ঢাকায় বেড়েছে শনাক্তের হার মৃত্যু কমেছে

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৩৯৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৩ জন। মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৯৭০ জনে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গতকাল শনাক্তের হার ছিল ১৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এটি গত দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ১৮ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১৯ শতাংশ। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৫৫ জন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৪২১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২১ হাজার ৩৭৩টি, অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২০ হাজার ৮৮২টি। এখন পর্যন্ত ৬২ লাখ ৮৮ হাজার ৫৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তারা আরও জানায়, শনাক্ত বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০ নমুনায় ১৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় প্রতি ১০০ জনে সুস্থ হয়েছেন ৯২ দশমিক ১২ শতাংশ এবং মারা গেছেন ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

এখন পর্যন্ত মোট মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৬২৩ জন এবং নারী ৩ হাজার ৭৭৬ জন।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, ৬০ ঊর্ধ্ব ২৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৫ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ১২ জন, চট্টগ্রামে ১৫ জন, রাজশাহীতে ১২ জন, খুলনায় ৮ জন, বরিশালে ৪ জন, সিলেটে ২ জন ও ময়মনসিংহে ১ জন। ২৪ ঘণ্টায় সরকারি হাসপাতালে ৫১ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১ জন এবং বাসায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এদিকে, করোনা সংক্রমণ সম্প্রতি বাড়তে শুরু করলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব রক্ষাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় আগের চেয়ে বেশি অনীহা দেখা গেছে। গতকাল রাজধানীর কাঁচাবাজার, বিপণীবিতান, পথ-ঘাট, প্রার্থনালয়সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে উপেক্ষার এমন চিত্র দেখা যায়। রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাস্ক ছাড়াই বাজারে ঘোরাফেরা করছেন অনেকে। বিক্রেতাদের মধ্যেও রয়েছে মাস্ক না পরার প্রবণতা। সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা থাকলেও তা কার্যকরে সরকারি কোন উদ্যোগও এ সময় দেখা যায়নি।

শনিবার, ১৯ জুন ২০২১ , ৫ আষাঢ় ১৪২৮ ৭ জিলকদ ১৪৪২

ঢাকায় বেড়েছে শনাক্তের হার মৃত্যু কমেছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৩৯৯ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৩ জন। মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৯৭০ জনে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গতকাল শনাক্তের হার ছিল ১৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এটি গত দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ১৮ এপ্রিল শনাক্তের হার ছিল ১৯ শতাংশ। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৯৫৫ জন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৪২১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২১ হাজার ৩৭৩টি, অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২০ হাজার ৮৮২টি। এখন পর্যন্ত ৬২ লাখ ৮৮ হাজার ৫৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তারা আরও জানায়, শনাক্ত বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০ নমুনায় ১৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় প্রতি ১০০ জনে সুস্থ হয়েছেন ৯২ দশমিক ১২ শতাংশ এবং মারা গেছেন ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

এখন পর্যন্ত মোট মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৯ হাজার ৬২৩ জন এবং নারী ৩ হাজার ৭৭৬ জন।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, ৬০ ঊর্ধ্ব ২৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৫ জন এবং ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন মারা গেছেন। বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ১২ জন, চট্টগ্রামে ১৫ জন, রাজশাহীতে ১২ জন, খুলনায় ৮ জন, বরিশালে ৪ জন, সিলেটে ২ জন ও ময়মনসিংহে ১ জন। ২৪ ঘণ্টায় সরকারি হাসপাতালে ৫১ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১ জন এবং বাসায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এদিকে, করোনা সংক্রমণ সম্প্রতি বাড়তে শুরু করলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব রক্ষাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় আগের চেয়ে বেশি অনীহা দেখা গেছে। গতকাল রাজধানীর কাঁচাবাজার, বিপণীবিতান, পথ-ঘাট, প্রার্থনালয়সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে উপেক্ষার এমন চিত্র দেখা যায়। রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাস্ক ছাড়াই বাজারে ঘোরাফেরা করছেন অনেকে। বিক্রেতাদের মধ্যেও রয়েছে মাস্ক না পরার প্রবণতা। সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা থাকলেও তা কার্যকরে সরকারি কোন উদ্যোগও এ সময় দেখা যায়নি।