ভোক্তার কাছ থেকে নিয়েছে ভ্যাট, দেয়নি সরকারকে

চলতি বছর জানুয়ারিতে ব্যবসা শুরু করা করে ‘টেপটেলস’ নামের একটি রেস্টুরেন্ট। শুরুর পর ক্রেতাদের কাছ থেকে ভ্যাট নিলেও তা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি। এমনকি রেস্তোরাঁটির ভ্যাট নিবন্ধনই নেই। অভিজাত এই রেস্তোরাঁয় শুরু থেকেই গ্রাহকের কাছ থেকে খাবারের বিলের সঙ্গে সরকারকে দেয়ার জন্য অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট বা মূসক নেয়া হচ্ছিল। গ্রাহককে সেটির চালানের কপিও দেয়া হচ্ছিল। তবে সেটি ‘ভুয়া’ বলে দাবি করেন ভ্যাট গোয়েন্দারা।

শেষ পর্যন্ত একজন গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার টেপটেলস এ অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে ভ্যাট আইনে মামলা করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর। গত বুধবার ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ৫ মাসে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। শুধু কাগজের চালান ভুয়া ছিল তাই নয়, কেউ ডিজিটাল সিস্টেমে বিল দিতে চাইলে তার কাছ থেকে ভ্যাটসহ বিল নেয়া হয় পিওএস মেশিনের মাধ্যমে। কিন্তু মেশিনটিরও মূসক নিবন্ধন নেই। ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেন, ‘একজন গ্রাহকের কাছ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুনাওয়ার মুরসালীনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১ , ৪ আষাড় ১৪২৮ ৬ জিলকদ ১৪৪২

ভোক্তার কাছ থেকে নিয়েছে ভ্যাট, দেয়নি সরকারকে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

চলতি বছর জানুয়ারিতে ব্যবসা শুরু করা করে ‘টেপটেলস’ নামের একটি রেস্টুরেন্ট। শুরুর পর ক্রেতাদের কাছ থেকে ভ্যাট নিলেও তা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি। এমনকি রেস্তোরাঁটির ভ্যাট নিবন্ধনই নেই। অভিজাত এই রেস্তোরাঁয় শুরু থেকেই গ্রাহকের কাছ থেকে খাবারের বিলের সঙ্গে সরকারকে দেয়ার জন্য অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট বা মূসক নেয়া হচ্ছিল। গ্রাহককে সেটির চালানের কপিও দেয়া হচ্ছিল। তবে সেটি ‘ভুয়া’ বলে দাবি করেন ভ্যাট গোয়েন্দারা।

শেষ পর্যন্ত একজন গ্রাহকের অভিযোগের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার টেপটেলস এ অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে ভ্যাট আইনে মামলা করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর। গত বুধবার ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ৫ মাসে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। শুধু কাগজের চালান ভুয়া ছিল তাই নয়, কেউ ডিজিটাল সিস্টেমে বিল দিতে চাইলে তার কাছ থেকে ভ্যাটসহ বিল নেয়া হয় পিওএস মেশিনের মাধ্যমে। কিন্তু মেশিনটিরও মূসক নিবন্ধন নেই। ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেন, ‘একজন গ্রাহকের কাছ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুনাওয়ার মুরসালীনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।