নিবন্ধন ছাড়া শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র (ডে-কেয়ার সেন্টার) পরিচালনা করলে জেল-জরিমানার বিধান রেখে জাতীয় সংসদে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বিল-২০২১ সংশোধিত আকারে পাস করা হয়েছে। শিশুদের মানসম্মত দিবাকালীন পরিচর্যা প্রদানকারী শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা এবং এগুলো সুষ্ঠু পরিচালনা নিশ্চিত করতে বিলে সুনির্দিষ্ট বিধান রাখা হয়েছে।
নিবন্ধন ছাড়া কেন্দ্র পরিচালনা, তথ্য গোপন, কেন্দ্র থেকে শিশু নিখোঁজ, নিষ্ঠুর আচরণ, অবহেলা, নিরাপত্তা বিপন্নকারী কাজসহ বিধি লংঘনজনিত অপরাধে সুনির্দিষ্ট দ- প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ২৫ হাজার টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা অর্থদ-সহ বিভিন্ন দ-ের বিধান করা হয়েছে।
গতকাল সংসদ অধিবেশনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। এর আগে সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বিএনপির হারুনুর রশীদ, মোশাররফ হোসেন, বেগম রুমীন ফারহানা এবং স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাবলু বিলের ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধন প্রস্তাব আনলে একটি সংশোধন গ্রহণ করা হয়। বাকি প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বিলে বেসরকারি পর্যায়ে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান করা হয়েছে। এজন্য নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠারও বিধান করা হয়েছে। বিলে সরকারি, আধা- রকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা পরিচালিত শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের নিবন্ধন প্রয়োজন হবে না বলে বিধান রাখা হয়।
এছাড়া বিলে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন, নিবন্ধন, নিবন্ধন স্থগিত, বাতিল, শিশু সেবা মূল্য, দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনা, অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময়, পরিদর্শক নিয়োগ, পরিদর্শকের ক্ষমতা, প্রশাসনিক জরিমানা, মোবাইল কোর্টের এখতিয়ার, বিধি প্রনয়ণের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১ , ৩ আষাড় ১৪২৮ ৫ জিলকদ ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
নিবন্ধন ছাড়া শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র (ডে-কেয়ার সেন্টার) পরিচালনা করলে জেল-জরিমানার বিধান রেখে জাতীয় সংসদে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বিল-২০২১ সংশোধিত আকারে পাস করা হয়েছে। শিশুদের মানসম্মত দিবাকালীন পরিচর্যা প্রদানকারী শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা এবং এগুলো সুষ্ঠু পরিচালনা নিশ্চিত করতে বিলে সুনির্দিষ্ট বিধান রাখা হয়েছে।
নিবন্ধন ছাড়া কেন্দ্র পরিচালনা, তথ্য গোপন, কেন্দ্র থেকে শিশু নিখোঁজ, নিষ্ঠুর আচরণ, অবহেলা, নিরাপত্তা বিপন্নকারী কাজসহ বিধি লংঘনজনিত অপরাধে সুনির্দিষ্ট দ- প্রদানের বিধান রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ২৫ হাজার টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা অর্থদ-সহ বিভিন্ন দ-ের বিধান করা হয়েছে।
গতকাল সংসদ অধিবেশনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। এর আগে সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, বিএনপির হারুনুর রশীদ, মোশাররফ হোসেন, বেগম রুমীন ফারহানা এবং স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাবলু বিলের ওপর জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধন প্রস্তাব আনলে একটি সংশোধন গ্রহণ করা হয়। বাকি প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বিলে বেসরকারি পর্যায়ে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান করা হয়েছে। এজন্য নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠারও বিধান করা হয়েছে। বিলে সরকারি, আধা- রকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থা পরিচালিত শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের নিবন্ধন প্রয়োজন হবে না বলে বিধান রাখা হয়।
এছাড়া বিলে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন, নিবন্ধন, নিবন্ধন স্থগিত, বাতিল, শিশু সেবা মূল্য, দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনা, অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময়, পরিদর্শক নিয়োগ, পরিদর্শকের ক্ষমতা, প্রশাসনিক জরিমানা, মোবাইল কোর্টের এখতিয়ার, বিধি প্রনয়ণের ক্ষমতাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান করা হয়েছে।