আখাউড়ায় ৬৫ বছরের বৃদ্ধকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়ার ঘটনায় মামলা না নেয়ার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় মনিয়ন্দ ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষা খারকুট গ্রামের ৬৫ বছরের বৃদ্ধ আবদুল মজিদ। এই বৃদ্ধ বয়সেও দিন মজুরের কাজ করে সংসার চালাতে হচ্ছে। ঘরে স্ট্রোক করা স্ত্রী, তিন সন্তানসহ একমাত্র মেয়ে ও মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে রয়েছে। সংসার চালাতে দিন মজুরের কাজ ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু বিনা অপরাধে হামলার শিকার হয়ে গত ৪ দিন যাবত হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন তিনি। তার দুটি পায়ে ২৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে। পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১০জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি একই এলাকার সবুজ নামের একজনকে আগের শক্রতার জেরে মারধর করেন। পরে সবুজের ছোটভাই জসিম আখাউড়া থানায় মামলা করেন। শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়ে বাড়িতে ফেরার পথে নুরুল ইসলামের ফুফাতো ভাই বৃদ্ধ আবদুল মজিদকে পুলিশ পরিচয়ে রাস্তায় ঘেরাও করেন। মুখ কাপড় দিয়ে বাধা থাকলেও মাজিদ তাদের চিনে ফেললে পালিয়ে যাবার চেষ্টা চালায়।

ধাওয়া করে ধরে আবদুল মজিদকে রড দিয়ে পিটিয়ে তার দুই পা ভেঙে জখম করেন। প্রথমে তাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। তার পায়ে ২৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় তার মেয়ে বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় মামলার আবেদন জমা দেন।

কিন্তু মামলার আবেদনটি আমলে নেননি থানা পুলিশ। আবদুল মজিদের মেয়ে ফেরদৌসা বেগম বলেন, আমার স্বামী মারা যাবার পর তিন সন্তান নিয়ে বসবাস করছি বাবার বাড়িতে। ভাইটিও মানসিক প্রতিবন্ধী। সবাই বাবার আয়ের ওপর নির্ভরশীল। বিনা অপরাধে বাবার ওপর হামলা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দিলে নথিভুক্ত নিয়ে পুলিশ টালবাহানা করছে।

বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১ , ৩ আষাড় ১৪২৮ ৫ জিলকদ ১৪৪২

আখাউড়ায় ৬৫ বছরের বৃদ্ধকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়ার ঘটনায় মামলা না নেয়ার অভিযোগ

জেলা বার্তা পরিবেশক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় মনিয়ন্দ ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষা খারকুট গ্রামের ৬৫ বছরের বৃদ্ধ আবদুল মজিদ। এই বৃদ্ধ বয়সেও দিন মজুরের কাজ করে সংসার চালাতে হচ্ছে। ঘরে স্ট্রোক করা স্ত্রী, তিন সন্তানসহ একমাত্র মেয়ে ও মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে রয়েছে। সংসার চালাতে দিন মজুরের কাজ ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু বিনা অপরাধে হামলার শিকার হয়ে গত ৪ দিন যাবত হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন তিনি। তার দুটি পায়ে ২৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে। পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১০জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি একই এলাকার সবুজ নামের একজনকে আগের শক্রতার জেরে মারধর করেন। পরে সবুজের ছোটভাই জসিম আখাউড়া থানায় মামলা করেন। শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়ে বাড়িতে ফেরার পথে নুরুল ইসলামের ফুফাতো ভাই বৃদ্ধ আবদুল মজিদকে পুলিশ পরিচয়ে রাস্তায় ঘেরাও করেন। মুখ কাপড় দিয়ে বাধা থাকলেও মাজিদ তাদের চিনে ফেললে পালিয়ে যাবার চেষ্টা চালায়।

ধাওয়া করে ধরে আবদুল মজিদকে রড দিয়ে পিটিয়ে তার দুই পা ভেঙে জখম করেন। প্রথমে তাকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। তার পায়ে ২৮টি সেলাই দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় তার মেয়ে বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় মামলার আবেদন জমা দেন।

কিন্তু মামলার আবেদনটি আমলে নেননি থানা পুলিশ। আবদুল মজিদের মেয়ে ফেরদৌসা বেগম বলেন, আমার স্বামী মারা যাবার পর তিন সন্তান নিয়ে বসবাস করছি বাবার বাড়িতে। ভাইটিও মানসিক প্রতিবন্ধী। সবাই বাবার আয়ের ওপর নির্ভরশীল। বিনা অপরাধে বাবার ওপর হামলা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দিলে নথিভুক্ত নিয়ে পুলিশ টালবাহানা করছে।