পুরোপুরি তুলে দেয়া হলো ফ্লোর প্রাইস

তৃতীয় ধাপে এসে শেয়ারবাজার থেকে পুরোপুরি ফ্লোর প্রাইস (দর পতনের সর্বনিম্ন সীমা) তুলে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একইসঙ্গে ফ্লোর তুলে দেয়াসহ সব কোম্পানির দর উত্থান-পতনের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার (সীমা) আরোপ করেছে বিএসইসি। গতকাল বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এর আগে প্রথম দফায় চলতি বছরের ৭ এপ্রিল ৬৬টি কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেয় কমিশন। এরপরে গত ৩ জুন ফ্লোর প্রাইসে থাকা বাকি ৩০ কোম্পানি থেকে নির্দেশনাটি তুলে নেয় বিএসইসি। তবে ফ্লোর তুলে দেয়া হলেও কোম্পানিগুলোর সার্কিট ব্রেকারে নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এই কোম্পানিগুলোর দর পতন হতে পারবে দিনে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ বলে জানানো হয়। এটিও এবারের নির্দেশনায় তুলে নিয়েছে কমিশন।

বিএসইসি এবারের নির্দেশনায় সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে দর উত্থান-পতনের নিম্নের সার্কিট ব্রেকার আরোপ করেছে। সার্কিট ব্রেকারের অন্য নিয়মগুলো, শেয়ার বা ইউনিটের দাম ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে থাকা প্রতিষ্ঠানের সার্কিট ব্রেকার ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শেয়ার বা ইউনিটের দাম ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। শেয়ার বা ইউনিটের দাম ১০০০ থেকে ২০০০ টাকার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। শেয়ার বা ইউনিটের দাম ২০০০ থেকে ৫০০০ হাজার টাকার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৫ শতাংশ। শেয়ার বা ইউনিটের দাম ৫০০০ টাকার উপরে হলে সার্কিট ব্রেকার ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়ে নতুন সার্কিট ব্রেকারের নিয়ম চালুর বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এটা করা হয়েছে। দেখা গেছে, ফ্লোর প্রাইসের কারণে কিছু ক্ষেত্রে লেনদেনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। সব প্রতিষ্ঠানের তারল্য প্রবাহ যাতে ঠিক থাকে, সেজন্য ফ্লোর প্রাইস ওঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন সার্কিট ব্রেকারের যে নিয়ম নির্ধারণ করা হয়েছে, তা সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।’

গত বছর দেশে মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধস নামে। পতন ঠেকাতে গত বছরের ১৯ মার্চ সে সময়ের কমিশন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়।

এক বছরেরও বেশি সময় পর নতুন কমিশন প্রথম দফায় চলতি বছরের ৭ এপ্রিল ৬৬টি কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইসের (পতনের সর্বনিম্ন সীমা) নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর গত ৩ জুন আরও ৩০ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা তুলে দেয়া হয়।

ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হলেও এ প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের দাম একদিনে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারবে বলে নিয়ম করে দেয়া হয়। আর দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা বেধে দেয়া হয় ১০ শতাংশ।

শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১ , ৪ আষাড় ১৪২৮ ৬ জিলকদ ১৪৪২

পুরোপুরি তুলে দেয়া হলো ফ্লোর প্রাইস

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

তৃতীয় ধাপে এসে শেয়ারবাজার থেকে পুরোপুরি ফ্লোর প্রাইস (দর পতনের সর্বনিম্ন সীমা) তুলে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একইসঙ্গে ফ্লোর তুলে দেয়াসহ সব কোম্পানির দর উত্থান-পতনের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার (সীমা) আরোপ করেছে বিএসইসি। গতকাল বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এর আগে প্রথম দফায় চলতি বছরের ৭ এপ্রিল ৬৬টি কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেয় কমিশন। এরপরে গত ৩ জুন ফ্লোর প্রাইসে থাকা বাকি ৩০ কোম্পানি থেকে নির্দেশনাটি তুলে নেয় বিএসইসি। তবে ফ্লোর তুলে দেয়া হলেও কোম্পানিগুলোর সার্কিট ব্রেকারে নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এই কোম্পানিগুলোর দর পতন হতে পারবে দিনে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ বলে জানানো হয়। এটিও এবারের নির্দেশনায় তুলে নিয়েছে কমিশন।

বিএসইসি এবারের নির্দেশনায় সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে দর উত্থান-পতনের নিম্নের সার্কিট ব্রেকার আরোপ করেছে। সার্কিট ব্রেকারের অন্য নিয়মগুলো, শেয়ার বা ইউনিটের দাম ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে থাকা প্রতিষ্ঠানের সার্কিট ব্রেকার ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শেয়ার বা ইউনিটের দাম ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। শেয়ার বা ইউনিটের দাম ১০০০ থেকে ২০০০ টাকার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। শেয়ার বা ইউনিটের দাম ২০০০ থেকে ৫০০০ হাজার টাকার ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকার ৫ শতাংশ। শেয়ার বা ইউনিটের দাম ৫০০০ টাকার উপরে হলে সার্কিট ব্রেকার ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়ে নতুন সার্কিট ব্রেকারের নিয়ম চালুর বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এটা করা হয়েছে। দেখা গেছে, ফ্লোর প্রাইসের কারণে কিছু ক্ষেত্রে লেনদেনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। সব প্রতিষ্ঠানের তারল্য প্রবাহ যাতে ঠিক থাকে, সেজন্য ফ্লোর প্রাইস ওঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন সার্কিট ব্রেকারের যে নিয়ম নির্ধারণ করা হয়েছে, তা সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে।’

গত বছর দেশে মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধস নামে। পতন ঠেকাতে গত বছরের ১৯ মার্চ সে সময়ের কমিশন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়।

এক বছরেরও বেশি সময় পর নতুন কমিশন প্রথম দফায় চলতি বছরের ৭ এপ্রিল ৬৬টি কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইসের (পতনের সর্বনিম্ন সীমা) নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর গত ৩ জুন আরও ৩০ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা তুলে দেয়া হয়।

ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হলেও এ প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের দাম একদিনে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারবে বলে নিয়ম করে দেয়া হয়। আর দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা বেধে দেয়া হয় ১০ শতাংশ।