বাড়ি পাচ্ছে ৫৩ হাজার গৃহহীন পরিবার

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মধ্যে আরও ৫৩ হাজার ৩৪০টি জমিসহ বাড়ি বিতরণ করা হবে। আগামী ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই গৃহহীনদের মধ্যে বাড়ি বিতরণ করবেন। এসব পরিবারকে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে বিনামূল্যে দুই শতাংশ জমিসহ সেমিপাকা ঘর প্রদান করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের আওতায় এর আগে আরও ৭০ হাজার পরিবার নতুন বাড়ি পেয়েছে।

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ১ লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব। একসঙ্গে এত মানুষকে বিনামূল্যে বাড়ি-ঘর দেয়ার ঘটনা পৃথিবীতে নজিরবিহীন মন্তব্য করে আহমদ কায়কাউস বলেন, বিভিন্ন দেশে ভূমিহীন, গৃহহীনদের ঘরবাড়ি নির্মাণের জন্য সুদবিহীন ঋণ দেয়ার নজির আছে, কিন্তু ভূমিহীন-গৃহহীনদের ডেকে বাড়ি-ঘর দেয়ার নজির আর নেই।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, অসহায় মানুষকে এভাবে ঘর দেয়া ‘অন্তর্ভুক্তি উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল’। বিশ্বে এটা নতুন মডেল, আগে কখনও কেউ এটা ভাবেননি। সরকার অসহায় ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর দেয়ার পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থানে প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে আহমদ কায়কাউস বলেন, অনিয়মের অভিযোগ এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অনিয়মের বিষয়ে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য তৈরি খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন মুখ্য সচিব। বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ একক জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে নির্মিত ১৯টি বহুতল ভবনে ৬০০টি পরিবারকে একটি করে ফ্ল্যাট প্রদান করেন।

খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করে আরও ৩ হাজার ৮০৯টি পরিবারের পুনর্বাসন কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান মুখ্য সচিব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী প্রমুখ।

শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১ , ৪ আষাড় ১৪২৮ ৬ জিলকদ ১৪৪২

মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে

বাড়ি পাচ্ছে ৫৩ হাজার গৃহহীন পরিবার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মধ্যে আরও ৫৩ হাজার ৩৪০টি জমিসহ বাড়ি বিতরণ করা হবে। আগামী ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই গৃহহীনদের মধ্যে বাড়ি বিতরণ করবেন। এসব পরিবারকে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে বিনামূল্যে দুই শতাংশ জমিসহ সেমিপাকা ঘর প্রদান করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পের আওতায় এর আগে আরও ৭০ হাজার পরিবার নতুন বাড়ি পেয়েছে।

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ১ লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব। একসঙ্গে এত মানুষকে বিনামূল্যে বাড়ি-ঘর দেয়ার ঘটনা পৃথিবীতে নজিরবিহীন মন্তব্য করে আহমদ কায়কাউস বলেন, বিভিন্ন দেশে ভূমিহীন, গৃহহীনদের ঘরবাড়ি নির্মাণের জন্য সুদবিহীন ঋণ দেয়ার নজির আছে, কিন্তু ভূমিহীন-গৃহহীনদের ডেকে বাড়ি-ঘর দেয়ার নজির আর নেই।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, অসহায় মানুষকে এভাবে ঘর দেয়া ‘অন্তর্ভুক্তি উন্নয়নে শেখ হাসিনা মডেল’। বিশ্বে এটা নতুন মডেল, আগে কখনও কেউ এটা ভাবেননি। সরকার অসহায় ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর দেয়ার পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থানে প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে আহমদ কায়কাউস বলেন, অনিয়মের অভিযোগ এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অনিয়মের বিষয়ে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য তৈরি খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন মুখ্য সচিব। বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ একক জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে নির্মিত ১৯টি বহুতল ভবনে ৬০০টি পরিবারকে একটি করে ফ্ল্যাট প্রদান করেন।

খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পে দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করে আরও ৩ হাজার ৮০৯টি পরিবারের পুনর্বাসন কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান মুখ্য সচিব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী প্রমুখ।