নন্দীগ্রামে ভোটগণনায় কারচুপির মামলা

হাইকোর্টে অনুপস্থিত মমতা, পিছিয়ে গেল শুনানি

বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রাম আসনের ফল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে করা ভোটগণনায় কারচুপির মামলার শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেল। আনন্দবাজার

গতকাল নির্ধারিত দিনে মামলার শুনানিতে বাদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি উপস্থিত হননি। ফলে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে শুনানির তারিখ। আগামী ২৪ জুন হবে এ মামলার পরবর্তী শুনানি। কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী এই ধরনের মামলার শুনানির সময় আবেদনকারীর আদালতে উপস্থিত থাকার কথা। মামলার আবেদন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাই আদালতে তার উপস্থিত থাকার বিষয়টি উত্থাপন করেন বিচারপতি। মুখ্যমন্ত্রী শুনানির সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন কি-না তা মমতার আইনজীবীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে মমতার আইনজীবী জানান, যা নিয়ম আছে তা মানা হবে। তবে বিধানসভার ফল সংক্রান্ত মামলাটি বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে ওঠা নিয়ে প্রতিবাদ জানান আইনজীবীদের একাংশ। তাদের দাবি, বিচারপতি কৌশিক চন্দ এক সময় বিজেপির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। সে কারণে এ মামলার সুষ্ঠু বিচার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। গত ২ মে ভোটের ফলপ্রকাশের পরই মমতা নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ভোট গণনার দিন টান টান উত্তেজনায় প্রথমে খবর আসে, ১২০০ ভোটে নন্দীগ্রামে জয়ী হয়েছেন মমতা।

তার ঠিক কিছুক্ষণ পরেই আবার খবর আসে, নন্দীগ্রামে মমতা নয়, জিতেছেন শুভেন্দু। ১৯০০-র কিছু বেশি ভোটের ব্যবধানে তিনি জিতেছেন নন্দীগ্রামে। পরে শুভেন্দুকে জয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। তখন থেকেই গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছে মমতার তৃণমূল কংগ্রেস। গণনায় কারচুপির অভিযোগে একাধিক বিষয় তুলে ধরা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। গণনার সময়ে দুই ঘণ্টার জন্য সার্ভার চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। তা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছে জোড়াফুল শিবির। এ ছাড়াও মমতা ১২শ’ ভোটে জিতে গেছেন; এমন খবর প্রকাশ্যে আসার পরও নতুন করে গণনা করে শুভেন্দুকে জয়ী ঘোষণার বিষয়টি ভালো চোখে দেখেনি কংগ্রেস।

শনিবার, ১৯ জুন ২০২১ , ৫ আষাঢ় ১৪২৮ ৭ জিলকদ ১৪৪২

নন্দীগ্রামে ভোটগণনায় কারচুপির মামলা

হাইকোর্টে অনুপস্থিত মমতা, পিছিয়ে গেল শুনানি

image

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি

বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রাম আসনের ফল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে করা ভোটগণনায় কারচুপির মামলার শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেল। আনন্দবাজার

গতকাল নির্ধারিত দিনে মামলার শুনানিতে বাদী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি উপস্থিত হননি। ফলে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে শুনানির তারিখ। আগামী ২৪ জুন হবে এ মামলার পরবর্তী শুনানি। কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী এই ধরনের মামলার শুনানির সময় আবেদনকারীর আদালতে উপস্থিত থাকার কথা। মামলার আবেদন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাই আদালতে তার উপস্থিত থাকার বিষয়টি উত্থাপন করেন বিচারপতি। মুখ্যমন্ত্রী শুনানির সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন কি-না তা মমতার আইনজীবীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে মমতার আইনজীবী জানান, যা নিয়ম আছে তা মানা হবে। তবে বিধানসভার ফল সংক্রান্ত মামলাটি বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে ওঠা নিয়ে প্রতিবাদ জানান আইনজীবীদের একাংশ। তাদের দাবি, বিচারপতি কৌশিক চন্দ এক সময় বিজেপির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। সে কারণে এ মামলার সুষ্ঠু বিচার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। গত ২ মে ভোটের ফলপ্রকাশের পরই মমতা নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ভোট গণনার দিন টান টান উত্তেজনায় প্রথমে খবর আসে, ১২০০ ভোটে নন্দীগ্রামে জয়ী হয়েছেন মমতা।

তার ঠিক কিছুক্ষণ পরেই আবার খবর আসে, নন্দীগ্রামে মমতা নয়, জিতেছেন শুভেন্দু। ১৯০০-র কিছু বেশি ভোটের ব্যবধানে তিনি জিতেছেন নন্দীগ্রামে। পরে শুভেন্দুকে জয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। তখন থেকেই গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছে মমতার তৃণমূল কংগ্রেস। গণনায় কারচুপির অভিযোগে একাধিক বিষয় তুলে ধরা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। গণনার সময়ে দুই ঘণ্টার জন্য সার্ভার চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। তা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলেছে জোড়াফুল শিবির। এ ছাড়াও মমতা ১২শ’ ভোটে জিতে গেছেন; এমন খবর প্রকাশ্যে আসার পরও নতুন করে গণনা করে শুভেন্দুকে জয়ী ঘোষণার বিষয়টি ভালো চোখে দেখেনি কংগ্রেস।