দ্বিতীয় মেয়াদে জাতিসংঘ মহাসচিব হলেন গুতেরেস

জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য মনোনীত হলেন অ্যান্তনিও গুতেরেস। ওই পদের জন্য তার নাম ঘোষণা করেন নিরাপত্তা পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনের সভাপতি ভলক্যান বজকির। রয়টার্স

জুন মাসের শুরুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মহাসচিব হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য গুতেরেসের নাম সুপারিশ করে। এবার মহাসচিব নির্বাচনে দশজন প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কাউকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন না দেয়ায় তারা কেউ প্রার্থী হতে পারেননি।

৭২ বছর বয়সী গুতেরেস ২০১৭ সালে বান কি-মুনের পর জাতিসংঘের মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৫ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ছিলেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার প্রধান।

এ মাসের শুরুর দিকে গুতেরেসকে জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে আরেক মেয়াদে রাখার জন্য সাধারণ পরিষদের কাছে সুপারিশ করেছিল নিরাপত্তা পরিষদ।

নিয়োগ পাওয়ার পর শপথ নিয়ে গুতেরেস বলেছেন, ছোট-বড় সব দেশের মধ্যে আস্থার সম্পর্কের বিকাশ, সেতুবন্ধন নিশ্চিত করতে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করব এবং আস্থা গড়ে তোলার জন্য অবিরাম কাজ করে যাব।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিন বলেছেন, জাতিসংঘ নানা চ্যালেঞ্জের মুখে আছে। তবে আগামী পাঁচ বছর আবারও গুতেরেস মহাসচিব পদে থাকায় আগের দিনগুলোর তুলনায় সামনে আরও শান্তি, নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধি দেখতে পাবেন বলে তিনি আশা করছেন।

রবিবার, ২০ জুন ২০২১ , ৬ আষাঢ় ১৪২৮ ৮ জিলকদ ১৪৪২

দ্বিতীয় মেয়াদে জাতিসংঘ মহাসচিব হলেন গুতেরেস

জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য মনোনীত হলেন অ্যান্তনিও গুতেরেস। ওই পদের জন্য তার নাম ঘোষণা করেন নিরাপত্তা পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনের সভাপতি ভলক্যান বজকির। রয়টার্স

জুন মাসের শুরুতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মহাসচিব হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য গুতেরেসের নাম সুপারিশ করে। এবার মহাসচিব নির্বাচনে দশজন প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কাউকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন না দেয়ায় তারা কেউ প্রার্থী হতে পারেননি।

৭২ বছর বয়সী গুতেরেস ২০১৭ সালে বান কি-মুনের পর জাতিসংঘের মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৫ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ছিলেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার প্রধান।

এ মাসের শুরুর দিকে গুতেরেসকে জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে আরেক মেয়াদে রাখার জন্য সাধারণ পরিষদের কাছে সুপারিশ করেছিল নিরাপত্তা পরিষদ।

নিয়োগ পাওয়ার পর শপথ নিয়ে গুতেরেস বলেছেন, ছোট-বড় সব দেশের মধ্যে আস্থার সম্পর্কের বিকাশ, সেতুবন্ধন নিশ্চিত করতে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করব এবং আস্থা গড়ে তোলার জন্য অবিরাম কাজ করে যাব।

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিন বলেছেন, জাতিসংঘ নানা চ্যালেঞ্জের মুখে আছে। তবে আগামী পাঁচ বছর আবারও গুতেরেস মহাসচিব পদে থাকায় আগের দিনগুলোর তুলনায় সামনে আরও শান্তি, নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধি দেখতে পাবেন বলে তিনি আশা করছেন।