কে এই ত্ব-হা

নানা প্রশ্ন, হঠাৎ করে ইসলামী বক্তা হিসেবে আবির্ভূত

কোন মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেনি। পবিত্র ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিশেষ করে কোরআন-হাদীস সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণাও নেই। গান বাজনা, খেলাধুলা আর লাবাঙ্গা স্টাইলে ঘোরাফেরা ৩১ বছর বয়সী যুবকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীদের সম্পর্কে আপত্তিকর কথা আর ঢাকা শহরকে কেয়ামতের শহর বলে ফতোয়া দিয়ে বনে যান তথাকথিত ইসলামী বক্তা। নিজের নাম আফসানুল আদনান পরিবর্তন করে আবু ত্ব-হা আদনান ধারণ করেন। যিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে বলেন, শেখ হাসিনা দেশ চালায় না দেশ চালায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’।

হঠাৎ শিরোনামে আসা ব্যক্তিটি সম্প্রতি নিখোঁজ হওয়ার ৮ দিন পর রংপুর নগরীর মাস্টারপাড়া মহল্লায় শ্বশুর বাড়িতে ফিরে আসেন গত শুক্রবার। পুলিশের কাছে দাবি করেন সেচ্ছায় তিনি গাইবান্ধা জেলার ত্রিমোহনীতে বন্ধু সিয়ামের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। গত শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট একেএম হাফিজার রহমানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গান বাজনা, খেলাধুলা আর লাবাঙ্গা স্টাইলে ঘোরাফেরা যুবকটি হঠাৎ করে ইসলামী বক্তা হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে রংপুরে তার বন্ধুমহল ও স্বজনদের কাছে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। বন্ধুরা তার অসততার কথা বলেছেন। তার মধ্যে সততার অভাব।

এদিকে ৮ দিন নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার দুপুরে নিজের বাড়ি নগরীর সেন্ট্রাল রোড এলাকায় না এসে নগরীর চার তলা মোড়স্থ মাস্টারপাড়া মহল্লায় শ্বশুর বাড়িতে আসা নিয়েও নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এরপর পুলিশ এসে ত্ব-হা আদনানকে গাড়িতে করে নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ ডিবি অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে দুঘণ্টা পর রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মারুফ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ত্ব-হা আদনান গাইবান্ধা জেলার ত্রিমোহনী এলাকায় তার বন্ধু সিয়ামের বাড়িতে সেচ্ছায় আত্মগোপন করে ছিলেন। এদিকে সিয়ামের বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকার যে গল্প বানিয়েছে আদনান সেটা পুরোটাই মিথ্যা বলে দাবি করা হয়েছে। সিয়ামের বাড়ির পাশেই বসবাসকারী বোয়ালীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সিয়ামের চাচা আবদুল্লাহ খান জানিয়েছেন, ওই বাড়িতে কেউ আসেনি বা অবস্থান করেনি। সিয়ামদের বাড়িতে কেউই থাকে না। ত্ব-হা আদনানের বক্তব্য ডাহা মিথ্যা।

এদিকে ত্ব-হা কি কারণে আত্মগোপন করে ছিলেন তার কোন ব্যাখ্যা পুলিশ দেয়নি। এমনকি ত্ব-হা আদনানসহ তার দুই সহযোগীকেও সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়নি। এ ঘটনায় বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেন আসামি বা বাদী না হলেও ত্ব-হা আদনানসহ তিনজনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করাল পুলিশ। আইনগতভাবে এটা সঠিক কিনা। এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে রংপুরের সিনিয়র আইনজীবী রইছ উদ্দিন বাদশা বলেন, ত্ব-হা আদনান ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই, তারা কেউই মামলার বাদী বা ভিকটিম নয়, ফলে তাদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়ার আইনগত কোন ভিত্তি নেই।

এদিকে একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেছেন, তার বক্তব্যকে সমর্থন করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়ার ঘটনায় আইনের ব্যত্যয় হয়েছে।

