সূচক সামান্য বাড়লেও লেনদেন কমেছে শেয়ারবাজারে

গতকাল সকালে পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস। দুপুর সোয়া একটা পর্যন্ত পতনের মধ্যেই নিমজ্জিত ছিল শেয়ারবাজার। তবে শেষ সোয়া এক ঘণ্টা পরে বাজার উত্থানের দিকে ঘুরতে শুরু করে যা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। লেনদেন শেষে দেখা যায় শেয়ারবাজারের সব সূচকই বেড়েছে। তবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমানে লেনদেনও কমেছে।

গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬.৬১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৯.৪০ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৫.৬৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১০.২৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৯৬.৫৯ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ২০৭.২৯ পয়েন্টে। গতকাল ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ১ হাজার ৮৩৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা টাকার যা আগের দিন থেকে ১১ কোটি ৯১ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮৪৭ কোটি ১৬ লাখ টাকার।

ডিএসইতে গতকাল ৩৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৫৬টির বা ৪১.৮২ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১৭৯টির বা ৪৭.৯৯ শতাংশের এবং ৩৮টির বা ১০.৮৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৩.৭০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৯৪.৬৩ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ৩০৪টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৮টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৫৩টির আর ৩৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১৫৩ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসই’র ব্লক মার্কেটে ৩৬টি কোম্পানির ২৪১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৮৮ লাখ ৫৫ হাজার ৮০৬টি শেয়ার ৯৮ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ২৪১ কোটি ৩০ লাখ ৩৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১০৪ কোটি ৬৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৬ কোটি ৩২ লাখ ৯৯ হাজার টাকার ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৪২ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল ফিড মিলের।

এছাড়া আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকার আমান ফিডের ৫১ লাখ ৫ হাজার টাকার, আরামিটের ৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ১ কোটি ৯৭ লাখ ১০ হাজার টাকার, বেক্সিমকো ফার্মার ১৯ কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার টাকার, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকার, ঢাকা ডাইংয়ের ১৬ লাখ টাকার, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ৯ লাখ ৩৮ হাজার টাকার, এমারেল্ড অয়েলের ৬ লাখ ১১ হাজার টাকার, ফরচুন সুজের ১০ কোটি ৩৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ১১ লাখ ৬ হাজার টাকার, গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ৪৯ লাখ ১৭ হাজার টাকার, ম্যারিকোর ২৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকার, নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ৩৪ লাখ ৭০ হাজার টাকার, নর্দার্ন ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ৭ লাখ টাকার, এনআরবিসি ব্যাংকের ৩৬ লাখ ৯০ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকার, প্যাসিফিক ডেনিমসের ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকার, পেনিনসুলার ৪৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকার, ফনিক্স ফাইন্যান্সের ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকার, প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ৮৬ লাখ ২৯ হাজার টাকার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৫ লাখ ৪২ হাজার টাকার, আরএকে সিরামিকের ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকার, রেনেটার ৬ কোট ১ লাখ ৮১ হাজার টাকার, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার, সাফকো স্পিনিংয়ের ১৩ লাখ ২৩ হাজার টাকার, সালভো কেমিক্যালের ৩৫ লাখ ৯ হাজার টাকার, শমরিতা হসপিটালের ৭ লাখ টাকার, এসকে ট্রিমসের ৬০ লাখ ১৯ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ইউনিক হোটেলের ২৩ লাখ ৫ হাজার টাকার এবং ওয়ালটনের ৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

সোমবার, ২১ জুন ২০২১ , ৭ আষাঢ় ১৪২৮ ৯ জিলকদ ১৪৪২

সূচক সামান্য বাড়লেও লেনদেন কমেছে শেয়ারবাজারে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

গতকাল সকালে পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস। দুপুর সোয়া একটা পর্যন্ত পতনের মধ্যেই নিমজ্জিত ছিল শেয়ারবাজার। তবে শেষ সোয়া এক ঘণ্টা পরে বাজার উত্থানের দিকে ঘুরতে শুরু করে যা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। লেনদেন শেষে দেখা যায় শেয়ারবাজারের সব সূচকই বেড়েছে। তবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর এবং টাকার পরিমানে লেনদেনও কমেছে।

গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬.৬১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৯.৪০ পয়েন্টে। ডিএসইর অন্য সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৫.৬৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১০.২৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৯৬.৫৯ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ২০৭.২৯ পয়েন্টে। গতকাল ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ১ হাজার ৮৩৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা টাকার যা আগের দিন থেকে ১১ কোটি ৯১ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮৪৭ কোটি ১৬ লাখ টাকার।

ডিএসইতে গতকাল ৩৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৫৬টির বা ৪১.৮২ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১৭৯টির বা ৪৭.৯৯ শতাংশের এবং ৩৮টির বা ১০.৮৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৩.৭০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৯৪.৬৩ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ৩০৪টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৮টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৫৩টির আর ৩৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১৫৩ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসই’র ব্লক মার্কেটে ৩৬টি কোম্পানির ২৪১ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৮৮ লাখ ৫৫ হাজার ৮০৬টি শেয়ার ৯৮ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ২৪১ কোটি ৩০ লাখ ৩৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১০৪ কোটি ৬৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৬ কোটি ৩২ লাখ ৯৯ হাজার টাকার ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৪২ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল ফিড মিলের।

এছাড়া আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকার আমান ফিডের ৫১ লাখ ৫ হাজার টাকার, আরামিটের ৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ১ কোটি ৯৭ লাখ ১০ হাজার টাকার, বেক্সিমকো ফার্মার ১৯ কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার টাকার, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকার, ঢাকা ডাইংয়ের ১৬ লাখ টাকার, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ৯ লাখ ৩৮ হাজার টাকার, এমারেল্ড অয়েলের ৬ লাখ ১১ হাজার টাকার, ফরচুন সুজের ১০ কোটি ৩৬ লাখ ৪৬ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ১১ লাখ ৬ হাজার টাকার, গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ৪৯ লাখ ১৭ হাজার টাকার, ম্যারিকোর ২৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকার, নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ৩৪ লাখ ৭০ হাজার টাকার, নর্দার্ন ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ৭ লাখ টাকার, এনআরবিসি ব্যাংকের ৩৬ লাখ ৯০ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকার, প্যাসিফিক ডেনিমসের ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকার, পেনিনসুলার ৪৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকার, ফনিক্স ফাইন্যান্সের ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকার, প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ৮৬ লাখ ২৯ হাজার টাকার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৫ লাখ ৪২ হাজার টাকার, আরএকে সিরামিকের ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকার, রেনেটার ৬ কোট ১ লাখ ৮১ হাজার টাকার, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১২ লাখ ৭৪ হাজার টাকার, সাফকো স্পিনিংয়ের ১৩ লাখ ২৩ হাজার টাকার, সালভো কেমিক্যালের ৩৫ লাখ ৯ হাজার টাকার, শমরিতা হসপিটালের ৭ লাখ টাকার, এসকে ট্রিমসের ৬০ লাখ ১৯ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার, ইউনিক হোটেলের ২৩ লাখ ৫ হাজার টাকার এবং ওয়ালটনের ৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।