সখীপুরে বিনা নোটিশে কৃষকের কলাবাগান কর্তন বনবিভাগের

টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিনা নোটিসে এক অসহায় কৃষকের কলাবাগান কেটে ফেললো বন বিভাগ। গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কালিয়ান পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই কৃষকদের প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বন বিভাগ বিনা নোটিসে বন বিভাগের দালালচক্রের উৎসাহে অসহায় কৃষকের প্রায় আট শতাধিক কলাগাছ কেটে ফেলে।

জানা যায়, উপজেলার কালিয়ানপাড়ায় দীর্ঘদিনের আবাদি জমিতে বাঘবেড় এলাকার শামসুল আলমের ছেলে শহিদুল ইসলাম জমি লিজ নিয়ে ৮ শতাধিক কলা গাছ লাগান। কলা গাছের বয়স ৩ মাসের ওপরে। এই গাছগুলো পরিচর্যা করতে এ পর্যন্ত ওই মালিকের ৩ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে।

ওই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, বিনা নোটিসে বন বিভাগের দালালচক্রের যোগসাজশে আমার কলাবাগান কেটে ফেললো বন বিভাগ। এখন সচ্ছলভাবে সংসার চালনোর কোন পথ রইল না। আমি কিভাবে এনজিও থেকে লোন করা টাকা পরিশোধ করব ?

ওই কলাবাগানের পাশে বসবাসকারী হনুফা বেগম (৫০) বলেন, আমরা প্রায় চল্লিশ বছর যাবত এখানে বসবাস করছি। এ চালায় বনবিভাগের কোন বৃক্ষ নেই এমনকি বন বিভাগের কোন জমি নেই। অন্যের প্ররোচণায় বন বিভাগ একজন নিরীহ মানুষের স্বপ্ন নষ্ট করে ফেলেছে।

একই গ্রামের আয়েশা বেগম (৫৫) বলেন, বনের জমি হলেও না হলেও কোন ঘর বা গাছ লাগতে গেলে বনবিভাগ ও এলাকার দালালচক্রদের টাকা না দিয়ে কাজ করা যায় না। সরকারের কাছে বিচার দাবি করি এই ঘটনার বিচার যেন পায় ওই গরিব মানুষ।

সামাজিক বনায়ন কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, ওই জমি বন বিভাগের প্লটের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং সামাজিক বনায়নের কোন গাছ ছিল না। কলাবাগানের জমিটি ব্যক্তির মালিকানার দখলে। বিট কর্মকর্তা মোস্তানুর রহমান বলেন, ওই জমিটি প্লটের অন্তর্ভুক্ত বনের জমি। কলা গাছ কেটে উদ্ধার করা হয়েছে। কীর্তনখোলা এলাকার টাকা নিয়ে ৬টি মুরগি ফার্মে তৈরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ধরনের কোন ঘটনা ভিত্তিহীন।

হতেয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আলাল খান মুঠোফোনে বলেন, ওই কলাবাগান ২০১৭/১৮ সালের বন বিভাগের সামাজিক বনায়নের অন্তর্ভুক্ত। অভিযোগ পেয়ে বনের জমি ব?্যক্তি মালিকানা হতে উদ্ধার করতে বিট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি।

বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১ , ৩ আষাড় ১৪২৮ ৫ জিলকদ ১৪৪২

সখীপুরে বিনা নোটিশে কৃষকের কলাবাগান কর্তন বনবিভাগের

প্রতিনিধি, সখীপুর (টাঙ্গাইল)

টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিনা নোটিসে এক অসহায় কৃষকের কলাবাগান কেটে ফেললো বন বিভাগ। গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কালিয়ান পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই কৃষকদের প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বন বিভাগ বিনা নোটিসে বন বিভাগের দালালচক্রের উৎসাহে অসহায় কৃষকের প্রায় আট শতাধিক কলাগাছ কেটে ফেলে।

জানা যায়, উপজেলার কালিয়ানপাড়ায় দীর্ঘদিনের আবাদি জমিতে বাঘবেড় এলাকার শামসুল আলমের ছেলে শহিদুল ইসলাম জমি লিজ নিয়ে ৮ শতাধিক কলা গাছ লাগান। কলা গাছের বয়স ৩ মাসের ওপরে। এই গাছগুলো পরিচর্যা করতে এ পর্যন্ত ওই মালিকের ৩ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে।

ওই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, বিনা নোটিসে বন বিভাগের দালালচক্রের যোগসাজশে আমার কলাবাগান কেটে ফেললো বন বিভাগ। এখন সচ্ছলভাবে সংসার চালনোর কোন পথ রইল না। আমি কিভাবে এনজিও থেকে লোন করা টাকা পরিশোধ করব ?

ওই কলাবাগানের পাশে বসবাসকারী হনুফা বেগম (৫০) বলেন, আমরা প্রায় চল্লিশ বছর যাবত এখানে বসবাস করছি। এ চালায় বনবিভাগের কোন বৃক্ষ নেই এমনকি বন বিভাগের কোন জমি নেই। অন্যের প্ররোচণায় বন বিভাগ একজন নিরীহ মানুষের স্বপ্ন নষ্ট করে ফেলেছে।

একই গ্রামের আয়েশা বেগম (৫৫) বলেন, বনের জমি হলেও না হলেও কোন ঘর বা গাছ লাগতে গেলে বনবিভাগ ও এলাকার দালালচক্রদের টাকা না দিয়ে কাজ করা যায় না। সরকারের কাছে বিচার দাবি করি এই ঘটনার বিচার যেন পায় ওই গরিব মানুষ।

সামাজিক বনায়ন কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান বলেন, ওই জমি বন বিভাগের প্লটের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং সামাজিক বনায়নের কোন গাছ ছিল না। কলাবাগানের জমিটি ব্যক্তির মালিকানার দখলে। বিট কর্মকর্তা মোস্তানুর রহমান বলেন, ওই জমিটি প্লটের অন্তর্ভুক্ত বনের জমি। কলা গাছ কেটে উদ্ধার করা হয়েছে। কীর্তনখোলা এলাকার টাকা নিয়ে ৬টি মুরগি ফার্মে তৈরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ধরনের কোন ঘটনা ভিত্তিহীন।

হতেয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আলাল খান মুঠোফোনে বলেন, ওই কলাবাগান ২০১৭/১৮ সালের বন বিভাগের সামাজিক বনায়নের অন্তর্ভুক্ত। অভিযোগ পেয়ে বনের জমি ব?্যক্তি মালিকানা হতে উদ্ধার করতে বিট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি।