চার জেলায় করোনায় মৃত্যু ৪ শনাক্ত ২৪৮

কুষ্টিয়ায় মৃত্যু ৪ শনাক্ত ১৫৬

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ায় দ্রুত বদলে যাচ্ছে করোনার দৃশ্যপট। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বৃহস্পতিবার জেলায় রোগী শনাক্তের সংখ্যা দেড়শ’র কোঠা পেরিয়েছে। এ দিন ৪ জন করোনা রোগী মারা গেছেন, শনাক্ত হয়েছে ১৫৬ জন করোনা রোগী। কুষ্টিয়ায় ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে করোনাভাইরাস।

গত বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে মোট ৩৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৫৬টি পজিটিভ হয়। পরীক্ষার বিপরীতে আক্রান্তের হার ৩৯.০৬ শতাংশ। জেলার মধ্যে কুমারখালী উপজেলায় শনাক্তের হার মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

নতুন শনাক্ত হওয়ার রোগীর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় সর্ব্বোচ্চ ৭৭ জন, কুমারখালী উপজেলায় ২৮ জন, মিরপুর উপজেলায় ১৯ জন, দৌলতপুর উপজেলায় ১৭ জন, খোকসা উপজেলায় ৫ জন ও ভেড়ামারা উপজেলায় ১০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদিন আক্রান্ত রোগীর মধ্যে মারা গেছেন ৪ জন।

এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৬০৬৩ জন, সুস্থ হয়েছেন ৪৯৪৭ জন। মারা গেছেন ১৪০ জন।

গত শনিবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য জেলা প্রশাসন এক সপ্তাহের জন্য কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে। শুক্রবার মধ্যরাতে তা শেষ হয়। তবে এর মধ্যেও জেলায় করোনা সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বেড়েই চলেছে। তবে বিধিনিষেধের শর্তগুলো কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ ছিল। মাঠপর্যায়ে তা খুব একটা বাস্তবায়ন হয়নি। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

জেলার সিভিল সার্জন এইচএম আনোয়ারুল ইসলাম জেলায় বারবার সম্পূর্ণ কঠোর লকডাউনের পরামর্শ দিয়ে আসলেও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি তা আমলে নেয়নি। মাঠপর্যায়ে দুই-একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, শহরের প্রবেশ মুখে কিছু গাড়ি আটকে দেওয়া ছাড়া আর কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। এ কারণেই করোনা দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ জন করোনা রোগী ভর্তি হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার ৭৪ শয্যার জায়গায় ১০০ শয্যা করা হয়েছে। সেখানে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ৮২ জন পজিটিভ ও ৩০ জন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। রোগী ভর্তির হার বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে জরুরি রোগী ভর্তি ছাড়া অন্য কোনো রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না। জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন বলেন, দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। চিকিৎসকেরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালকে কোভিড ডেডিকেটেড ঘোষণা ছাড়া কোনা উপায় দেখছি না।

ঈশ্বরদীতে শনাক্ত ৫১

প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী (পাবনা)

ঈশ্বরদীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসমা খান গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় এ বিষয়টি গণমাধ্যমে কাছে নিশ্চিত করে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করে সরকারি ল্যাবে পরীক্ষায় ১৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে আরো ৩৪ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশের বাড়ি ঈশ্বরদীতে নয়। তারা ঈশ্বরদীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। আক্রান্তদের সবাই নিজ নিজ বাসভবনে চিকিৎসাধীন আছেন।

কিশোরগঞ্জে

শনাক্ত ৩৪

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে নতুন ৩৪ জনের করোনা ধরা পড়েছে। এদের ২৭ জনই সদরে। আর নতুন সুস্থ হওয়া ১০ জনই সদরের। সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৪০টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন ৩১টি আর পুরনো রোগীদের ৬টি নমুনা পজিটিভ হয়েছে। জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবের পরীক্ষায় ৬৪টি নমুনাই নেগেটিভ হয়েছে। অন্যদিকে জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতাল ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০টি নমুনার র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ৩টি পজিটিভ হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদরে ২৭ জন, পাকুন্দিয়ায় ৪ জন, আর হোসেনপুর, করিমগঞ্জ ও ভৈরবে একজন করে। বৃহস্পতিবার জেলায় সর্বশেষ করোনায় চিকিৎসাধীন ছিলেন ২৭৩ জন।

নবাবগঞ্জে

শনাক্ত ৭

প্রতিনিধি, দোহার (ঢাকা)

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে আরও ৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ হাজার ৫৪ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৯৭৮ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৯ জন। নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গতকাল শুক্রবার সকালে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ জানান, গত ১৭ জুন ঢাকায় পাঠানো ২৭ জনের নমুনা থেকে নতুন করে আরও ৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়া ৭ জনের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে আক্রান্তর স্বজনদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট ১ হাজার ৫৪ জন। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের পর মোট সুস্থ হয়েছে ৯৭৮ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ১৯ জন।

