রাজশাহীতে নতুন রোগী ৬০ শতাংশই গ্রামের

যশোরে রেকর্ড শনাক্ত বগুড়া, দিনাজপুর, কুষ্টিয়ার পরিস্থিতি ভয়াবহ

রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি নতুন রোগীর প্রায় ৬০ শতাংশই গ্রাম থেকে এসেছেন। যা রীতিমতো ভয়াবহ। এ পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওই হাসপাতাল পরিচালক। যশোরে রেকর্ড তিন শতাধিক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ জেলায় শনাক্তের হার ৪৭ শতাংশ, বগুড়ায় ৩৮ শতাংশ ও দিনাজপুরে ৪৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। বগুড়ায় বিধিনিষেধ কার্যকরে কঠোরতা না থাকায় শহরে লোক সমাগম বেড়েছে। দিনাজপুরে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কুষ্টিয়ায় মৃত্যুবরণকারীদের অর্ধেকই গ্রামের বাসিন্দা। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ৫০ বেডের একটি নতুন করোনা ওয়ার্ড খোলা হয়েছে।

রামেক হাসপাতালে নতুন রোগীর ৬০ শতাংশই গ্রাম থেকে আসা

রাজশাহী : রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানিয়েছেন, করোনা ইউনিটে ভর্তি নতুন রোগীর প্রায় ৬০ শতাংশই গ্রাম থেকে এসেছে। বর্তমানে গ্রামের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় থামানো যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণ। করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ৬২ জন। হাসপাতালের ৩০৯ বেডের বিপরীতে মোট ভর্তি রোগী আছেন ৪০২ জন। হাসপাতালে নতুন ভর্তি ৬২ রোগীর মধ্যে গ্রাম থেকে আসা ৩৬ জন আর শহরের ২৬ জন। আইউসিইউতে ভর্তি আছেন ১৯ জন। রাজশাহীতে গত ১১ জুন থেকে চলছে ‘বিশেষ লকডাউন’। এরপরও রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত্যুর সংখ্যা কমছে না।

যশোরে রেকর্ড তিন শতাধিক শনাক্ত

যশোর : জেলায় রেকর্ড তিন শতাধিক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩০৫ জনকে করোনা পজেটিভ শনাক্ত করা হয়। শনাক্তের হার ৪৭ শতাংশ। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে দু’জন এবং উপসর্গ নিয়ে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা সবাই যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। যশোর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের করোনা রেড ও ইয়েলো জোনে ৯৯ শয্যার বিপরীতে ১২২ জন ভর্তি রয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে কোন শয্যা খালি নেই। তিন শয্যার আইসিইউ ইউনিটও রোগীতে পূর্ণ। যশোর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান বলেন, রোগীর চাপ সামাল দিতে আরও ৫০ শয্যার দুটি করোনা ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হচ্ছে। সেখানে সংকটাপন্ন রোগীদের স্থানান্তর করা হবে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সাজেদা ফাউন্ডেশনের অর্থায়ন ও অবকাঠামোগত সুবিধা নিয়ে এ হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো হয়েছে।

বগুড়ায় বিধিনিষেধ কার্যকরে কঠোরতা নেই

বগুড়া : জেলায় বিধিনিষেধ কার্যকরে কঠোরতা না থাকায় শহরে যানবাহন ও লোক সমাগম বেড়েছে। সংক্রমণও উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ হার সাড়ে ৩৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। জেলায় ২১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয়েছেন ৮৪ জন। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল প্রায় ২২। বগুড়ার ৩টি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫ জন মারা গেছেন। বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জেলায় করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিকে উদ্বেগজনক হিসেবে উল্লেখ করে জানান, যেসব রোগী বগুড়ার হাসপাতালগুলোতে মারা যাচ্ছেন তার বেশিরভাগই সীমান্তবর্তী জেলার। সংশ্লিষ্টরা জানান, বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে কোন শয্যা খালি নেই। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এটিএম নুরুজ্জামান সঞ্চয় জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ২শ’ করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

