নওগাঁর হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সংকট চরমে

করোনা রোগী নিয়ে হিমশিম

নওগাঁর ১০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য চলতি বছরে ৩ লাখ টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হলেও সেই টাকার একটি টাকাও খরচ হয়নি। আর গতবছর বরাদ্দ দেয়া ৩ লাখ টাকার মধ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো প্রায় ৬০ শতাংশ ব্যবহৃত হয়েছে। জেলার ১০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে। এছাড়া অক্সিজেন সরবরাহ দিতে না পারায় জেলায় কোভিডসহ অন্যান্য রোগীদের জন্য বর্তমানে যে পরিমাণ অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে বর্তমানে তার অর্ধেকের বেশি সিলিন্ডার খালি রয়েছে। ফলে অক্সিজেন সঙ্কটে রোগীদের কৃত্রিম অক্সিজেন সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীদের ব্যবহারের জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজার, গ্লাভসসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি এবং এছাড়া স্বাস্থ্য কর্মীদের বাড়ি ভাড়া নিয়ে কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থাপনা ও পরিবহন খরচ বাবদ বিশেষ ভাতার জন্য গতবছর ৩ লাখ টাকা এবং চলতি বছরে ৩ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়।

এ বিষয়ে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কানিস ফারহানা বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে কোভিড রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন তিনজন চিকিৎসক ১ হাজার ৮০০ টাকা করে এবং দায়িত্বরত নার্সের প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রত্যেককে ৬৫০ টাকা করে বরাদ্দ দিতে বলা হয়েছে। এই খাতে যে পরিমাণ টাকা খরচ করতে বলা হয়েছে, সেই অনুযায়ী টাকা খরচ করলে বরাদ্দ দেয়া টাকা এক থেকে দুই মাসের মধ্যে খরচ হয়ে যাবে। এই কারণে হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সেই টাকা রেখে দেয়া হয়েছে। এ কারণে গতবছরের বরাদ্দ পাওয়া টাকার প্রায় ৪০ শতাংশ এখনও অব্যবহৃতভাবে পরে রয়েছে। এ বছর ৩ লাখ টাকা পেলেও সেই টাকা এখনও উত্তোলনই করা হয়নি।’

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় ও জেলার ১০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১০টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে তিনটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে। বাঁকি সাতটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিলিন্ডার অক্সিজেন ব্যবহার করে কোভিড ও শ্বাসকষ্টের রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে। তবে কাগজে-কলমে জেলার ১০টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৩৪টি অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকলেও দীর্ঘদিন থেকে অর্ধেকেরও বেশি সিলিন্ডার খালি পড়ে রয়েছে। গত সোমবার পর্যন্ত ৩৩৪টি সিলিন্ডারের মধ্যে ১৯৫টি সিলিন্ডারই খালি ছিল। পতœীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘পতœীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৭টি অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকলেও বর্তমানে ৯টি সিলিন্ডারই খালি। হাসপাতালে কোভিড রোগীর চিকিৎসার জন্য ৫টি শয্যা থাকলেও আজকে দুপুর পর্যন্ত ১৫ জন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া হাসপাতালের অন্যান্য ওয়ার্ডগুলোতে আরও অনেক রোগী শ্বাস কষ্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান হাসপাতালগুলোর সিলিন্ডারে অক্সিজেন সরবরাহ দিতে পারে। গত এক মাস আগে সাতটি খালি সিলিন্ডার ভর্তির জন্য বগুড়ায় তাদের প্রতিষ্ঠানে দিয়ে আসলেও তারা এখনও ওই সব সিলিন্ডারে অক্সিজেন সরবরাহ দিতে পারেনি। এছাড়া বর্তমানে আরও দুটি সিলিন্ডার খালি হাসপাতালে পড়ে আছে।’ পতœীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড রোগীর চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৫টি শয্যা থাকলেও ভর্তি রয়েছে ১৫ জন রোগী। রোগী বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসক ও হাসপাতালের স্টাফদের জন্য ব্যবহৃত দুটি কক্ষকে আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করে বাড়তি ১০ রোগীকে সেবা দেয়া হচ্ছে।

পতœীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন উপজেলার নির্মইল গ্রামের বাসিন্দা জিনাত আরা (৬৫)। তার ছেলে জিয়াউল হক বলেন, ‘আমার মা ২ দিন ধরে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মায়ের অক্সিজেন লেভেল বেশিরভাগ সময় ৯৪ শতাংশের নিচে থাকছে। এজন্য মাঝে মাঝেই তাকে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। কিন্তু হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার না থাকায় শ্বাসকষ্ট উঠলেও হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন সেবা দিতে পারছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁর সিভিল সার্জন এবিএম আবু হানিফ বলেন, ‘শুধু নওগাঁতেই নয়, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশেই কৃত্রিম অক্সিজেনের একটা সংকট দেখা দিয়েছে। স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ দিতে চুক্তিবদ্ধ। কিন্তু তারা হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজন মাফিক অক্সিজেন সরবরাহ দিতে পারছে না। ফলে অনেক সিলিন্ডার খালি পড়ে আছে। আমরা স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনালের বগুড়া অঞ্চলের কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করছি, কিন্তু তিনি বলছেন, তাদের কাছে এই মুহূর্তে অক্সিজেন সংকট চলায় তারা অক্সিজেন দিতে পারছেন না।’

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে কোভিড রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বরাদ্দ দেয়া টাকা অব্যবহৃত থাকা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বরাদ্দের এই টাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সরাসরি সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই টাকার ব্যবস্থাপনা সরাসরি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকেই করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমার কাছে কোন তথ্য নেই।’