শনিবার, ১৯ জুন ২০২১ , ৫ আষাঢ় ১৪২৮ ৭ জিলকদ ১৪৪২

চার জেলায় করোনায় মৃত্যু ৪ শনাক্ত ২৪৮

image

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে শয্যা বাড়িয়েও রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম ডাক্তাররা -সংবাদ

কুষ্টিয়ায় মৃত্যু ৪ শনাক্ত ১৫৬

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ায় দ্রুত বদলে যাচ্ছে করোনার দৃশ্যপট। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বৃহস্পতিবার জেলায় রোগী শনাক্তের সংখ্যা দেড়শ’র কোঠা পেরিয়েছে। এ দিন ৪ জন করোনা রোগী মারা গেছেন, শনাক্ত হয়েছে ১৫৬ জন করোনা রোগী। কুষ্টিয়ায় ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে করোনাভাইরাস।

গত বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে মোট ৩৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৫৬টি পজিটিভ হয়। পরীক্ষার বিপরীতে আক্রান্তের হার ৩৯.০৬ শতাংশ। জেলার মধ্যে কুমারখালী উপজেলায় শনাক্তের হার মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

নতুন শনাক্ত হওয়ার রোগীর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় সর্ব্বোচ্চ ৭৭ জন, কুমারখালী উপজেলায় ২৮ জন, মিরপুর উপজেলায় ১৯ জন, দৌলতপুর উপজেলায় ১৭ জন, খোকসা উপজেলায় ৫ জন ও ভেড়ামারা উপজেলায় ১০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদিন আক্রান্ত রোগীর মধ্যে মারা গেছেন ৪ জন।

এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৬০৬৩ জন, সুস্থ হয়েছেন ৪৯৪৭ জন। মারা গেছেন ১৪০ জন।

গত শনিবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য জেলা প্রশাসন এক সপ্তাহের জন্য কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে। শুক্রবার মধ্যরাতে তা শেষ হয়। তবে এর মধ্যেও জেলায় করোনা সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বেড়েই চলেছে। তবে বিধিনিষেধের শর্তগুলো কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ ছিল। মাঠপর্যায়ে তা খুব একটা বাস্তবায়ন হয়নি। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

জেলার সিভিল সার্জন এইচএম আনোয়ারুল ইসলাম জেলায় বারবার সম্পূর্ণ কঠোর লকডাউনের পরামর্শ দিয়ে আসলেও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি তা আমলে নেয়নি। মাঠপর্যায়ে দুই-একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, শহরের প্রবেশ মুখে কিছু গাড়ি আটকে দেওয়া ছাড়া আর কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। এ কারণেই করোনা দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ জন করোনা রোগী ভর্তি হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার ৭৪ শয্যার জায়গায় ১০০ শয্যা করা হয়েছে। সেখানে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ৮২ জন পজিটিভ ও ৩০ জন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। রোগী ভর্তির হার বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে জরুরি রোগী ভর্তি ছাড়া অন্য কোনো রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না। জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন বলেন, দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি। চিকিৎসকেরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালকে কোভিড ডেডিকেটেড ঘোষণা ছাড়া কোনা উপায় দেখছি না।

ঈশ্বরদীতে শনাক্ত ৫১

প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী (পাবনা)

ঈশ্বরদীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসমা খান গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় এ বিষয়টি গণমাধ্যমে কাছে নিশ্চিত করে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করে সরকারি ল্যাবে পরীক্ষায় ১৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে আরো ৩৪ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশের বাড়ি ঈশ্বরদীতে নয়। তারা ঈশ্বরদীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। আক্রান্তদের সবাই নিজ নিজ বাসভবনে চিকিৎসাধীন আছেন।

কিশোরগঞ্জে

শনাক্ত ৩৪

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জে নতুন ৩৪ জনের করোনা ধরা পড়েছে। এদের ২৭ জনই সদরে। আর নতুন সুস্থ হওয়া ১০ জনই সদরের। সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৪০টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন ৩১টি আর পুরনো রোগীদের ৬টি নমুনা পজিটিভ হয়েছে। জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবের পরীক্ষায় ৬৪টি নমুনাই নেগেটিভ হয়েছে। অন্যদিকে জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতাল ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০টি নমুনার র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ৩টি পজিটিভ হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদরে ২৭ জন, পাকুন্দিয়ায় ৪ জন, আর হোসেনপুর, করিমগঞ্জ ও ভৈরবে একজন করে। বৃহস্পতিবার জেলায় সর্বশেষ করোনায় চিকিৎসাধীন ছিলেন ২৭৩ জন।

নবাবগঞ্জে

শনাক্ত ৭

প্রতিনিধি, দোহার (ঢাকা)

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে আরও ৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ হাজার ৫৪ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৯৭৮ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৯ জন। নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গতকাল শুক্রবার সকালে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ জানান, গত ১৭ জুন ঢাকায় পাঠানো ২৭ জনের নমুনা থেকে নতুন করে আরও ৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়া ৭ জনের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে আক্রান্তর স্বজনদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট ১ হাজার ৫৪ জন। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের পর মোট সুস্থ হয়েছে ৯৭৮ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ১৯ জন।