দিনাজপুরে লকডাউনের মেয়াদ বাড়লো

দিনাজপুর : জেলা সদর ও হাকিমপুর উপজেলায় লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। জেলায় করোনায় মারা গেছেন আরও ২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ দশমিক ৮০ শতাংশে। জেলায় বর্তমান করোনা রোগী আছেন ১ হাজার ৬৪ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১শ’ ৯ জন।

কুষ্টিয়ায় মৃত্যুবরণকারীদের অর্ধেকই গ্রামের বাসিন্দা

কুষ্টিয়া : জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৮৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার প্রায় ৩৭ শতাংশ। জেলাজুড়ে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। জেলায় ৩ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালকে কোভিড ডেডিকেট করতে ও পর্যাপ্ত চিকিৎসক এবং ওষুধ সরঞ্জামাদি দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের তত্ত্ব¡াবধায়ক আবদুল মোমেন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ১০ জন চিকিৎসক জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়েছে। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক আক্রামুজ্জামান মিন্টু বলেন, রোগীদের সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। সিভিল সার্জন এইচএম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের অর্ধেকই গ্রামের বাসিন্দা।

ঝিনাইদহে আক্রান্ত ৯৫

ঝিনাইদহ : জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৪ জন। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৯৫ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩ হাজার ৪শ’ ৯১ জনে। ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, আক্রান্তের হার ৪৬ দশমিক ৩৪ ভাগ। সদর পৌরসভাসহ ৬টি পৌরসভা এলাকায় চলাচলে বিধিনিষেধ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ জানান, স্থান সংকুলান না হওয়ায় ৫০ বেডের একটি নতুন করোনা ওয়ার্ড খোলা হয়েছে।

মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১ , ৮ আষাঢ় ১৪২৮ ১০ জিলকদ ১৪৪২

রাজশাহীতে নতুন রোগী ৬০ শতাংশই গ্রামের

যশোরে রেকর্ড শনাক্ত বগুড়া, দিনাজপুর, কুষ্টিয়ার পরিস্থিতি ভয়াবহ

সংবাদ ডেস্ক

রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি নতুন রোগীর প্রায় ৬০ শতাংশই গ্রাম থেকে এসেছেন। যা রীতিমতো ভয়াবহ। এ পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওই হাসপাতাল পরিচালক। যশোরে রেকর্ড তিন শতাধিক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ জেলায় শনাক্তের হার ৪৭ শতাংশ, বগুড়ায় ৩৮ শতাংশ ও দিনাজপুরে ৪৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। বগুড়ায় বিধিনিষেধ কার্যকরে কঠোরতা না থাকায় শহরে লোক সমাগম বেড়েছে। দিনাজপুরে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কুষ্টিয়ায় মৃত্যুবরণকারীদের অর্ধেকই গ্রামের বাসিন্দা। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ৫০ বেডের একটি নতুন করোনা ওয়ার্ড খোলা হয়েছে।

রামেক হাসপাতালে নতুন রোগীর ৬০ শতাংশই গ্রাম থেকে আসা

রাজশাহী : রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানিয়েছেন, করোনা ইউনিটে ভর্তি নতুন রোগীর প্রায় ৬০ শতাংশই গ্রাম থেকে এসেছে। বর্তমানে গ্রামের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এ পরিস্থিতিতে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় থামানো যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণ। করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন ৬২ জন। হাসপাতালের ৩০৯ বেডের বিপরীতে মোট ভর্তি রোগী আছেন ৪০২ জন। হাসপাতালে নতুন ভর্তি ৬২ রোগীর মধ্যে গ্রাম থেকে আসা ৩৬ জন আর শহরের ২৬ জন। আইউসিইউতে ভর্তি আছেন ১৯ জন। রাজশাহীতে গত ১১ জুন থেকে চলছে ‘বিশেষ লকডাউন’। এরপরও রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত্যুর সংখ্যা কমছে না।

