তকৃত ৫৭ জনের মধ্যে ৩৫ জনই দামুড়হুদার। ১৩ জন সদর উপজেলার। আলমডাঙ্গা উপজেলার ২ জন ও জীবননগর উপজেলার ৭ জন। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩২২ জন। এরমধ্যে হাসপাতালে ৩৭ জন, বাড়িদত ২৮৩ জন, রেফাড রয়েছেন ৩ জন। দামুড়হুদার ৩৫ জনের মধ্যে অধিকাংশের বাড়িই মুক্তারপুরে। এই গ্রামটিসহ ১৮টি গ্রাম এ মাসের শুরুর দিকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। আজ সকাল ৬টা থেকে আগামী ১৪ দিন দামুড়হুদা উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি না করার সিদ্ধান্ত

সাতক্ষীরা

সংক্রমণের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৪টি। শতকরা হারে যা ৪৭ শতাংশ। এর আগের দিন করোনা সংক্রমণের হার ছিল ৬৪ শতাংশ। যেটা ছিল জেলায় করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ রেকর্ড।

সরেজমিন দেখা গেছে, সাতক্ষীরায় ঢিলেঢালাভাবে চলছে দ্বিতীয় দফা লকডাউনের তৃতীয় দিন। বিকেল পাঁচটা থেকে পরের দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত অরক্ষিত থাকছে সবকিছু। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরে কিছুটা কড়াকড়ি থাকলেও গ্রামাঞ্চলে লকডাউন মানছেননা কেউ।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নতুন করে আর কোন করোনা আক্রান্ত রোগী ভর্তি না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত রোববার সাতক্ষীরা জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, এখন থেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি করা হবে না। বরং সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের জন্য আরও ১০০ বেড স্থাপন করা হবে।

রাজশাহীতে আরও ১২ মৃত্যু

রাজশাহী : রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি বলেন, মারা যাওয়া ১২ জনের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও পাঁচজন মহিলা। এদের মধ্যে রাজশাহীর তিনজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছয়জন, নাটোরের দুইজন ও মেহেরপুরের একজন। চলতি মাসের গত ১৪ দিনে (১ জুন সকাল ৬টা থেকে ১৪ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১৩৬ জন। এর মধ্যে ৮০ জনই মারা গেছেন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। এর মধ্যে ১ জুন, ৭ জন, ২ জুন ৭ জন, ৩ জুন নয়জন, ৪ জুন ১৬ জন, ৫ জুন ৮ জন, ৬ জুন ৬ জন, ৭ জুন ১১ জন, ৮ জুন ৮ জন, ৯ জুন ৮ জন, ১০ জুন ১২ জন, ১১ জুন ১৫ জন, ১২ জুন ৪ জন, ১৩ জুন ১৩ জন ও ১৪ জুন ১২ জন মারা যান।

হাসপাতালের পরিচালক শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৪ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ৩৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁচ, নওগাঁ ও পাবনার দুইজন করে এবং নাটোর ও কুষ্টিয়ার একজন করে। একই সময় সুস্থ হয়েছে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২৬ জন।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহী নগরের এখন লকডাউন চলছে। আশা করছি দুই সপ্তাহ সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়ন হলে ভালো ফল পাব।