ধর্ষিতা উদ্ধার, এক মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি আসামিরা

বিকৃত চিত্র ছাড়া হচ্ছে সোসাল মিডিয়ায়

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অপহরণ হওয়া সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরণের ৫ দিন পর উদ্ধার করা হলেও এক মাসেও আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর আগে ওই শিক্ষার্থীর মা মিরসরাইয়ের ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ তালবাড়িয়ার তরুণ কুমার দে’র স্ত্রী দীপু রাণী দে (৩০) বাদী হয়ে দুইটি মামলা ও দুইটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেছেন। এসব মামলায় আসামিরা হলেন, বান্দরবানের বাইন্যাপাড়ার শংকর ধরের পুত্র লিটন ধর (২৭), বন্দর থানাধীন ধোপার দিঘীর পশ্চিম পাড়ের নুর মোহাম্মদ বিল্ডিংয়ের মৃত আবুল কাশেম সদ্দারের ছেলে মো. শাহরিয়ার রিপন প্রকাশ রিপন সদ্দার (৪৩), ময়মনসিংহ ১৪/৩ সাহেব আলী রোডের রফিকুলের পুত্র রবিউল বশর (২২), মিরসরাইয়ের শিবু ভৌমিকের পুত্র হৃদয় ভৌমিক, মিরসরাই তালবাড়িয়ার দিলীপ মজুমদারের পুত্র দীপ্ত মজুমদার (২৪)। এদিকে আসামিরা গতকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার না হওয়া প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্তকর্মকর্তা মিরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক কৃষ্ণের সঙ্গে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, ওই ১২ বছর বয়সী শিক্ষার্থী গত ১৩ মে স্থানীয় বাজারে স্কুলের অনলাইন ক্লাসের খাতা কলম আনতে গেলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আসামিরা জোরপূর্বক রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মিরসরাইয়ের বারৈয়ারহাটের একটি হোটেলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ের এসব ধর্র্ষণের বিকৃত চিত্র মোবাইলে ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়াসহ ধর্ষিতার আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন মোবাইলের ম্যাসেঞ্জারে, ফেইসবুক, ইমো, ওয়াটস্অ্যাপসহ প্রেরণ করে।

যার ফলে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ওই ৫ জনকে আসামি করে চট্টগ্রাম মহানগর জুড়িশিয়াল ম্যাস্টিট্রেট আদালত-৪ এ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮ (১), ৮ (২), ৮ (৩), ৮ (৫) ও ৮(৬) ধারায় একটি মামলা (নং: ১৯৫/২০২১) দায়ের করেন। ওই শিক্ষার্থী অপহরণের পর প্রথমে মিরসরাই থানায় ডায়েরী দায়ের করলে শিক্ষার্থী উদ্ধার হওয়ার পর সেটি মামলায় রূপান্তর হয়। এদিকে অপহরণের দুই দিন পর মিরসরাই থেকে ওই শিক্ষার্থীকে কক্সবাজার বান্দরবানের রামু এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ১৮ মে র‌্যাবের কর্মকর্তারা অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে রামু চা বাগিচা লাকীমোরের টেক থেকে উদ্ধার করে আদালত পরিবারের জিম্মায় প্রদানের পাশাপাশি মেডিকেল রিপোর্ট সম্পন্ন করা হয়। উদ্ধারকৃত শিক্ষার্থীর জবানবন্দিতে লিটনসহ অন্যান্য আসামিদের নাম উঠে এসেছে।

অন্যদিকে শিক্ষার্থী উদ্ধার হলেও আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্য ঘোরাফেরা এবং শিক্ষার্থীর মা-বাবাকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়ায় পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে শিক্ষার্থীর মা অভিযোগ করেছেন।

রবিবার, ২০ জুন ২০২১ , ৬ আষাঢ় ১৪২৮ ৮ জিলকদ ১৪৪২

চট্টগ্রাম

ধর্ষিতা উদ্ধার, এক মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি আসামিরা

বিকৃত চিত্র ছাড়া হচ্ছে সোসাল মিডিয়ায়

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে অপহরণ হওয়া সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরণের ৫ দিন পর উদ্ধার করা হলেও এক মাসেও আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর আগে ওই শিক্ষার্থীর মা মিরসরাইয়ের ৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ তালবাড়িয়ার তরুণ কুমার দে’র স্ত্রী দীপু রাণী দে (৩০) বাদী হয়ে দুইটি মামলা ও দুইটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেছেন। এসব মামলায় আসামিরা হলেন, বান্দরবানের বাইন্যাপাড়ার শংকর ধরের পুত্র লিটন ধর (২৭), বন্দর থানাধীন ধোপার দিঘীর পশ্চিম পাড়ের নুর মোহাম্মদ বিল্ডিংয়ের মৃত আবুল কাশেম সদ্দারের ছেলে মো. শাহরিয়ার রিপন প্রকাশ রিপন সদ্দার (৪৩), ময়মনসিংহ ১৪/৩ সাহেব আলী রোডের রফিকুলের পুত্র রবিউল বশর (২২), মিরসরাইয়ের শিবু ভৌমিকের পুত্র হৃদয় ভৌমিক, মিরসরাই তালবাড়িয়ার দিলীপ মজুমদারের পুত্র দীপ্ত মজুমদার (২৪)। এদিকে আসামিরা গতকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার না হওয়া প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্তকর্মকর্তা মিরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক কৃষ্ণের সঙ্গে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, ওই ১২ বছর বয়সী শিক্ষার্থী গত ১৩ মে স্থানীয় বাজারে স্কুলের অনলাইন ক্লাসের খাতা কলম আনতে গেলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আসামিরা জোরপূর্বক রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মিরসরাইয়ের বারৈয়ারহাটের একটি হোটেলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ের এসব ধর্র্ষণের বিকৃত চিত্র মোবাইলে ধারণ করে সোশ্যাল মিডিয়াসহ ধর্ষিতার আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন মোবাইলের ম্যাসেঞ্জারে, ফেইসবুক, ইমো, ওয়াটস্অ্যাপসহ প্রেরণ করে।

যার ফলে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ওই ৫ জনকে আসামি করে চট্টগ্রাম মহানগর জুড়িশিয়াল ম্যাস্টিট্রেট আদালত-৪ এ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮ (১), ৮ (২), ৮ (৩), ৮ (৫) ও ৮(৬) ধারায় একটি মামলা (নং: ১৯৫/২০২১) দায়ের করেন। ওই শিক্ষার্থী অপহরণের পর প্রথমে মিরসরাই থানায় ডায়েরী দায়ের করলে শিক্ষার্থী উদ্ধার হওয়ার পর সেটি মামলায় রূপান্তর হয়। এদিকে অপহরণের দুই দিন পর মিরসরাই থেকে ওই শিক্ষার্থীকে কক্সবাজার বান্দরবানের রামু এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ১৮ মে র‌্যাবের কর্মকর্তারা অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে রামু চা বাগিচা লাকীমোরের টেক থেকে উদ্ধার করে আদালত পরিবারের জিম্মায় প্রদানের পাশাপাশি মেডিকেল রিপোর্ট সম্পন্ন করা হয়। উদ্ধারকৃত শিক্ষার্থীর জবানবন্দিতে লিটনসহ অন্যান্য আসামিদের নাম উঠে এসেছে।

অন্যদিকে শিক্ষার্থী উদ্ধার হলেও আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্য ঘোরাফেরা এবং শিক্ষার্থীর মা-বাবাকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়ায় পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে শিক্ষার্থীর মা অভিযোগ করেছেন।