সুপ্রিম কোর্টকে জানালো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
নাগরিকত্ব দেয়ার ব্যাপারে গত ২৮ মে-র কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকার সঙ্গে ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সিএএ-বা ক্যা-এর কোন সম্পর্ক নেই। গতকাল সুপ্রিম কোর্টে দেয়া হলফনামায় স্পষ্ট জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়ে ছিল ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন অব মুসলিম লীগ। আদালত থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে এ ব্যাপারে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়ে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়।
সেই আবেদনের শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকার আদালতে তাদের বক্তব্য ও অবস্থান সম্পর্কিত হলফনামা জমা দেয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক হলফনামায় নাগরিক হিসেবে পঞ্জিকরণের ৫ নম্বর ধারা অথবা ‘গ্রান্ট অব সার্টিফিকেট অব ন্যাচারালাইজেশন’-এর ৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী গুজরাটের মরবী, রাজকোট, পাটান ও ভদোদরা, ছত্তিশগড়ের দুর্গ এবং বালোদাবাজার, রাজস্থানের উদয়পুর, জালর, পালি, বার্মার এবং শিরোহী, হরিয়ানার ফরিদাবাদ এবং পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলার জেলাশাসককে ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে যে এই সব জেলায় বসবাসকারী শরণার্থী যারা পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে অবস্থানকারী সংখ্যালঘু যারা ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে এসেছেন, তাদের শর্তসাপেক্ষে নাগরিকত্ব সনদ প্রদানের জন্যই সরকারের এই নির্দেশিকা। ঐসব দেশের সংখ্যালঘুদের বলতে বোঝানো হয়েছে হিন্দু, খ্রিস্টান, জৈন, বৌদ্ধ ও পার্শী ধর্মাবলম্বীদের আর এই নিয়েই আপত্তি ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন অব মুসলিম লীগের। সংগঠনের পক্ষ থেকে আদালতে এর বিরুদ্ধে ‘ইন্টারলোকেটারী’ আবেদন জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় সরকার হলফনামায় আরও বলছে, এই নোটিফিকেশন কোনভাবেই বিদেশিদের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র নয় বরং যারা বৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন তাদের ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব আইনের ১৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী এই নির্দেশিকা জারি করা হয়। এর সঙ্গে ক্যা বা সংশোধিত নাগরিক আইনের কোন সম্পর্ক নেই। সমগোত্রের নির্দেশিকা অতীতেও বহুবার জারি করা হয়েছে। জেলা শাসকদের এ বিষয়ে ক্ষমতা অর্পণ করা হয় যাতে এ বিষয়ক যাবতীয় আইন ও বিধি মেনে সব দিক বিচার বিবেচনা করে শর্ত-সাপেক্ষে এই ধরনের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। এটা নতুন কিছু নয়, চলমান প্রক্রিয়া।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সাল থেকেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এ ধরনের নির্দেশিকা জারি করে আসছে। ২০১৬ এবং ২০১৮ সালেও এ রকম নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এর সঙ্গে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের কোন সম্পর্ক নেই। যে কেউ ভারতে নাগরিকত্বর জন্য আবেদন করতে পারেন। কেন্দ্র সরকার এসব আবেদন পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা শাসককে শুধু ক্ষমতা প্রদান করে যাতে দেশে শরণার্থী বা আশ্রয় প্রার্থীদের আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়।
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১ , ৩ আষাড় ১৪২৮ ৫ জিলকদ ১৪৪২
সুপ্রিম কোর্টকে জানালো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
প্রতিনিধি, কলকাতা
নাগরিকত্ব দেয়ার ব্যাপারে গত ২৮ মে-র কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকার সঙ্গে ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সিএএ-বা ক্যা-এর কোন সম্পর্ক নেই। গতকাল সুপ্রিম কোর্টে দেয়া হলফনামায় স্পষ্ট জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এই নির্দেশিকার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়ে ছিল ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন অব মুসলিম লীগ। আদালত থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে এ ব্যাপারে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়ে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়।
সেই আবেদনের শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকার আদালতে তাদের বক্তব্য ও অবস্থান সম্পর্কিত হলফনামা জমা দেয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক হলফনামায় নাগরিক হিসেবে পঞ্জিকরণের ৫ নম্বর ধারা অথবা ‘গ্রান্ট অব সার্টিফিকেট অব ন্যাচারালাইজেশন’-এর ৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী গুজরাটের মরবী, রাজকোট, পাটান ও ভদোদরা, ছত্তিশগড়ের দুর্গ এবং বালোদাবাজার, রাজস্থানের উদয়পুর, জালর, পালি, বার্মার এবং শিরোহী, হরিয়ানার ফরিদাবাদ এবং পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলার জেলাশাসককে ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে যে এই সব জেলায় বসবাসকারী শরণার্থী যারা পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে অবস্থানকারী সংখ্যালঘু যারা ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে এসেছেন, তাদের শর্তসাপেক্ষে নাগরিকত্ব সনদ প্রদানের জন্যই সরকারের এই নির্দেশিকা। ঐসব দেশের সংখ্যালঘুদের বলতে বোঝানো হয়েছে হিন্দু, খ্রিস্টান, জৈন, বৌদ্ধ ও পার্শী ধর্মাবলম্বীদের আর এই নিয়েই আপত্তি ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন অব মুসলিম লীগের। সংগঠনের পক্ষ থেকে আদালতে এর বিরুদ্ধে ‘ইন্টারলোকেটারী’ আবেদন জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় সরকার হলফনামায় আরও বলছে, এই নোটিফিকেশন কোনভাবেই বিদেশিদের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র নয় বরং যারা বৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন তাদের ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব আইনের ১৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী এই নির্দেশিকা জারি করা হয়। এর সঙ্গে ক্যা বা সংশোধিত নাগরিক আইনের কোন সম্পর্ক নেই। সমগোত্রের নির্দেশিকা অতীতেও বহুবার জারি করা হয়েছে। জেলা শাসকদের এ বিষয়ে ক্ষমতা অর্পণ করা হয় যাতে এ বিষয়ক যাবতীয় আইন ও বিধি মেনে সব দিক বিচার বিবেচনা করে শর্ত-সাপেক্ষে এই ধরনের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। এটা নতুন কিছু নয়, চলমান প্রক্রিয়া।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সাল থেকেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এ ধরনের নির্দেশিকা জারি করে আসছে। ২০১৬ এবং ২০১৮ সালেও এ রকম নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এর সঙ্গে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের কোন সম্পর্ক নেই। যে কেউ ভারতে নাগরিকত্বর জন্য আবেদন করতে পারেন। কেন্দ্র সরকার এসব আবেদন পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা শাসককে শুধু ক্ষমতা প্রদান করে যাতে দেশে শরণার্থী বা আশ্রয় প্রার্থীদের আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়।