ফেসবুকে ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশি রক্তদাতা সাইন আপ করেছে

চলমান কোভিড-১৯ মহামারির কঠিন সময়ে বিশে^ও বিভিন্ন দেশে ব্লাড ব্যাংকগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন রক্তদাতার। এই বছরে বিশ^ রক্তদাতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের আরও অনেক মানুষকে রক্তদানে আগ্রহী করতে ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ব্লাডম্যান।

দেশের মানুষকে স্থানীয় ব্লাডব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৮ সালে ফেসবুক ও ব্লাডম্যান যৌথভাবে ব্লাড ডোনেশন ফিচার চালু করে। আইসিটি ডিভিশনের সহযোগিতায় শুরু করা এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য ফেসবুক নোটিফিকেশনের মাধ্যমে মানুষকে জানানো কোথায় রক্তের স্বল্পতা আছে এবং কখন রক্তদান করা নিরাপদ।

এখন পর্যন্ত, ফেসবুকে রক্তদানের নোটিফিকেশন পেতে সাইনআপ করেছে ১ কোটি ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশি। ২০১৭ সালে চালু হওয়া ফেসবুকের এই ফিচারটিতে এর মধ্যে বিশ^ব্যাপী ১০ কোটিরও বেশি মানুষ রক্তদাতা হিসেবে সাইনআপ করেছে। মহামারির সময়ে জরুরি ভিত্তিতে রক্তের স্বল্পতা মেটাতে বিগত বছরে ফেসবুক এই ফিচারটি নতুনভাবে ২৬টির বেশি দেশে চালু করে।

রক্তদানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং দেশে রক্তদানের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য এবং টেকসই ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সবাই ভূমিকা রাখতে পারে। তাই কমিউনিটি-ভিত্তিক রক্ত সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করতে “ফেসবুক ইভেন্টস” নামে একটি নতুন ফিচার চালু করেছে ফেসবুক। এর মাধ্যমে ব্লাডব্যাংকগুলো তাদের প্রচার আরও নিকটস্থ করতে পারবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মুজিবুল হক বলেন, “মহামারির কারণে বাংলাদেশের হাসপাতাল এবং ব্লাডব্যাংকসমূহ রক্তসন্ধানে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।

এই সময়ে ফেসবুকের ব্লাড ডোনেশন টুল ব্লাড ব্যাংকের সঙ্গে রক্তদাতাদের যোগাযোগ ডিজিটাইজ এবং আরও সহজ করে তুলেছে। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের হাসপাতালের রোগীরা যুক্ত হয়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করে করোনাকালীন সময়ে হাতের কাছে দ্রুততম সময়ে সেবা গ্রহণ করতে পারবে।” সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১ , ৩ আষাড় ১৪২৮ ৫ জিলকদ ১৪৪২

ফেসবুকে ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশি রক্তদাতা সাইন আপ করেছে

image

চলমান কোভিড-১৯ মহামারির কঠিন সময়ে বিশে^ও বিভিন্ন দেশে ব্লাড ব্যাংকগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন রক্তদাতার। এই বছরে বিশ^ রক্তদাতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের আরও অনেক মানুষকে রক্তদানে আগ্রহী করতে ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ব্লাডম্যান।

দেশের মানুষকে স্থানীয় ব্লাডব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৮ সালে ফেসবুক ও ব্লাডম্যান যৌথভাবে ব্লাড ডোনেশন ফিচার চালু করে। আইসিটি ডিভিশনের সহযোগিতায় শুরু করা এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য ফেসবুক নোটিফিকেশনের মাধ্যমে মানুষকে জানানো কোথায় রক্তের স্বল্পতা আছে এবং কখন রক্তদান করা নিরাপদ।

এখন পর্যন্ত, ফেসবুকে রক্তদানের নোটিফিকেশন পেতে সাইনআপ করেছে ১ কোটি ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশি। ২০১৭ সালে চালু হওয়া ফেসবুকের এই ফিচারটিতে এর মধ্যে বিশ^ব্যাপী ১০ কোটিরও বেশি মানুষ রক্তদাতা হিসেবে সাইনআপ করেছে। মহামারির সময়ে জরুরি ভিত্তিতে রক্তের স্বল্পতা মেটাতে বিগত বছরে ফেসবুক এই ফিচারটি নতুনভাবে ২৬টির বেশি দেশে চালু করে।

রক্তদানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং দেশে রক্তদানের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য এবং টেকসই ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সবাই ভূমিকা রাখতে পারে। তাই কমিউনিটি-ভিত্তিক রক্ত সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করতে “ফেসবুক ইভেন্টস” নামে একটি নতুন ফিচার চালু করেছে ফেসবুক। এর মাধ্যমে ব্লাডব্যাংকগুলো তাদের প্রচার আরও নিকটস্থ করতে পারবে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মুজিবুল হক বলেন, “মহামারির কারণে বাংলাদেশের হাসপাতাল এবং ব্লাডব্যাংকসমূহ রক্তসন্ধানে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।

এই সময়ে ফেসবুকের ব্লাড ডোনেশন টুল ব্লাড ব্যাংকের সঙ্গে রক্তদাতাদের যোগাযোগ ডিজিটাইজ এবং আরও সহজ করে তুলেছে। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের হাসপাতালের রোগীরা যুক্ত হয়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করে করোনাকালীন সময়ে হাতের কাছে দ্রুততম সময়ে সেবা গ্রহণ করতে পারবে।” সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।