কে এই ত্ব-হা

স্বজন ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩১ বছর বয়সী ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনানের প্রকৃত নাম আফসানুল আমিন। তাদের আদি বাড়ি রাজশাহীতে হলেও রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ আহলে হাদীস মসজিদ সংলগ্ন নানা বাড়িতেই বেড়ে ওঠা। এখান থেকেই রংপুর লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও রংপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর রংপুর কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে দর্শন বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। কোরআন-হাদীস সম্পর্কে তার পুথিগত কোন জ্ঞান ছিল না। কোনদিন ওই লাইনে পড়াশোনাও করেননি। আহলে হাদীস অনুসারী আদনান রংপুরের জামিয়া সালাফিয়া মাদ্রসার কয়েকজন আলেমের কাছ থেকে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে দিক্ষা নিয়েছেন বলে দাবি করতেন। ২০১৮ সালে আলোকিত জ্ঞানী প্রতিযোগিতায় প্রথম রার্নাসআপ হওয়ার পর হঠাৎ তিনি একজন আলেম হিসেবে পরিচয় দেয়া শুরু করেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের নামে ফেইসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন। পাবলিক বাসে নারীরা পুরুষদের সঙ্গে অফিসে যাওয়া নিয়ে ব্যাঙ্গ করে ফতোয়া দেন, নারী সহকর্মী পুরুষদের সঙ্গে কথা বললে তারা দাজ্জাল বাহিনীর সদস্য বলে মন্তব্য করেন।

ব্যক্তিগত জীবনেও তার অসততার কথা বলেন বন্ধুরা। তার ঘনিষ্ট বন্ধু মারুফ রহমান ও সাজ্জাদ জানান, প্রথম স্ত্রী হাবিবা নুরের সঙ্গে বিয়ের পর ত্ব-হা আরও বেশ কয়েক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন। দেড় মাস বয়সী ছেলে ও তিন বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে তার। এরপরও ঢাকায় সাকিবুন নাহার সারা নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেন তিন মাস আগে প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়েই। সেই মহিলার এর আগে তিনটি বিয়ে হয়েছিল। ছাত্র জীবনে এক মেয়েকে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন বলে তার বন্ধুরা জানিয়েছেন। নিজে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন না বলে জানা গেছে স্বজন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে। তার বাসার পাশে আহলে হাদীস সম্প্রদায়ের মসজিদ থাকলেও সেখানে তাকে সব সময় নামাজ আদায় করতে দেখা যায়নি বলে কয়েকজন মুসল্লি জানিয়েছেন।

সার্বিক বিষয়ে জানতে আদনানের বাসায় গেলে তার মা আজফা বেগম বের হয়ে এসে জানান, আদনান অসুস্থ কথা বলবেন না।

রবিবার, ২০ জুন ২০২১ , ৬ আষাঢ় ১৪২৮ ৮ জিলকদ ১৪৪২

কে এই ত্ব-হা

নানা প্রশ্ন, হঠাৎ করে ইসলামী বক্তা হিসেবে আবির্ভূত

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর

image

কোন মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেনি। পবিত্র ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিশেষ করে কোরআন-হাদীস সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণাও নেই। গান বাজনা, খেলাধুলা আর লাবাঙ্গা স্টাইলে ঘোরাফেরা ৩১ বছর বয়সী যুবকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীদের সম্পর্কে আপত্তিকর কথা আর ঢাকা শহরকে কেয়ামতের শহর বলে ফতোয়া দিয়ে বনে যান তথাকথিত ইসলামী বক্তা। নিজের নাম আফসানুল আদনান পরিবর্তন করে আবু ত্ব-হা আদনান ধারণ করেন। যিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে বলেন, শেখ হাসিনা দেশ চালায় না দেশ চালায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’।

হঠাৎ শিরোনামে আসা ব্যক্তিটি সম্প্রতি নিখোঁজ হওয়ার ৮ দিন পর রংপুর নগরীর মাস্টারপাড়া মহল্লায় শ্বশুর বাড়িতে ফিরে আসেন গত শুক্রবার। পুলিশের কাছে দাবি করেন সেচ্ছায় তিনি গাইবান্ধা জেলার ত্রিমোহনীতে বন্ধু সিয়ামের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। গত শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট একেএম হাফিজার রহমানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গান বাজনা, খেলাধুলা আর লাবাঙ্গা স্টাইলে ঘোরাফেরা যুবকটি হঠাৎ করে ইসলামী বক্তা হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে রংপুরে তার বন্ধুমহল ও স্বজনদের কাছে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। বন্ধুরা তার অসততার কথা বলেছেন। তার মধ্যে সততার অভাব।

