চার দফা দাবিতে সিলেটে বিড়ি ভোক্তাদের সমাবেশ

নিম্নস্তুরের সিগারেটের মূল্যস্তর বৃদ্ধি, গত বাজেটে বিড়ির ওপর বৃদ্ধিকৃত ৪ টাকা মূল্যস্তর কমানো, নকল বিড়ি বন্ধ ও সিগারেটের ন্যায় বিড়ি বন্ধের মেয়াদ একই রাখার দাবিতে সমাবেশ করেছে সিলেট বিড়ি ভোক্তা পক্ষ। গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে এ ৪ দফা দাবি পেশ করেন তারা। আরিফুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন ভোক্তা পক্ষের সভাপতি মো. মশিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, বাচ্চু মন্ডল, জসিম উদ্দিন প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘বিড়ি দেশের প্রাচীন শ্রমঘন কুটির শিল্প। বিড়ি শিল্পে কর্মরত শ্রমিক ও ভোক্তা সবাই দরিদ্র শ্রেণীর। তারা বিড়ি ছাড়া অন্য কোন নেশা করে না। অন্যদিকে ধনী শ্রেণীর মানুষ সিগারেট পান করে। কিন্তু ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে বিড়িতে প্রতি প্যাকেটে বৃদ্ধি করা হয়েছিল ৪ টাকা। অন্যদিকে বিড়ির প্রতিযোগী নি¤œস্তরের সিগারেটে বৃদ্ধি করা হয়েছিল মাত্র ২ টাকা।

বর্তমান বাজারে নি¤œস্তরের সিগারেটের ভোক্তাই বেশি। এসব নি¤œস্তরের সিগারেটের সিংহভাগই বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির দখলে। ফলে বিদেশি সিগারেট কোম্পানিগুলো বিড়ির বাজার সহজেই দখল করে এদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। অথচ দেশীয় শ্রমঘন বিড়ি শিল্প ধ্বংস হয়ে শ্রমিক বেকার হয়ে যাচ্ছে যা চরম বৈষম্যমূলক ও হতাশাজনক।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘বিড়ির ওপর অতীতে মাত্রাতিরিক্ত শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে মাত্রাতিরিক্ত করের ভয়ে রাজস্ব ফাঁকির প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করছে। এতে সরকার প্রকৃত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া বিড়ি বন্ধের মেয়াদ দেয়া হয়েছে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। অন্যদিকে সিগারেট বন্ধের মেয়াদ রাখা হয়েছে ২০৪০ সাল পর্যন্ত।

দুটো সমজাতীয় পণ্য হওয়া সত্ত্বেও দুটোর মেয়াদকাল ভিন্ন হওয়া সমীচীন নয়। এতে সিগারেট কোম্পানিগুলো একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ পাবে। আমরা এ বৈষম্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

সমাবেশ থেকে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির ওপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব না করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১ , ৩ আষাড় ১৪২৮ ৫ জিলকদ ১৪৪২

চার দফা দাবিতে সিলেটে বিড়ি ভোক্তাদের সমাবেশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

নিম্নস্তুরের সিগারেটের মূল্যস্তর বৃদ্ধি, গত বাজেটে বিড়ির ওপর বৃদ্ধিকৃত ৪ টাকা মূল্যস্তর কমানো, নকল বিড়ি বন্ধ ও সিগারেটের ন্যায় বিড়ি বন্ধের মেয়াদ একই রাখার দাবিতে সমাবেশ করেছে সিলেট বিড়ি ভোক্তা পক্ষ। গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে এ ৪ দফা দাবি পেশ করেন তারা। আরিফুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন ভোক্তা পক্ষের সভাপতি মো. মশিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, বাচ্চু মন্ডল, জসিম উদ্দিন প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘বিড়ি দেশের প্রাচীন শ্রমঘন কুটির শিল্প। বিড়ি শিল্পে কর্মরত শ্রমিক ও ভোক্তা সবাই দরিদ্র শ্রেণীর। তারা বিড়ি ছাড়া অন্য কোন নেশা করে না। অন্যদিকে ধনী শ্রেণীর মানুষ সিগারেট পান করে। কিন্তু ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে বিড়িতে প্রতি প্যাকেটে বৃদ্ধি করা হয়েছিল ৪ টাকা। অন্যদিকে বিড়ির প্রতিযোগী নি¤œস্তরের সিগারেটে বৃদ্ধি করা হয়েছিল মাত্র ২ টাকা।

বর্তমান বাজারে নি¤œস্তরের সিগারেটের ভোক্তাই বেশি। এসব নি¤œস্তরের সিগারেটের সিংহভাগই বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির দখলে। ফলে বিদেশি সিগারেট কোম্পানিগুলো বিড়ির বাজার সহজেই দখল করে এদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। অথচ দেশীয় শ্রমঘন বিড়ি শিল্প ধ্বংস হয়ে শ্রমিক বেকার হয়ে যাচ্ছে যা চরম বৈষম্যমূলক ও হতাশাজনক।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘বিড়ির ওপর অতীতে মাত্রাতিরিক্ত শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে মাত্রাতিরিক্ত করের ভয়ে রাজস্ব ফাঁকির প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি তৈরি করে বাজারে বিক্রি করছে। এতে সরকার প্রকৃত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া বিড়ি বন্ধের মেয়াদ দেয়া হয়েছে ২০৩০ সাল পর্যন্ত। অন্যদিকে সিগারেট বন্ধের মেয়াদ রাখা হয়েছে ২০৪০ সাল পর্যন্ত।

দুটো সমজাতীয় পণ্য হওয়া সত্ত্বেও দুটোর মেয়াদকাল ভিন্ন হওয়া সমীচীন নয়। এতে সিগারেট কোম্পানিগুলো একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ পাবে। আমরা এ বৈষম্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

সমাবেশ থেকে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির ওপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব না করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।