বৃষ্টি আরও দু’দিন হতে পারে

মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার প্রভাবে সারাদেশে ভারি থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগামী দুই-একদিন এটা অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর থেকে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কমতে থাকলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে ১৬৬ মিলিমিটার। আগামী সোমবার নাগাদ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান সংবাদকে বলেন, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি (২৮৯ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে। অতিভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। এটা দুই-একদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর থেকে মৌসুমি বায়ু প্রভাব কমতে থাকবে। তখন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাবে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশে বৃষ্টিপাত বেড়ে গেছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণের প্রবণতাও।

এ অবস্থায় আজ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে এ সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার। যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া আকারে ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার থাকতে পারে।

এদিকে রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া আকারে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বিভাগ অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি বর্ষণ হয়েছে চট্টগ্রামে। এ অঞ্চলের অনেক স্থানে অতিভারি বর্ষণ হয়েছে। টেকনাফে ১৬৩ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ১১১ মিলিমিটার, মাইজদী কোর্টে ১০৪ মিলিমিটার, সীতাকু-ে ৯৫ মিলিমিটার ও কুতুবদিয়ায় ৭৪ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে। এছাড়া অন্য স্থানেও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হয়েছে। ঢাকায় ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়।

রবিবার, ২০ জুন ২০২১ , ৬ আষাঢ় ১৪২৮ ৮ জিলকদ ১৪৪২

বৃষ্টি আরও দু’দিন হতে পারে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার প্রভাবে সারাদেশে ভারি থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগামী দুই-একদিন এটা অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর থেকে মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তা কমতে থাকলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে পাবনার ঈশ্বরদীতে ১৬৬ মিলিমিটার। আগামী সোমবার নাগাদ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান সংবাদকে বলেন, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতিভারি (২৮৯ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে। অতিভারি বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। এটা দুই-একদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর থেকে মৌসুমি বায়ু প্রভাব কমতে থাকবে। তখন বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাবে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশে বৃষ্টিপাত বেড়ে গেছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণের প্রবণতাও।

এ অবস্থায় আজ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে এ সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার। যা অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া আকারে ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার থাকতে পারে।

এদিকে রংপুর, রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া আকারে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বিভাগ অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি বর্ষণ হয়েছে চট্টগ্রামে। এ অঞ্চলের অনেক স্থানে অতিভারি বর্ষণ হয়েছে। টেকনাফে ১৬৩ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ১১১ মিলিমিটার, মাইজদী কোর্টে ১০৪ মিলিমিটার, সীতাকু-ে ৯৫ মিলিমিটার ও কুতুবদিয়ায় ৭৪ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে। এছাড়া অন্য স্থানেও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হয়েছে। ঢাকায় ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়।