এদিকে ৮ দিন নিখোঁজ থাকার পর শুক্রবার দুপুরে নিজের বাড়ি নগরীর সেন্ট্রাল রোড এলাকায় না এসে নগরীর চার তলা মোড়স্থ মাস্টারপাড়া মহল্লায় শ্বশুর বাড়িতে আসা নিয়েও নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এরপর পুলিশ এসে ত্ব-হা আদনানকে গাড়িতে করে নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ ডিবি অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে দুঘণ্টা পর রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মারুফ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ত্ব-হা আদনান গাইবান্ধা জেলার ত্রিমোহনী এলাকায় তার বন্ধু সিয়ামের বাড়িতে সেচ্ছায় আত্মগোপন করে ছিলেন। এদিকে সিয়ামের বাড়িতে আত্মগোপন করে থাকার যে গল্প বানিয়েছে আদনান সেটা পুরোটাই মিথ্যা বলে দাবি করা হয়েছে। সিয়ামের বাড়ির পাশেই বসবাসকারী বোয়ালীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সিয়ামের চাচা আবদুল্লাহ খান জানিয়েছেন, ওই বাড়িতে কেউ আসেনি বা অবস্থান করেনি। সিয়ামদের বাড়িতে কেউই থাকে না। ত্ব-হা আদনানের বক্তব্য ডাহা মিথ্যা।

এদিকে ত্ব-হা কি কারণে আত্মগোপন করে ছিলেন তার কোন ব্যাখ্যা পুলিশ দেয়নি। এমনকি ত্ব-হা আদনানসহ তার দুই সহযোগীকেও সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়নি। এ ঘটনায় বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেন আসামি বা বাদী না হলেও ত্ব-হা আদনানসহ তিনজনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করাল পুলিশ। আইনগতভাবে এটা সঠিক কিনা। এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে রংপুরের সিনিয়র আইনজীবী রইছ উদ্দিন বাদশা বলেন, ত্ব-হা আদনান ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই, তারা কেউই মামলার বাদী বা ভিকটিম নয়, ফলে তাদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়ার আইনগত কোন ভিত্তি নেই।

এদিকে একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেছেন, তার বক্তব্যকে সমর্থন করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়ার ঘটনায় আইনের ব্যত্যয় হয়েছে।

কে এই ত্ব-হা

স্বজন ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩১ বছর বয়সী ত্ব-হা মোহাম্মদ আদনানের প্রকৃত নাম আফসানুল আমিন। তাদের আদি বাড়ি রাজশাহীতে হলেও রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ আহলে হাদীস মসজিদ সংলগ্ন নানা বাড়িতেই বেড়ে ওঠা। এখান থেকেই রংপুর লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও রংপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর রংপুর কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে দর্শন বিভাগে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। কোরআন-হাদীস সম্পর্কে তার পুথিগত কোন জ্ঞান ছিল না। কোনদিন ওই লাইনে পড়াশোনাও করেননি। আহলে হাদীস অনুসারী আদনান রংপুরের জামিয়া সালাফিয়া মাদ্রসার কয়েকজন আলেমের কাছ থেকে ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে দিক্ষা নিয়েছেন বলে দাবি করতেন। ২০১৮ সালে আলোকিত জ্ঞানী প্রতিযোগিতায় প্রথম রার্নাসআপ হওয়ার পর হঠাৎ তিনি একজন আলেম হিসেবে পরিচয় দেয়া শুরু করেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের নামে ফেইসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন। পাবলিক বাসে নারীরা পুরুষদের সঙ্গে অফিসে যাওয়া নিয়ে ব্যাঙ্গ করে ফতোয়া দেন, নারী সহকর্মী পুরুষদের সঙ্গে কথা বললে তারা দাজ্জাল বাহিনীর সদস্য বলে মন্তব্য করেন।

ব্যক্তিগত জীবনেও তার অসততার কথা বলেন বন্ধুরা। তার ঘনিষ্ট বন্ধু মারুফ রহমান ও সাজ্জাদ জানান, প্রথম স্ত্রী হাবিবা নুরের সঙ্গে বিয়ের পর ত্ব-হা আরও বেশ কয়েক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন। দেড় মাস বয়সী ছেলে ও তিন বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে তার। এরপরও ঢাকায় সাকিবুন নাহার সারা নামে এক মহিলাকে বিয়ে করেন তিন মাস আগে প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়েই। সেই মহিলার এর আগে তিনটি বিয়ে হয়েছিল। ছাত্র জীবনে এক মেয়েকে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন বলে তার বন্ধুরা জানিয়েছেন। নিজে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন না বলে জানা গেছে স্বজন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে। তার বাসার পাশে আহলে হাদীস সম্প্রদায়ের মসজিদ থাকলেও সেখানে তাকে সব সময় নামাজ আদায় করতে দেখা যায়নি বলে কয়েকজন মুসল্লি জানিয়েছেন।

সার্বিক বিষয়ে জানতে আদনানের বাসায় গেলে তার মা আজফা বেগম বের হয়ে এসে জানান, আদনান অসুস্থ কথা বলবেন না।