মায়ানমারে অপহরণের পর ২৫ শ্রমিককে হত্যা করেছে বিদ্রোহীরা

মায়ানমারে অপহরণের পর ২৫ শ্রমিককে হত্যা করেছে বিদ্রোহীরা। দেশটির পূর্বাঞ্চলের এক নির্মাণ স্থাপনায় মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি গোষ্ঠী ২৫ শ্রমিককে অপহরণের পর হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দেশটির জান্তা নিয়ন্ত্রিত একটি গণমাধ্যমের খবরে জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী কেএনডিও বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে। রয়টার্স

গত মাসে কেএনডিওর সদস্যরা একটি নির্মাণ স্থাপনার ৪৭ শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে ওই শ্রমিকদের অন্তত ২৫ জনকে হত্যা করে তারা। তবে এ অভিযোগের বিষয়ে কেএনডিওর মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। দেশটির জান্তা সরকারের একজন মুখপাত্রও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার এবং সেনা নিয়ন্ত্রিত মায়াবতী টেলিভিশনে প্রচারিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ঘন জঙ্গলের ভেতরে ২৫ জনের মরদেহ পড়ে আছে। এতে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছের মায়াবতী জেলার উহু ক্রিক সেতুতে কর্মরত ছিলেন এই শ্রমিকরা। গত ৩১ মে এ নির্মাণ স্থাপনার ৪৭ শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে যায় কেএনডিওর সদস্যরা। অপহরণকৃতদের মধ্যে ১০ শিশু ও ৬ নারীও ছিলেন।

দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মায়ানমার বলছে, গত ১১ জুন সাতজনের মরদেহ খোঁজ পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে একজনের মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং অন্যদের হাত পেছন থেকে বাঁধা ছিল। পরদিন আরও ১৮ জনের মরদেহ পাওয়া যায়। অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোতে তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে। প্রায় প্রত্যেকদিনের সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ বাস্ত্যুচুত হয়ে পড়েছেন। এদিকে সেনা অভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া মায়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির বিচার কাজ শুরু হলো গতকাল থেকে। গত নির্বাচনে প্রচারকালে করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ ভঙ্গের অভিযোগে সু চির বিচার হচ্ছে।

৭৫ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ী নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে প্রথম এই মামলার বিচার কাজ জুলাইয়ের শেষনাগাদ পর্যন্ত চলতে পারে বলে তার আইনজীবী জানিয়েছেন। মায়ানমারের জান্তা সরকারের দাবি, ক্ষমতায় থাকাকালে অং সান সু চি ঘুষ হিসেবে ইয়াঙ্গুনের মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ছয় লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ ও ১১ কেজি ৪০০ গ্রাম স্বর্ণ নিয়েছিলেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এর আগে জানায়, দাতব্য সংস্থা দাউ খিন কিই ফাউন্ডেশনের সভাপতি থাকাকালে সু চি জমির অপব্যবহার সম্পর্কিত অভিযোগের পাশাপাশি ঘুষ হিসেবে অর্থ ও স্বর্ণ গ্রহণ করেছিলেন।

গত ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর সু চির বিরুদ্ধে মোট ৬টি অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে একটি অবৈধভাবে ওয়াকিটকি কেনা। ওই সময় তাকে গ্রেপ্তার করে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। তার সঙ্গে সঙ্গে দলের অন্য নেতাদেরও আটক ও গৃহবন্দী করে রাখা হয়।

মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১ , ১ আষাড় ১৪২৮ ৩ জিলকদ ১৪৪২

মায়ানমারে অপহরণের পর ২৫ শ্রমিককে হত্যা করেছে বিদ্রোহীরা

মায়ানমারে অপহরণের পর ২৫ শ্রমিককে হত্যা করেছে বিদ্রোহীরা। দেশটির পূর্বাঞ্চলের এক নির্মাণ স্থাপনায় মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি গোষ্ঠী ২৫ শ্রমিককে অপহরণের পর হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দেশটির জান্তা নিয়ন্ত্রিত একটি গণমাধ্যমের খবরে জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী কেএনডিও বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হয়েছে। রয়টার্স

গত মাসে কেএনডিওর সদস্যরা একটি নির্মাণ স্থাপনার ৪৭ শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে ওই শ্রমিকদের অন্তত ২৫ জনকে হত্যা করে তারা। তবে এ অভিযোগের বিষয়ে কেএনডিওর মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। দেশটির জান্তা সরকারের একজন মুখপাত্রও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার এবং সেনা নিয়ন্ত্রিত মায়াবতী টেলিভিশনে প্রচারিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ঘন জঙ্গলের ভেতরে ২৫ জনের মরদেহ পড়ে আছে। এতে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছের মায়াবতী জেলার উহু ক্রিক সেতুতে কর্মরত ছিলেন এই শ্রমিকরা। গত ৩১ মে এ নির্মাণ স্থাপনার ৪৭ শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে যায় কেএনডিওর সদস্যরা। অপহরণকৃতদের মধ্যে ১০ শিশু ও ৬ নারীও ছিলেন।

দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মায়ানমার বলছে, গত ১১ জুন সাতজনের মরদেহ খোঁজ পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে একজনের মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং অন্যদের হাত পেছন থেকে বাঁধা ছিল। পরদিন আরও ১৮ জনের মরদেহ পাওয়া যায়। অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোতে তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে। প্রায় প্রত্যেকদিনের সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ বাস্ত্যুচুত হয়ে পড়েছেন। এদিকে সেনা অভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া মায়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির বিচার কাজ শুরু হলো গতকাল থেকে। গত নির্বাচনে প্রচারকালে করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ ভঙ্গের অভিযোগে সু চির বিচার হচ্ছে।

৭৫ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ী নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে প্রথম এই মামলার বিচার কাজ জুলাইয়ের শেষনাগাদ পর্যন্ত চলতে পারে বলে তার আইনজীবী জানিয়েছেন। মায়ানমারের জান্তা সরকারের দাবি, ক্ষমতায় থাকাকালে অং সান সু চি ঘুষ হিসেবে ইয়াঙ্গুনের মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ছয় লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ ও ১১ কেজি ৪০০ গ্রাম স্বর্ণ নিয়েছিলেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এর আগে জানায়, দাতব্য সংস্থা দাউ খিন কিই ফাউন্ডেশনের সভাপতি থাকাকালে সু চি জমির অপব্যবহার সম্পর্কিত অভিযোগের পাশাপাশি ঘুষ হিসেবে অর্থ ও স্বর্ণ গ্রহণ করেছিলেন।

গত ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর সু চির বিরুদ্ধে মোট ৬টি অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে একটি অবৈধভাবে ওয়াকিটকি কেনা। ওই সময় তাকে গ্রেপ্তার করে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। তার সঙ্গে সঙ্গে দলের অন্য নেতাদেরও আটক ও গৃহবন্দী করে রাখা হয়।