নুরসহ ৪ জনকে অব্যাহতি দিয়ে চার্জশিট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণ সহযোগিতার মামলা থেকে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ৪ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে গতকাল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। এতে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ ও সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম সাংবাদিবদের জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান গতকাল আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। করোনা মহামারীর কারণে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে নিয়মিত আদালত খুলে দিলে বিচারকের কাছে চার্জশিট উপস্থাপন করা হবে।

এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নুর ছাড়া অব্যাহতি পাওয়া মামলার অপর আসামিরা হলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি নাজমুল হুদা (২৫) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহিল বাকি (২৩)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্র্থী লালবাগ থানায় সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে বাদীকে তার লালবাগের বাসায় যেতে বলেন। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পরদিন বাদী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে একই বছরের ১২ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসামি নাজমুল হাসান সোহাগের মাধ্যমে ভর্তি হন। এরপর থেকে আসামি হাসান আল মামুন আত্মগোপন করে। আসামি নাজমুল হাসান সোহাগ আসামি হাসান আল মামুনের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবে বলে গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি কৌশলে লঞ্চযোগে বাদীকে চাঁদপুর নিয়ে যান। চাঁদপুর পৌঁছানোর পর হাসান আল মামুনকে দেখতে না পেয়ে দ্রুত ঢাকা ফেরার জন্য বলেন। নাজমুল তাকে নিয়ে বিকেলে লঞ্চে কেবিনে অবস্থান করেন। সেখানে নাজমুল হাসান তাকে ধর্ষণ করেন

আরও খবর
টিকা ক্রয়ের পাশাপাশি দেশে উৎপাদন ও উদ্ভাবনের পরামর্শ ফারুক খানের
হেফাজত আসলে তালেবানের অনুসারী মেনন
অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত
ঢাকায় দুই সিটিতে বসবে ২৪টি পশুর হাট
আইএলও নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেল বাংলাদেশ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ নিয়ে আলোচনা
খালেদার হার্ট কিডনি ও লিভারের সমস্যা ফখরুল
কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে কাজ করছে সরকার : কৃষিমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টারমাইন্ড জিয়া : কাদের
পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন আরও বাড়লো
চট্টগ্রামে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ ৩৭০টি বসতি উচ্ছেদ
কাদের মির্জার চোখ তুলে নেয়ার হুমকি ভাগ্নে মঞ্জুর
কেজি ১৫ টাকা, তবু ক্রেতার অভাব

মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১ , ১ আষাড় ১৪২৮ ৩ জিলকদ ১৪৪২

ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ

নুরসহ ৪ জনকে অব্যাহতি দিয়ে চার্জশিট

আদালত বার্তা পরিবেশক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণ সহযোগিতার মামলা থেকে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ৪ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে গতকাল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। এতে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ ও সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম সাংবাদিবদের জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান গতকাল আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন। করোনা মহামারীর কারণে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে নিয়মিত আদালত খুলে দিলে বিচারকের কাছে চার্জশিট উপস্থাপন করা হবে।

এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নুর ছাড়া অব্যাহতি পাওয়া মামলার অপর আসামিরা হলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি নাজমুল হুদা (২৫) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহিল বাকি (২৩)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্র্থী লালবাগ থানায় সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে বাদীকে তার লালবাগের বাসায় যেতে বলেন। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পরদিন বাদী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে একই বছরের ১২ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসামি নাজমুল হাসান সোহাগের মাধ্যমে ভর্তি হন। এরপর থেকে আসামি হাসান আল মামুন আত্মগোপন করে। আসামি নাজমুল হাসান সোহাগ আসামি হাসান আল মামুনের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেবে বলে গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি কৌশলে লঞ্চযোগে বাদীকে চাঁদপুর নিয়ে যান। চাঁদপুর পৌঁছানোর পর হাসান আল মামুনকে দেখতে না পেয়ে দ্রুত ঢাকা ফেরার জন্য বলেন। নাজমুল তাকে নিয়ে বিকেলে লঞ্চে কেবিনে অবস্থান করেন। সেখানে নাজমুল হাসান তাকে ধর্ষণ করেন