যশোরে রেকর্ড তিন শতাধিক শনাক্ত

যশোর : জেলায় রেকর্ড তিন শতাধিক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩০৫ জনকে করোনা পজেটিভ শনাক্ত করা হয়। শনাক্তের হার ৪৭ শতাংশ। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে দু’জন এবং উপসর্গ নিয়ে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা সবাই যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। যশোর জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের করোনা রেড ও ইয়েলো জোনে ৯৯ শয্যার বিপরীতে ১২২ জন ভর্তি রয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে কোন শয্যা খালি নেই। তিন শয্যার আইসিইউ ইউনিটও রোগীতে পূর্ণ। যশোর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান বলেন, রোগীর চাপ সামাল দিতে আরও ৫০ শয্যার দুটি করোনা ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হচ্ছে। সেখানে সংকটাপন্ন রোগীদের স্থানান্তর করা হবে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সাজেদা ফাউন্ডেশনের অর্থায়ন ও অবকাঠামোগত সুবিধা নিয়ে এ হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো হয়েছে।

বগুড়ায় বিধিনিষেধ কার্যকরে কঠোরতা নেই

বগুড়া : জেলায় বিধিনিষেধ কার্যকরে কঠোরতা না থাকায় শহরে যানবাহন ও লোক সমাগম বেড়েছে। সংক্রমণও উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ হার সাড়ে ৩৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। জেলায় ২১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয়েছেন ৮৪ জন। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল প্রায় ২২। বগুড়ার ৩টি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫ জন মারা গেছেন। বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জেলায় করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিকে উদ্বেগজনক হিসেবে উল্লেখ করে জানান, যেসব রোগী বগুড়ার হাসপাতালগুলোতে মারা যাচ্ছেন তার বেশিরভাগই সীমান্তবর্তী জেলার। সংশ্লিষ্টরা জানান, বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে কোন শয্যা খালি নেই। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এটিএম নুরুজ্জামান সঞ্চয় জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ২শ’ করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

দিনাজপুরে লকডাউনের মেয়াদ বাড়লো

দিনাজপুর : জেলা সদর ও হাকিমপুর উপজেলায় লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। জেলায় করোনায় মারা গেছেন আরও ২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮ দশমিক ৮০ শতাংশে। জেলায় বর্তমান করোনা রোগী আছেন ১ হাজার ৬৪ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১শ’ ৯ জন।

কুষ্টিয়ায় মৃত্যুবরণকারীদের অর্ধেকই গ্রামের বাসিন্দা

কুষ্টিয়া : জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৮৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার প্রায় ৩৭ শতাংশ। জেলাজুড়ে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। জেলায় ৩ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালকে কোভিড ডেডিকেট করতে ও পর্যাপ্ত চিকিৎসক এবং ওষুধ সরঞ্জামাদি দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের তত্ত্ব¡াবধায়ক আবদুল মোমেন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ১০ জন চিকিৎসক জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়েছে। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক আক্রামুজ্জামান মিন্টু বলেন, রোগীদের সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। সিভিল সার্জন এইচএম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যারা মারা যাচ্ছেন, তাদের অর্ধেকই গ্রামের বাসিন্দা।

ঝিনাইদহে আক্রান্ত ৯৫

ঝিনাইদহ : জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৪ জন। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৯৫ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩ হাজার ৪শ’ ৯১ জনে। ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, আক্রান্তের হার ৪৬ দশমিক ৩৪ ভাগ। সদর পৌরসভাসহ ৬টি পৌরসভা এলাকায় চলাচলে বিধিনিষেধ জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ জানান, স্থান সংকুলান না হওয়ায় ৫০ বেডের একটি নতুন করোনা ওয়ার্ড খোলা হয়েছে।