হট্টগোল-হাতাহাতিতে রণক্ষেত্র পাকিস্তানের পার্লামেন্ট

পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষ জাতীয় পরিষদ এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। সরকারদলীয় ও বিরোধী আইনপ্রণেতাদের হট্টগোল-হাতাহাতিতে রণক্ষেত্রে পরিণত হলো পাকিস্তানের পার্লামেন্ট। দ্য ডন

সরকারি ও বিরোধীদলীয় নেতারা গালাগাল ও একে অপরক্ষে লক্ষ্য করে বাজেটের কপি ছুড়ে মেরেছেন। এতে এক নারী সদস্য আহত হয়েছেন। বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন নিজের নির্ধারিত সময় শেহবাজ শরিফ বক্তব্য দেয়া শুরু করেন।

বক্তব্যের একপর্যায়ে পাকিস্তানের বর্তমান ভঙ্গুর ও নড়বড়ে অর্থনীতির প্রসঙ্গ তুলে তিনি যখন দেশেটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা শুরু করেন, তখনই হট্টগোল শুরু করেন পাকিস্তানের সরকারি দল পিটিআইর একদল এমএনএ। শেহবাজ শরিফকে লক্ষ্য করে এ সময় তারা একসঙ্গে উচ্চকণ্ঠে চোর চোর, ডাকাত ডাকাত, টাকা পাচারকারী বলতে থাকেন। তবে তাতে না থেমে নিজের বক্তব্য অব্যাহত রাখেন শেহবাজ। এ সময় একজন সরকারদলীয় এমএনএ তাকে লক্ষ্য করে বাজেট বই ছুড়ে মারেন। প্রতিক্রিয়ায় বিরোধীদলীয় কয়েকজন এমএনএ তেড়ে আসেন সরকারদলীয় এমএনএদের দিকে। তারপরই ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভবনে শুরু হয় নারকীয় পরিস্থিতি। জনপ্রতিনিধিরা একে অন্যের দিকে তেড়ে আসা শুরু করেন, হাতাহাতি-মারধরের পাশাপাশি একে অপরের দিকে ফাইল, বাজেট বই, পানির বোতল ইত্যাদি ছুড়ে মারা শুরু করেন। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে এ অবস্থা চলার পর পার্লামেন্টের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। একপর্যায়ে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি স্পিকার আসাদ কায়সার অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করতে বাধ্য হন।

ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে হাতাহাতি হট্টগোলের এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের নেতা শেহবাজ পরে এক টুইটে পিটিআইকে ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, এ ঘটনার জন্য বিরোধী দল দায়ী। কারণ তাদের এক সদস্য আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করলে পিটিআইয়ের কয়েকজন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান।

ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি স্পিকার আসাদ কায়সার এক টুইটবার্তায় জানিয়েছেন এ ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করতে ইতোমধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পেলেই দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১ , ৩ আষাড় ১৪২৮ ৫ জিলকদ ১৪৪২

হট্টগোল-হাতাহাতিতে রণক্ষেত্র পাকিস্তানের পার্লামেন্ট

পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নি¤œকক্ষ জাতীয় পরিষদ এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। সরকারদলীয় ও বিরোধী আইনপ্রণেতাদের হট্টগোল-হাতাহাতিতে রণক্ষেত্রে পরিণত হলো পাকিস্তানের পার্লামেন্ট। দ্য ডন

সরকারি ও বিরোধীদলীয় নেতারা গালাগাল ও একে অপরক্ষে লক্ষ্য করে বাজেটের কপি ছুড়ে মেরেছেন। এতে এক নারী সদস্য আহত হয়েছেন। বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন নিজের নির্ধারিত সময় শেহবাজ শরিফ বক্তব্য দেয়া শুরু করেন।

বক্তব্যের একপর্যায়ে পাকিস্তানের বর্তমান ভঙ্গুর ও নড়বড়ে অর্থনীতির প্রসঙ্গ তুলে তিনি যখন দেশেটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনা শুরু করেন, তখনই হট্টগোল শুরু করেন পাকিস্তানের সরকারি দল পিটিআইর একদল এমএনএ। শেহবাজ শরিফকে লক্ষ্য করে এ সময় তারা একসঙ্গে উচ্চকণ্ঠে চোর চোর, ডাকাত ডাকাত, টাকা পাচারকারী বলতে থাকেন। তবে তাতে না থেমে নিজের বক্তব্য অব্যাহত রাখেন শেহবাজ। এ সময় একজন সরকারদলীয় এমএনএ তাকে লক্ষ্য করে বাজেট বই ছুড়ে মারেন। প্রতিক্রিয়ায় বিরোধীদলীয় কয়েকজন এমএনএ তেড়ে আসেন সরকারদলীয় এমএনএদের দিকে। তারপরই ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভবনে শুরু হয় নারকীয় পরিস্থিতি। জনপ্রতিনিধিরা একে অন্যের দিকে তেড়ে আসা শুরু করেন, হাতাহাতি-মারধরের পাশাপাশি একে অপরের দিকে ফাইল, বাজেট বই, পানির বোতল ইত্যাদি ছুড়ে মারা শুরু করেন। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে এ অবস্থা চলার পর পার্লামেন্টের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। একপর্যায়ে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি স্পিকার আসাদ কায়সার অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করতে বাধ্য হন।

ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে হাতাহাতি হট্টগোলের এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলো। পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের নেতা শেহবাজ পরে এক টুইটে পিটিআইকে ফ্যাসিবাদী দল হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, এ ঘটনার জন্য বিরোধী দল দায়ী। কারণ তাদের এক সদস্য আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করলে পিটিআইয়ের কয়েকজন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান।

ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি স্পিকার আসাদ কায়সার এক টুইটবার্তায় জানিয়েছেন এ ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করতে ইতোমধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পেলেই দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।