ডিএসই’র বাজার মূলধনে রেকর্ড

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল- ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে তলানিতে থাকা শেয়ারবাজার উপরের দিকে উঠতে থাকে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক, লেনদেন এবং মূলধনে একের পর এক রেকর্ড গড়তে থাকে।

এবার ডিএসইর বাজার মূলধনে নতুন রেকর্ড গড়েছে। ডিএসইর বাজার মূলধন এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্থানে উঠেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল বাজার মূলধন ৫ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করে রেকর্ড গড়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নানামুখী ইতিবাচক উদ্যোগ নেয়ায় শেয়ারবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা দিন দিন বাড়ছে। ফলে দীর্ঘদিন শেয়ারবাজারের বাইরে থাকা বিনিয়োগকারীরা বাজারে আসছেন। বাজারে লেনদেন বাড়ছে। একই সঙ্গে বাজার মূলধনের পরিমাণ দিন দিন বেড়ে রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইতে গতকাল বাজার মূলধন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৩ হাজার ৮৭ কোটি ২১ লাখ টাকায়। এর মাধ্যমে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ডিএসই। এর আগে কখনো বাজার মূলধন এতটা বাড়েনি। এর আগে চলতি বছরের শুরুতে বাজার মূলধন ৫ লাখ কোটি টাকা অতিক্রম করলেও পরে তা বেশি দূর এগোতে পারেনি। বেশকিছু দিন ধরে বাজারে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকায় লেনদেন, সূচক এবং বাজার মূলধন ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। এর ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার বাজার মূলধনে নতুন রেকর্ড গড়েছে ডিএসই। ওই দিন বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৯ হাজার ৯২৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকায়।

এদিকে গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ হাজার ১২৫ পয়েন্টে পৌঁছেছে। ডিএসইতে এ সূচকটি ৩ বছর ৪ মাস ৭ দিন বা ৭৭০ কার্যদিবস পর ৬ হাজার ১০০ পয়েন্ট অতিক্রম করল। এর আগে ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সূচকটি ৬ হাজার ১০২ পয়েন্টে অবস্থান করছিল।

গতকাল ডিএসই’র ব্লক মার্কেটে ৫১টি কোম্পানির ১১৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১১টিরই ১০২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৫৯ লাখ ৯৪ হাজার ৬৯টি শেয়ার ১১২ বার হাতবদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ১১৬ কোটি ৯৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৯ কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ কোটি ৩৯ হাজার টাকার বেক্সিমকো ফার্মার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৪ কোটি ৪০ লাখ ৭৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে বিডি ফাইন্যান্সের।

