বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলের চেয়াপারসন খালেদা জিয়ার হার্ট, কিডনি ও লিভারে সমস্যা আছে। যে কারণে জ্বর চলে গেলে আবার জ্বর আসছে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘চিকিৎসকরা বারবার বলছেন, আমাদের হাসপাতালগুলো পুরোপুরি ইকুইপড না। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার টেকনোলজি এখানে কম। সে কারণে তারা (চিকিৎসক) বারবার করে বলছেন, তাকে (খালেদা জিয়া) একটা অ্যাডভান্স সেন্টারে চিকিৎসা করা উচিত।’
বিদেশ যাওয়ার অনুমতি না থাকায় আমরা আটকে গেছি : ‘সমস্যা হচ্ছে এখন পর্যন্ত ম্যাডামকে তো বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি। সেখানে আমরা আটকে গেছি। এখন আমরা আলোচনা করছি, চিন্তাভাবনা করছি, কী করা যায়।’- যোগ করেন ফখরুল। খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ নিয়ে রিট প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে ভদ্রলোক রিটটি করেছেন, তিনি এতে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না। ওনার জন্মদিনের ব্যাপারে কী আছে না আছে, এটা তো তাদের দায়িত্ব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘খেয়াল করে দেখবেন, বাংলাদেশের বহু লোকের কিন্তু জন্মের তারিখ একটা আসল, আর সার্টিফিকেটের তারিখ আরেকটা। কারণ কী, বিশেষ করে আমাদের জেনারেশনের সময়ে, তখন বাবা-মায়েরা সঠিকভাবে মনেও রাখতে পারতেন না, যে জন্ম কবে হয়েছে। ডায়েরি মেইনটেইন করতেন না। ফলে ওইটা হতে পারে। তো এটা কোন ইস্যু হতে পারে না।’
রাজনীতি তো নেই
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাজনীতি তো নেই। এখন এ ধরনের বিষয়গুলো তুলে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা, মূল সমস্যাগুলো থেকে জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে নেয়ার চেষ্টা করা।’ হাসপাতালের যে কাগজটির ওপর ভিত্তি করে আদালত খালেদা জিয়ার জন্মতারিখের নথিপত্র চেয়েছেন, সেই কাগজকে ‘ফেক, ফলস’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এভারকেয়ারের যে রিপোর্টের কথা বলা হয়েছে, এ ধরনের কোন রিপোর্টই এভারকেয়ার করেনি।’
টুইট-ফেইসবুক নিয়ে উদ্বেগ
খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি কোন টুইট করেননি দাবি করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমার এই টুইট, ফেইসবুকের রহস্য নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। এর আগে অনেকবার বলেছি, ফেইসবুকে বারবার চিঠি দিয়েছি, উকিল নোটিশ দিয়েছি। তারপরও আমার নামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট খোলা আছে।’
এজন্য সরকারি সংস্থাকে দায়ী করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা যতদূর জানি, যখন এসব মিডিয়ার মধ্যে গোয়েন্দারা ঢোকে, তখন তারা বিভিন্ন রকম তৈরি করে, এগুলো শোনা কথা। সেগুলো হচ্ছে। টুইটটা আমি দেখিওনি।’
টুইটটি বিএনআরসি (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) থেকে সাংবাদিকদের মেইলেও পাঠানো হয়েছে, এ কথা জানানো হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ওটা তো পার্টির টুইট। আমি দেখব বিএনআরসি যদি দিয়ে থাকে, আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১ , ১ আষাড় ১৪২৮ ৩ জিলকদ ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দলের চেয়াপারসন খালেদা জিয়ার হার্ট, কিডনি ও লিভারে সমস্যা আছে। যে কারণে জ্বর চলে গেলে আবার জ্বর আসছে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘চিকিৎসকরা বারবার বলছেন, আমাদের হাসপাতালগুলো পুরোপুরি ইকুইপড না। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার টেকনোলজি এখানে কম। সে কারণে তারা (চিকিৎসক) বারবার করে বলছেন, তাকে (খালেদা জিয়া) একটা অ্যাডভান্স সেন্টারে চিকিৎসা করা উচিত।’
বিদেশ যাওয়ার অনুমতি না থাকায় আমরা আটকে গেছি : ‘সমস্যা হচ্ছে এখন পর্যন্ত ম্যাডামকে তো বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি। সেখানে আমরা আটকে গেছি। এখন আমরা আলোচনা করছি, চিন্তাভাবনা করছি, কী করা যায়।’- যোগ করেন ফখরুল। খালেদা জিয়ার জন্মতারিখ নিয়ে রিট প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে ভদ্রলোক রিটটি করেছেন, তিনি এতে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না। ওনার জন্মদিনের ব্যাপারে কী আছে না আছে, এটা তো তাদের দায়িত্ব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘খেয়াল করে দেখবেন, বাংলাদেশের বহু লোকের কিন্তু জন্মের তারিখ একটা আসল, আর সার্টিফিকেটের তারিখ আরেকটা। কারণ কী, বিশেষ করে আমাদের জেনারেশনের সময়ে, তখন বাবা-মায়েরা সঠিকভাবে মনেও রাখতে পারতেন না, যে জন্ম কবে হয়েছে। ডায়েরি মেইনটেইন করতেন না। ফলে ওইটা হতে পারে। তো এটা কোন ইস্যু হতে পারে না।’
রাজনীতি তো নেই
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাজনীতি তো নেই। এখন এ ধরনের বিষয়গুলো তুলে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা, মূল সমস্যাগুলো থেকে জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে নেয়ার চেষ্টা করা।’ হাসপাতালের যে কাগজটির ওপর ভিত্তি করে আদালত খালেদা জিয়ার জন্মতারিখের নথিপত্র চেয়েছেন, সেই কাগজকে ‘ফেক, ফলস’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এভারকেয়ারের যে রিপোর্টের কথা বলা হয়েছে, এ ধরনের কোন রিপোর্টই এভারকেয়ার করেনি।’
টুইট-ফেইসবুক নিয়ে উদ্বেগ
খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি কোন টুইট করেননি দাবি করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমার এই টুইট, ফেইসবুকের রহস্য নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। এর আগে অনেকবার বলেছি, ফেইসবুকে বারবার চিঠি দিয়েছি, উকিল নোটিশ দিয়েছি। তারপরও আমার নামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট খোলা আছে।’
এজন্য সরকারি সংস্থাকে দায়ী করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা যতদূর জানি, যখন এসব মিডিয়ার মধ্যে গোয়েন্দারা ঢোকে, তখন তারা বিভিন্ন রকম তৈরি করে, এগুলো শোনা কথা। সেগুলো হচ্ছে। টুইটটা আমি দেখিওনি।’
টুইটটি বিএনআরসি (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) থেকে সাংবাদিকদের মেইলেও পাঠানো হয়েছে, এ কথা জানানো হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ওটা তো পার্টির টুইট। আমি দেখব বিএনআরসি যদি দিয়ে থাকে, আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’