মেম্বারের বিরুদ্ধে সর. ঘর-ভাতা প্রদানে বাণিজ্যের অভিযোগ

বাগেরহাটের শরণখোলায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেয়ার নামে অর্থ হাতানোর অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এছাড়া ভিজিডি কার্ড বণ্টনসহ নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার ১নং-ধানসাগর ইউনিয়নের ২নং-ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন ২০১৬ সাল থেকে ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। সংশ্লিষ্ট এলাকার দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তিদের প্রধানমন্ত্রীর তহবিলের ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছেন। ধানসাগর এলাকার হিন্দু ডিজেবর ওঝা (৫৫) বলেন, আমি একজন ভূমিহীন। কাজ করে সংসার চালাই। সপ্ন ছিল প্রধানমন্ত্রীর একটি ঘর পাবো। আলতাফ মেম্বর ঘর দেওয়ার কথা বলে ৬ হাজার টাকা নিয়ে দুই বছর পর্যন্ত ঘোরাচ্ছে। একই এলাকার মহিব্বুল হাওলাদারের কাছ থেকে ৫ হাজার, ওলি হাওলাদারের কাছ থেকে ৫ হাজার, শাহিন শেখের কাছ থেকে ২২ হাজার, মিজান খাঁনের কাছ থেকে ১৫ হাজার, জয়নাল মাতুব্বরের কাছ থেকে ৩৭ হাজার, মোস্তফা হাওলাদারের কাছ থেকে ১০ হাজার, পলাশের কাছ থেকে ১০ হাজার, বিধবা তারা বানুর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে নানা কৌশলে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ওই ইউপি সদস্য। কহিনুর বেগম বলেন, আলতাব মেম্বরের কাছে ভিজিডি কার্ডের জন্য গেলে তিনি ৮ হাজার টাকা দাবি করেন । পরে ৭ হাজার টাকা দেই। এভাবে তিনি আবু তৈয়ব সরদারের কাছ থেকে ১৪ হাজার, নাসিমার কাছ থেকে ৬ হাজার, বিলকিসের কাছ থেকে ৬ হাজার, ধীরেন বাবুর কাছ থেকে ৪ হাজার, মানসুরার কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা ঘুষ নেয় ওই মেম্বর।

ভুক্তভোগীরা আরও জানান, তার এ সকল কার্য কলাপের কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকিসহ মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখান। এমনকি সরকারি সাহায্য সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত করা হয় তাদের। এ ব্যাপারে ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিম রাজু বলেন, গত ৫ বছরে সরকারের কোন সাহায্য সুবিধাভোগীরা ঘুষ না দিয়ে নিতে পারেন নাই। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন জানান, তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। তার প্রতিপক্ষ প্রার্থী আ. রহিম রাজু স্থানীয় কিছু লোকদের ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে এমন নাটক সাজিয়েছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. মইনুল হোসেন টিপু জানান, ওই মেম্বরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের খবর তারও জানা আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোন্তফা শাহীন জানান, এ বিষয়ে আমার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তারপরেও খোঁজ খবর নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১ , ৩ আষাড় ১৪২৮ ৫ জিলকদ ১৪৪২

মেম্বারের বিরুদ্ধে সর. ঘর-ভাতা প্রদানে বাণিজ্যের অভিযোগ

প্রতিনিধি, শরণখোলা (বাগেরহাট)

বাগেরহাটের শরণখোলায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেয়ার নামে অর্থ হাতানোর অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এছাড়া ভিজিডি কার্ড বণ্টনসহ নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার ১নং-ধানসাগর ইউনিয়নের ২নং-ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন ২০১৬ সাল থেকে ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। সংশ্লিষ্ট এলাকার দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তিদের প্রধানমন্ত্রীর তহবিলের ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছেন। ধানসাগর এলাকার হিন্দু ডিজেবর ওঝা (৫৫) বলেন, আমি একজন ভূমিহীন। কাজ করে সংসার চালাই। সপ্ন ছিল প্রধানমন্ত্রীর একটি ঘর পাবো। আলতাফ মেম্বর ঘর দেওয়ার কথা বলে ৬ হাজার টাকা নিয়ে দুই বছর পর্যন্ত ঘোরাচ্ছে। একই এলাকার মহিব্বুল হাওলাদারের কাছ থেকে ৫ হাজার, ওলি হাওলাদারের কাছ থেকে ৫ হাজার, শাহিন শেখের কাছ থেকে ২২ হাজার, মিজান খাঁনের কাছ থেকে ১৫ হাজার, জয়নাল মাতুব্বরের কাছ থেকে ৩৭ হাজার, মোস্তফা হাওলাদারের কাছ থেকে ১০ হাজার, পলাশের কাছ থেকে ১০ হাজার, বিধবা তারা বানুর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকাসহ প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে নানা কৌশলে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ওই ইউপি সদস্য। কহিনুর বেগম বলেন, আলতাব মেম্বরের কাছে ভিজিডি কার্ডের জন্য গেলে তিনি ৮ হাজার টাকা দাবি করেন । পরে ৭ হাজার টাকা দেই। এভাবে তিনি আবু তৈয়ব সরদারের কাছ থেকে ১৪ হাজার, নাসিমার কাছ থেকে ৬ হাজার, বিলকিসের কাছ থেকে ৬ হাজার, ধীরেন বাবুর কাছ থেকে ৪ হাজার, মানসুরার কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা ঘুষ নেয় ওই মেম্বর।

ভুক্তভোগীরা আরও জানান, তার এ সকল কার্য কলাপের কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকিসহ মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখান। এমনকি সরকারি সাহায্য সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত করা হয় তাদের। এ ব্যাপারে ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিম রাজু বলেন, গত ৫ বছরে সরকারের কোন সাহায্য সুবিধাভোগীরা ঘুষ না দিয়ে নিতে পারেন নাই। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন জানান, তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। তার প্রতিপক্ষ প্রার্থী আ. রহিম রাজু স্থানীয় কিছু লোকদের ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে এমন নাটক সাজিয়েছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. মইনুল হোসেন টিপু জানান, ওই মেম্বরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের খবর তারও জানা আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোন্তফা শাহীন জানান, এ বিষয়ে আমার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তারপরেও খোঁজ খবর নেয়া হবে।