ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করলেন বিএসইসি চেয়ারম্যান

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, ‘ওয়ালটন টেকসই, ক্রমবর্ধমান ও জাতীয় উন্নয়ণে অবদান রাখা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ওয়ালটনের মতো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশকে নেক্সট ফেইজে নিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের আইপিওতে আসা দরকার। এতে দেশের শিল্পায়ন বৃদ্ধি পাবে, কর্মসংস্থান বাড়বে। সর্বোপরি রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন নার্সিং করে যাবে।

গত শনিবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। সে সময় তিনি ওয়ালটনের তৈরি নতুন মডেলের একটি স্মার্ট টেলিভিশন উন্মোচন করেন। বিএসইসি চেয়ারম্যান ওয়ালটনের তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে হাই-ইফিশিয়েন্ট ইনভার্টার কম্প্রেসরের প্রোটোটাইপ দেখে মুগ্ধ হন। খুব শীঘ্রই ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ওই ইনভার্টার কম্প্রেসর উৎপাদনে যাচ্ছে ওয়ালটন। ফলে সাশ্রয়ী দামে বিশ্বের সর্বোচ্চ মানের, সবচেয়ে টেকসই কম্প্রেসর পাবেন গ্রাহক। ওই প্রকল্প চালুর মাধ্যমে ওয়ালটনের কম্প্রেসর উৎপাদন দ্বিগুণ হবে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ওয়ালটন কারখানা একটি গ্রিন টেকনোলজি সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান। এখানে সবচেয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন কমপোনেন্ট তৈরি হচ্ছে। কাঁচামাল থেকে একটি সম্পূর্ণ পণ্য কিভাবে ওয়ালটন তৈরি করছে সেটা নিজ চোখে দেখলাম। আমি সত্যিই অভিভূত। ওয়ালটনকে দেখে বুঝতে পারলাম বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। ওয়ালটন সবদিক থেকেই স্বয়ংসম্পূর্ণ সুন্দর একটি প্রতিষ্ঠান। উদ্যেক্তারা প্রত্যেকেই সৎ। ওয়ালটনের উন্নতিতে আমি কোন বাধা দেখছি না।’

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম আরও বলেন, ‘কৃষিনির্ভর পণ্য উৎপাদনে আমরা নির্ভরশীল ছিলাম। সেখান থেকে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার দ্বিতীয় ধাপে যেখানে আমাদের হাইটেক ও হেভি ইন্ডাস্ট্রিতে যেতে হবে, সেখানে ওয়ালটন অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। আমরা যেসব পণ্য আমদানি করতাম এখন তা রপ্তানি করছি। ওয়ালটন আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে বাংলাদেশও পারে। বাংলাদেশে যে সব কিছুই সম্ভব, সেটা ওয়ালটনের মাধ্যমে আমরা সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারবো। দেশ ও জাতির মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য ওয়ালটন উদ্যেক্তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

কারখানা পরিদর্শনকালে বিএসইসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের সিনিয়র লেকচারার শেনিন রুবাইয়াত।

সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল বাশার হাওলাদার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুমায়ূন কবীর ও আলমগীর আলম সরকার, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কর্নেল (অব.) শাহাদাত আলম, উদয় হাকিম, তানভীর রহমান, ইউসুফ আলী, আনিসুর রহমান মল্লিক, প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ফিরোজ আলম, নির্বাহী পরিচালক আমিন খান, মোস্তফা নাহিদ হোসেন, শাহজাদা সেলিম, ইয়াসির আল-ইমরান, শাহজালাল হোসেন লিমন, মো. রকিব উদ্দীন, রবিউল আলম, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস, কোম্পানি সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম এফসিএস, বিএসইসি চেয়ারম্যানের পিএস রাশিদুল আলম প্রমুখ।

সোমবার, ২১ জুন ২০২১ , ৭ আষাঢ় ১৪২৮ ৯ জিলকদ ১৪৪২

ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করলেন বিএসইসি চেয়ারম্যান

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, ‘ওয়ালটন টেকসই, ক্রমবর্ধমান ও জাতীয় উন্নয়ণে অবদান রাখা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ওয়ালটনের মতো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশকে নেক্সট ফেইজে নিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের আইপিওতে আসা দরকার। এতে দেশের শিল্পায়ন বৃদ্ধি পাবে, কর্মসংস্থান বাড়বে। সর্বোপরি রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন নার্সিং করে যাবে।

গত শনিবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। সে সময় তিনি ওয়ালটনের তৈরি নতুন মডেলের একটি স্মার্ট টেলিভিশন উন্মোচন করেন। বিএসইসি চেয়ারম্যান ওয়ালটনের তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে হাই-ইফিশিয়েন্ট ইনভার্টার কম্প্রেসরের প্রোটোটাইপ দেখে মুগ্ধ হন। খুব শীঘ্রই ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ওই ইনভার্টার কম্প্রেসর উৎপাদনে যাচ্ছে ওয়ালটন। ফলে সাশ্রয়ী দামে বিশ্বের সর্বোচ্চ মানের, সবচেয়ে টেকসই কম্প্রেসর পাবেন গ্রাহক। ওই প্রকল্প চালুর মাধ্যমে ওয়ালটনের কম্প্রেসর উৎপাদন দ্বিগুণ হবে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘ওয়ালটন কারখানা একটি গ্রিন টেকনোলজি সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান। এখানে সবচেয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন কমপোনেন্ট তৈরি হচ্ছে। কাঁচামাল থেকে একটি সম্পূর্ণ পণ্য কিভাবে ওয়ালটন তৈরি করছে সেটা নিজ চোখে দেখলাম। আমি সত্যিই অভিভূত। ওয়ালটনকে দেখে বুঝতে পারলাম বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। ওয়ালটন সবদিক থেকেই স্বয়ংসম্পূর্ণ সুন্দর একটি প্রতিষ্ঠান। উদ্যেক্তারা প্রত্যেকেই সৎ। ওয়ালটনের উন্নতিতে আমি কোন বাধা দেখছি না।’

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম আরও বলেন, ‘কৃষিনির্ভর পণ্য উৎপাদনে আমরা নির্ভরশীল ছিলাম। সেখান থেকে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার দ্বিতীয় ধাপে যেখানে আমাদের হাইটেক ও হেভি ইন্ডাস্ট্রিতে যেতে হবে, সেখানে ওয়ালটন অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। আমরা যেসব পণ্য আমদানি করতাম এখন তা রপ্তানি করছি। ওয়ালটন আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে বাংলাদেশও পারে। বাংলাদেশে যে সব কিছুই সম্ভব, সেটা ওয়ালটনের মাধ্যমে আমরা সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারবো। দেশ ও জাতির মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য ওয়ালটন উদ্যেক্তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

কারখানা পরিদর্শনকালে বিএসইসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের সিনিয়র লেকচারার শেনিন রুবাইয়াত।

সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবুল বাশার হাওলাদার, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হুমায়ূন কবীর ও আলমগীর আলম সরকার, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কর্নেল (অব.) শাহাদাত আলম, উদয় হাকিম, তানভীর রহমান, ইউসুফ আলী, আনিসুর রহমান মল্লিক, প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ফিরোজ আলম, নির্বাহী পরিচালক আমিন খান, মোস্তফা নাহিদ হোসেন, শাহজাদা সেলিম, ইয়াসির আল-ইমরান, শাহজালাল হোসেন লিমন, মো. রকিব উদ্দীন, রবিউল আলম, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস, কোম্পানি সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম এফসিএস, বিএসইসি চেয়ারম্যানের পিএস রাশিদুল আলম প্রমুখ।