এছাড়া এসিআইয়ের ৮৮ লাখ ২২ হাজার টাকার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১৭ লাখ ৮২ হাজার টাকার, আরামিট সিমেন্টের ৫ লাখ ২৮ হাজার টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ৭ কোটি ২৮ লাখ টাকার, বিবিএস কেবলসের ৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ৭ কোটি ৭২ লাখ টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ১ কোটি ৬৬ লাখ ১৮ হাজার টাকার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলসের ১১ লাখ ২৯ হাজার টাকার, সিটি ব্যাংকের ৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকার, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৭ লাখ ২০ হাজার টাকার, ডেসকোর ১৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকার, ড্রাগন সোয়েটারের ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৬ কোটি ২৫ লাখ ৬ হাজার টাকার, ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, ইজেনারেশনের ৬ লাখ ২৭ হাজার টাকার, জেনেক্সের ৬ কোটি ৫৯ লাখ ২৮ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ১০ লাখ ৫ হাজার টাকার, গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ২৮ হাজার টাকার, হামিদ ফেব্রিক্সের ১ কোটি ৫৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকার, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের ৯ লাখ ২৮ হাজার টাকার, কেয়া কসমেটিকসের ৮ লাখ ৭১ হাজার টাকার, কাট্টালি টেক্সটাইলের ৫৫ লাখ ৬ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৬ লাখ ৪২ হাজার টাকার, লুবরেফের ২০ লাখ ৬৩ হাজার টাকার, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ১২ লাখ ২৫ হাজার টাকার, মালেক স্পিনিংয়ের ৩৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকার, ম্যারিকোর ১১ লাখ ৭ হাজার টাকার, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সর ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ৩০ লাখ ৩ হাজার টাকার, নিউ লাইন ক্লোথিংসের ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলের ৪ কোটি ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকার, নর্দার্ন ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ৭ লাখ ৯ হাজার টাকার, এনআরবিসি ব্যাংকের ১ কোটি ১৫ লাখ ১৪ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার, পপুলার লাইফের ১ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকার, পাওয়ার গ্রিডের ৫ লাখ টাকার, প্রাইম ব্যাংকের ২৯ লাখ ১৫ হাজার টাকার, প্রাইম লাইফের ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ১০ কোটি ৫১ লাখ ৩৪ হাজার টাকার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ২৭ লাখ ২৫ হাজার টাকার, আরডি ফুডের ৫ লাখ ১ হাজার টাকার, রেনেটার ৬ কোটি ৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকার, রূপালী ব্যাংকের ১২ লাখ টাকার, সালভো কেমিক্যালের ২৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ৪৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মার ৪ কোটি ৫০ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, সামিট পাওয়ারের ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকার এবং তাওফিকা ফুডের ২৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২২৪টির বা ৬০.২২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। এদিন আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। গত রোববার লেনদেন শেষে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩৬.৩০ টাকায়। আজ লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৩৯.৯০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩.৬০ টাকা বা ৯.৯১ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ ডিএসইর টপটের গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইন্ট্রাকোর ৯.৯০ শতাংশ, প্রাইম টেক্সটাইলের ৯.৭৮ শতাংশ, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ৯.৭১ শতাংশ, মেট্রো স্পিনিংয়ের ৯.৬৩ শতাংশ, মালেক স্পিনিংয়ের ৯.৬২ শতাংশ, খান ব্রাদার্সের ৯.৩২ শতাংশ, এএফসি এগ্রোর ৯.২৩ শতাংশ, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের ৯.১৯ শতাংশ এবং রিংশাইনের শেয়ার দর ৯.০৯ শতাংশ বেড়েছে।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১১৯টির বা ৩১.৯৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এদিন বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহের শীর্ষে ছিল সী পার্লের শেয়ার। গত রোববার লেনদেন শেষে সী পার্লের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫৮.৬০ টাকায়। আজ লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৫২.৮০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫.৮০ টাকা বা ৯.৮৯ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে সী পার্ল ডিএসইর টপটের লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইনডেক্স এগ্রোর ৮.২৪ শতাংশ, সোনালী পেপারের ৬.৪৬ শতাংশ, ঢাকা ডাইংয়ের ৫.৭৪ শতাংশ, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের ৫.৭৪ শতাংশ, সমতা লেদারের ৫.৬৮ শতাংশ, রূপালী ব্যাংকের ৫.৫২ শতাংশ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ৫.৪৯ শতাংশ, কেঅ্যান্ডকিউয়ের ৫.০৮ শতাংশ এবং এস আলমের শেয়ার দর ৪.৮১ শতাংশ কমেছে।

মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১ , ৮ আষাঢ় ১৪২৮ ১০ জিলকদ ১৪৪২

ডিএসই’র বাজার মূলধনে রেকর্ড

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল- ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে তলানিতে থাকা শেয়ারবাজার উপরের দিকে উঠতে থাকে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক, লেনদেন এবং মূলধনে একের পর এক রেকর্ড গড়তে থাকে।

এবার ডিএসইর বাজার মূলধনে নতুন রেকর্ড গড়েছে। ডিএসইর বাজার মূলধন এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্থানে উঠেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল বাজার মূলধন ৫ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করে রেকর্ড গড়েছে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নানামুখী ইতিবাচক উদ্যোগ নেয়ায় শেয়ারবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা দিন দিন বাড়ছে। ফলে দীর্ঘদিন শেয়ারবাজারের বাইরে থাকা বিনিয়োগকারীরা বাজারে আসছেন। বাজারে লেনদেন বাড়ছে। একই সঙ্গে বাজার মূলধনের পরিমাণ দিন দিন বেড়ে রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ডিএসইতে গতকাল বাজার মূলধন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৩ হাজার ৮৭ কোটি ২১ লাখ টাকায়। এর মাধ্যমে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ডিএসই। এর আগে কখনো বাজার মূলধন এতটা বাড়েনি। এর আগে চলতি বছরের শুরুতে বাজার মূলধন ৫ লাখ কোটি টাকা অতিক্রম করলেও পরে তা বেশি দূর এগোতে পারেনি। বেশকিছু দিন ধরে বাজারে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকায় লেনদেন, সূচক এবং বাজার মূলধন ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। এর ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার বাজার মূলধনে নতুন রেকর্ড গড়েছে ডিএসই। ওই দিন বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৯ হাজার ৯২৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকায়।

এদিকে গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ হাজার ১২৫ পয়েন্টে পৌঁছেছে। ডিএসইতে এ সূচকটি ৩ বছর ৪ মাস ৭ দিন বা ৭৭০ কার্যদিবস পর ৬ হাজার ১০০ পয়েন্ট অতিক্রম করল। এর আগে ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সূচকটি ৬ হাজার ১০২ পয়েন্টে অবস্থান করছিল।

গতকাল ডিএসই’র ব্লক মার্কেটে ৫১টি কোম্পানির ১১৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১১টিরই ১০২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ১ কোটি ৫৯ লাখ ৯৪ হাজার ৬৯টি শেয়ার ১১২ বার হাতবদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ১১৬ কোটি ৯৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ১৯ কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ কোটি ৩৯ হাজার টাকার বেক্সিমকো ফার্মার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৪ কোটি ৪০ লাখ ৭৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে বিডি ফাইন্যান্সের।

