সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও মেয়র মির্জা আবদুল কাদেরের ভাগ্নে এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু বলেছেন, ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের সময় শেষ হয়েছে। কাদের মির্জা ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরা অবরোধ ডেকে ছিলাম কিন্তু প্রশাসন কাদের মির্জাসহ তার কোন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেনি। তাই এই অবরোধ সর্বাত্মকভাবে আজ সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত চালিয়ে যাবেন।
যদি আজ রাত ১২টার মধ্যে এটার সুরাহা না হয়, তাহলে এখানে আরও কঠিন থেকে কঠিন কর্মসূচি দেয়া হবে এবং মির্জা কাদেরের চোখ তুলে নেয়া হবে। গতকাল নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন। মঞ্জু বলেন, এখানে আরও তীব্র অবরোধ কর্মসূচি
চলবে। আন্দোলনের মুখে এই অপশক্তি ভেসে যাবে। এরপরে কর্মসূচি কী হবে, তা সময়মতো জানানো হবে। শিবিরের ৭টা ছেলেকে আপনার (মির্জা কাদেরের) নেতৃত্বে খুন করা হয়েছে অথচ আপনি বলেন শিবিরের ছেলেরা ভালো।
তাহলে খুন করিয়েছেন কেন? ওবায়দুল কাদের ও কাদের মির্জার ছোট ভাই শাহদাতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনার ছোট ভাই শাহদাত সালিশ বাণিজ্য করে এলাকার হাজার হাজার মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। আপনি অন্যকে ভূমিদস্যু বলেন। আপনার ভাইয়ের একশ’ একর ভূমি কোথা থেকে এলো। তার তো কিছুই ছিল না। তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের একটা অংশ আপনার সঙ্গে কেন? আপনার সঙ্গে তো আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মী নেই। আছে মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা ব্যবসায়ী। মনে করেছেন সবাইকে হামলা করে, আক্রমণ করে আপনি এখানে যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। আপনাকে কেউ ছেড়ে দিবে।
ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার কথা বলি, আমার মায়ের নির্দেশ হলো তার চোখগুলো খুলে নিয়ে আসা। তিনি প্রশাসনকে হুমকি দিয়ে বলেন, আজকে রাতের মধ্যে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বুঝবেন আন্দোলন কত প্রকার ও কী কী। একদিন কোম্পানীগঞ্জের মানুষের আদালতে তোমার বিচার হবে হবেই। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মির্জা তোমাকে দেখিয়ে দেবে আন্দোলন কত প্রকার ও কী কী। তুই আমাদের কোন আত্মীয় না। তোকে ওই খাতা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। তোর মতো বিকৃত রুচির মানুষ আমাদের আত্মীয় হতে পারে না।
এ সময় সেতুমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মঞ্জু বলেন, ভাইয়ের প্রতি এত দরদ হলে তাকে পাগলা গারদ বা কোথাও নিয়ে আটকান। নয়তো মানুষ পিটিয়ে মেরে ফেললে এটার দায়-দায়িত্ব কেউ নেবে না। উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুর ১২টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও সেতুমন্ত্রীর ভাগ্নে মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু নিজের ফেইসবুক লাইভে এসে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালনের ডাক দেন। কাদের মির্জার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতা বাদলের ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে এই অবরোধ ডাকা হয়। তবে বাদলের ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১ , ১ আষাড় ১৪২৮ ৩ জিলকদ ১৪৪২
প্রতিনিধি, নোয়াখালী
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও মেয়র মির্জা আবদুল কাদেরের ভাগ্নে এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু বলেছেন, ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের সময় শেষ হয়েছে। কাদের মির্জা ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরা অবরোধ ডেকে ছিলাম কিন্তু প্রশাসন কাদের মির্জাসহ তার কোন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেনি। তাই এই অবরোধ সর্বাত্মকভাবে আজ সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত চালিয়ে যাবেন।
যদি আজ রাত ১২টার মধ্যে এটার সুরাহা না হয়, তাহলে এখানে আরও কঠিন থেকে কঠিন কর্মসূচি দেয়া হবে এবং মির্জা কাদেরের চোখ তুলে নেয়া হবে। গতকাল নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন। মঞ্জু বলেন, এখানে আরও তীব্র অবরোধ কর্মসূচি
চলবে। আন্দোলনের মুখে এই অপশক্তি ভেসে যাবে। এরপরে কর্মসূচি কী হবে, তা সময়মতো জানানো হবে। শিবিরের ৭টা ছেলেকে আপনার (মির্জা কাদেরের) নেতৃত্বে খুন করা হয়েছে অথচ আপনি বলেন শিবিরের ছেলেরা ভালো।
তাহলে খুন করিয়েছেন কেন? ওবায়দুল কাদের ও কাদের মির্জার ছোট ভাই শাহদাতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনার ছোট ভাই শাহদাত সালিশ বাণিজ্য করে এলাকার হাজার হাজার মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। আপনি অন্যকে ভূমিদস্যু বলেন। আপনার ভাইয়ের একশ’ একর ভূমি কোথা থেকে এলো। তার তো কিছুই ছিল না। তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের একটা অংশ আপনার সঙ্গে কেন? আপনার সঙ্গে তো আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মী নেই। আছে মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা ব্যবসায়ী। মনে করেছেন সবাইকে হামলা করে, আক্রমণ করে আপনি এখানে যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। আপনাকে কেউ ছেড়ে দিবে।
ব্যক্তিগতভাবে আমি আমার কথা বলি, আমার মায়ের নির্দেশ হলো তার চোখগুলো খুলে নিয়ে আসা। তিনি প্রশাসনকে হুমকি দিয়ে বলেন, আজকে রাতের মধ্যে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে বুঝবেন আন্দোলন কত প্রকার ও কী কী। একদিন কোম্পানীগঞ্জের মানুষের আদালতে তোমার বিচার হবে হবেই। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মির্জা তোমাকে দেখিয়ে দেবে আন্দোলন কত প্রকার ও কী কী। তুই আমাদের কোন আত্মীয় না। তোকে ওই খাতা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। তোর মতো বিকৃত রুচির মানুষ আমাদের আত্মীয় হতে পারে না।
এ সময় সেতুমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মঞ্জু বলেন, ভাইয়ের প্রতি এত দরদ হলে তাকে পাগলা গারদ বা কোথাও নিয়ে আটকান। নয়তো মানুষ পিটিয়ে মেরে ফেললে এটার দায়-দায়িত্ব কেউ নেবে না। উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুর ১২টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ও সেতুমন্ত্রীর ভাগ্নে মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু নিজের ফেইসবুক লাইভে এসে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালনের ডাক দেন। কাদের মির্জার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতা বাদলের ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে এই অবরোধ ডাকা হয়। তবে বাদলের ওপর হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।