বুধবার, ১৬ জুন ২০২১ , ২ আষাড় ১৪২৮ ৪ জিলকদ ১৪৪২

নওগাঁর হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সংকট চরমে

করোনা রোগী নিয়ে হিমশিম

প্রতিনিধি, বদলগাছী (নওগাঁ)

নওগাঁর ১০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য চলতি বছরে ৩ লাখ টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হলেও সেই টাকার একটি টাকাও খরচ হয়নি। আর গতবছর বরাদ্দ দেয়া ৩ লাখ টাকার মধ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলো প্রায় ৬০ শতাংশ ব্যবহৃত হয়েছে। জেলার ১০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে। এছাড়া অক্সিজেন সরবরাহ দিতে না পারায় জেলায় কোভিডসহ অন্যান্য রোগীদের জন্য বর্তমানে যে পরিমাণ অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে বর্তমানে তার অর্ধেকের বেশি সিলিন্ডার খালি রয়েছে। ফলে অক্সিজেন সঙ্কটে রোগীদের কৃত্রিম অক্সিজেন সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীদের ব্যবহারের জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজার, গ্লাভসসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি এবং এছাড়া স্বাস্থ্য কর্মীদের বাড়ি ভাড়া নিয়ে কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থাপনা ও পরিবহন খরচ বাবদ বিশেষ ভাতার জন্য গতবছর ৩ লাখ টাকা এবং চলতি বছরে ৩ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়।

এ বিষয়ে বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কানিস ফারহানা বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে কোভিড রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন তিনজন চিকিৎসক ১ হাজার ৮০০ টাকা করে এবং দায়িত্বরত নার্সের প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রত্যেককে ৬৫০ টাকা করে বরাদ্দ দিতে বলা হয়েছে। এই খাতে যে পরিমাণ টাকা খরচ করতে বলা হয়েছে, সেই অনুযায়ী টাকা খরচ করলে বরাদ্দ দেয়া টাকা এক থেকে দুই মাসের মধ্যে খরচ হয়ে যাবে। এই কারণে হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সেই টাকা রেখে দেয়া হয়েছে। এ কারণে গতবছরের বরাদ্দ পাওয়া টাকার প্রায় ৪০ শতাংশ এখনও অব্যবহৃতভাবে পরে রয়েছে। এ বছর ৩ লাখ টাকা পেলেও সেই টাকা এখনও উত্তোলনই করা হয়নি।’

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় ও জেলার ১০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১০টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে তিনটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে। বাঁকি সাতটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিলিন্ডার অক্সিজেন ব্যবহার করে কোভিড ও শ্বাসকষ্টের রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে। তবে কাগজে-কলমে জেলার ১০টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩৩৪টি অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকলেও দীর্ঘদিন থেকে অর্ধেকেরও বেশি সিলিন্ডার খালি পড়ে রয়েছে। গত সোমবার পর্যন্ত ৩৩৪টি সিলিন্ডারের মধ্যে ১৯৫টি সিলিন্ডারই খালি ছিল। পতœীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘পতœীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৭টি অক্সিজেন সিলিন্ডার থাকলেও বর্তমানে ৯টি সিলিন্ডারই খালি। হাসপাতালে কোভিড রোগীর চিকিৎসার জন্য ৫টি শয্যা থাকলেও আজকে দুপুর পর্যন্ত ১৫ জন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া হাসপাতালের অন্যান্য ওয়ার্ডগুলোতে আরও অনেক রোগী শ্বাস কষ্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান হাসপাতালগুলোর সিলিন্ডারে অক্সিজেন সরবরাহ দিতে পারে। গত এক মাস আগে সাতটি খালি সিলিন্ডার ভর্তির জন্য বগুড়ায় তাদের প্রতিষ্ঠানে দিয়ে আসলেও তারা এখনও ওই সব সিলিন্ডারে অক্সিজেন সরবরাহ দিতে পারেনি। এছাড়া বর্তমানে আরও দুটি সিলিন্ডার খালি হাসপাতালে পড়ে আছে।’ পতœীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড রোগীর চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৫টি শয্যা থাকলেও ভর্তি রয়েছে ১৫ জন রোগী। রোগী বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসক ও হাসপাতালের স্টাফদের জন্য ব্যবহৃত দুটি কক্ষকে আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করে বাড়তি ১০ রোগীকে সেবা দেয়া হচ্ছে।

পতœীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোভিড আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন উপজেলার নির্মইল গ্রামের বাসিন্দা জিনাত আরা (৬৫)। তার ছেলে জিয়াউল হক বলেন, ‘আমার মা ২ দিন ধরে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মায়ের অক্সিজেন লেভেল বেশিরভাগ সময় ৯৪ শতাংশের নিচে থাকছে। এজন্য মাঝে মাঝেই তাকে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। কিন্তু হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার না থাকায় শ্বাসকষ্ট উঠলেও হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন সেবা দিতে পারছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁর সিভিল সার্জন এবিএম আবু হানিফ বলেন, ‘শুধু নওগাঁতেই নয়, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশেই কৃত্রিম অক্সিজেনের একটা সংকট দেখা দিয়েছে। স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ দিতে চুক্তিবদ্ধ। কিন্তু তারা হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজন মাফিক অক্সিজেন সরবরাহ দিতে পারছে না। ফলে অনেক সিলিন্ডার খালি পড়ে আছে। আমরা স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনালের বগুড়া অঞ্চলের কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করছি, কিন্তু তিনি বলছেন, তাদের কাছে এই মুহূর্তে অক্সিজেন সংকট চলায় তারা অক্সিজেন দিতে পারছেন না।’

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে কোভিড রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বরাদ্দ দেয়া টাকা অব্যবহৃত থাকা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বরাদ্দের এই টাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সরাসরি সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই টাকার ব্যবস্থাপনা সরাসরি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকেই করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমার কাছে কোন তথ্য নেই।’