এছাড়া এসিআইয়ের ৮৮ লাখ ২২ হাজার টাকার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১৭ লাখ ৮২ হাজার টাকার, আরামিট সিমেন্টের ৫ লাখ ২৮ হাজার টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ৭ কোটি ২৮ লাখ টাকার, বিবিএস কেবলসের ৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ৭ কোটি ৭২ লাখ টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ১ কোটি ৬৬ লাখ ১৮ হাজার টাকার, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলসের ১১ লাখ ২৯ হাজার টাকার, সিটি ব্যাংকের ৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকার, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৭ লাখ ২০ হাজার টাকার, ডেসকোর ১৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকার, ড্রাগন সোয়েটারের ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৬ কোটি ২৫ লাখ ৬ হাজার টাকার, ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, ইজেনারেশনের ৬ লাখ ২৭ হাজার টাকার, জেনেক্সের ৬ কোটি ৫৯ লাখ ২৮ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ১০ লাখ ৫ হাজার টাকার, গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ২৮ হাজার টাকার, হামিদ ফেব্রিক্সের ১ কোটি ৫৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকার, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের ৯ লাখ ২৮ হাজার টাকার, কেয়া কসমেটিকসের ৮ লাখ ৭১ হাজার টাকার, কাট্টালি টেক্সটাইলের ৫৫ লাখ ৬ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ৬ লাখ ৪২ হাজার টাকার, লুবরেফের ২০ লাখ ৬৩ হাজার টাকার, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ১২ লাখ ২৫ হাজার টাকার, মালেক স্পিনিংয়ের ৩৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকার, ম্যারিকোর ১১ লাখ ৭ হাজার টাকার, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সর ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ৩০ লাখ ৩ হাজার টাকার, নিউ লাইন ক্লোথিংসের ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলের ৪ কোটি ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকার, নর্দার্ন ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ৭ লাখ ৯ হাজার টাকার, এনআরবিসি ব্যাংকের ১ কোটি ১৫ লাখ ১৪ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার, পপুলার লাইফের ১ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকার, পাওয়ার গ্রিডের ৫ লাখ টাকার, প্রাইম ব্যাংকের ২৯ লাখ ১৫ হাজার টাকার, প্রাইম লাইফের ৩৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ১০ কোটি ৫১ লাখ ৩৪ হাজার টাকার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ২৭ লাখ ২৫ হাজার টাকার, আরডি ফুডের ৫ লাখ ১ হাজার টাকার, রেনেটার ৬ কোটি ৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকার, রূপালী ব্যাংকের ১২ লাখ টাকার, সালভো কেমিক্যালের ২৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ৪৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মার ৪ কোটি ৫০ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, সামিট পাওয়ারের ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকার এবং তাওফিকা ফুডের ২৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২২৪টির বা ৬০.২২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। এদিন আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। গত রোববার লেনদেন শেষে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩৬.৩০ টাকায়। আজ লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৩৯.৯০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৩.৬০ টাকা বা ৯.৯১ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ ডিএসইর টপটের গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইন্ট্রাকোর ৯.৯০ শতাংশ, প্রাইম টেক্সটাইলের ৯.৭৮ শতাংশ, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ৯.৭১ শতাংশ, মেট্রো স্পিনিংয়ের ৯.৬৩ শতাংশ, মালেক স্পিনিংয়ের ৯.৬২ শতাংশ, খান ব্রাদার্সের ৯.৩২ শতাংশ, এএফসি এগ্রোর ৯.২৩ শতাংশ, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের ৯.১৯ শতাংশ এবং রিংশাইনের শেয়ার দর ৯.০৯ শতাংশ বেড়েছে।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১১৯টির বা ৩১.৯৯ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এদিন বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহের শীর্ষে ছিল সী পার্লের শেয়ার। গত রোববার লেনদেন শেষে সী পার্লের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫৮.৬০ টাকায়। আজ লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৫২.৮০ টাকায়। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির শেয়ার দর ৫.৮০ টাকা বা ৯.৮৯ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে সী পার্ল ডিএসইর টপটের লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইনডেক্স এগ্রোর ৮.২৪ শতাংশ, সোনালী পেপারের ৬.৪৬ শতাংশ, ঢাকা ডাইংয়ের ৫.৭৪ শতাংশ, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের ৫.৭৪ শতাংশ, সমতা লেদারের ৫.৬৮ শতাংশ, রূপালী ব্যাংকের ৫.৫২ শতাংশ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ৫.৪৯ শতাংশ, কেঅ্যান্ডকিউয়ের ৫.০৮ শতাংশ এবং এস আলমের শেয়ার দর ৪.৮১ শতাংশ কমেছে।