রাজধানীর সড়কগুলো ডুবে আছে

দুর্ভোগ সীমাহীন পানি ঢুকে গেছে অনেক বাড়িতে, মার্কেটে

সামান্য বৃষ্টিতে গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সড়কে পানি জমায় বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। এতে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তি শিকার হতে হয়েছে অফিস ফেরত যাত্রীদের। এছাড়া বৃষ্টির পানি ঢাকার নিম্নাঞ্চলের বাসাবাড়ি, দোকানে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। উত্তর বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী ও ডেমরাসহ বিভিন্ন নিচু এলাকায় বৃষ্টি হলেই অলি-গলিতে হাঁটু পানি জমা হয়। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় বলে স্থানীয়রা জানান।

গতকাল ঢাকায় ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত চট্টগ্রামের মাইজদীকোর্ড ৭৮ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। দুই-একদিন মধ্যে মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তা কমে গেলে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা।

সরেজিমনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল দুপুরের পরে সামান্য বৃষ্টিতে ঢাকার মতিঝিল, গুলিস্তান, দৈনিক বাংলা, আরামবাগ, কমলাপুর, বংশাল, যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা, পোস্তগোলা, জুরাইন, দয়াগঞ্জ ও বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। সড়কের পাশের ড্রেনের মুখ বন্ধ থাকায় বৃষ্টি পানি নামতে না পারায় এই জলাবদ্ধতায় সৃষ্টি হয়। সড়কের পানিতে যানবাহন আটকে যানজটের সৃষ্টি হয় বলে স্থানীয়রা জানান।

রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় আলাউদ্দীন নামের মিরপুরের এক যাত্রী জানান, ‘বিকেল ৪টায় অফিস শেষে মিরপুরে যাওয়ার জন্য বাসে উঠি। কিন্তু আধ ঘণ্টা যাবত মতিঝিল এলাকায় আটকে আছি। বাস তো চলে না। বাস থেকে নেমে হেঁটে যাব তারও উপায় নেই। কারণে সড়কে পানি। এভাবে কতক্ষণ বসে থাকতে হয় কে জানে।’

হামিদ নামের অপর এক যাত্রী বলেন, ‘দুই-এক বছর আগে বৃষ্টির পানি নামার জন্য সড়কে মোটা পাইপ বসানো হয়েছে। কিন্তু এখন দেখি বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তাহলে টাকা খরচ করে পাইপ বসিয়ে কি লাভ হলো।’ জলাবদ্ধতা ও যানজট থেকে নগরবাসীর সহসে মুক্তি নেই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেলেন তিনি।

সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ঢাকার নিম্নাঞ্চল। যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা এলাকায় ফারুক নামের এক দোকানদার সংবাদকে বলেন, ‘‘বিবির বাগিচা এলাকায় বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পানির সঙ্গে ময়লা মিশিয়ে খুব খারাপ অবস্থা তৈরি হয়। সড়কের ড্রেনগুলো পরিষ্কার না থাকার কারণে পানি সহজে নামে না। সকালে বৃষ্টি হলে রাতে সড়কে জলাবদ্ধতা থাকে।’’

একই অবস্থা রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকায়। বৃষ্টির দিনে এই এলাকায় দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে জমে যায় পানি। আর পানি নামলেও অনেক জায়গায় কাদা জমে থাকে। এসব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ চান স্থানীয়রা বাসিন্দারা।

image

বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক। যানবাহন চলাচল স্থবির হয়ে আছে জলাবদ্ধতায়, কিছু সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে মারাত্মক যানজট। দুর্ভোগ সীমাহীন সাধারণ মানুষের, কবে এর অবসান হবে এই প্রশ্নের কোন জবাব নেই। গতকাল দয়াগঞ্জ থেকে তোলা ছবি-সোহরাব আলম

আরও খবর
ঢাকা রক্ষায় সাত জেলায় লকডাউন
ঢাকার সঙ্গে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা
রাজশাহীতে নতুন রোগী ৬০ শতাংশই গ্রামের
ফাইজারের টিকা দেয়া শুরু, তবে পরীক্ষামূলক
হেফাজতের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব নাসির মুনির গ্রেপ্তার
প্রতি হাজার মানুষের জন্য হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা একটিরও কম
ই-মেইলের লিংক ক্লিকেই রিজার্ভের টাকা চুরি

মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১ , ৮ আষাঢ় ১৪২৮ ১০ জিলকদ ১৪৪২

রাজধানীর সড়কগুলো ডুবে আছে

দুর্ভোগ সীমাহীন পানি ঢুকে গেছে অনেক বাড়িতে, মার্কেটে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক। যানবাহন চলাচল স্থবির হয়ে আছে জলাবদ্ধতায়, কিছু সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে মারাত্মক যানজট। দুর্ভোগ সীমাহীন সাধারণ মানুষের, কবে এর অবসান হবে এই প্রশ্নের কোন জবাব নেই। গতকাল দয়াগঞ্জ থেকে তোলা ছবি-সোহরাব আলম

সামান্য বৃষ্টিতে গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সড়কে পানি জমায় বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। এতে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তি শিকার হতে হয়েছে অফিস ফেরত যাত্রীদের। এছাড়া বৃষ্টির পানি ঢাকার নিম্নাঞ্চলের বাসাবাড়ি, দোকানে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। উত্তর বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী ও ডেমরাসহ বিভিন্ন নিচু এলাকায় বৃষ্টি হলেই অলি-গলিতে হাঁটু পানি জমা হয়। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় বলে স্থানীয়রা জানান।

গতকাল ঢাকায় ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত চট্টগ্রামের মাইজদীকোর্ড ৭৮ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। দুই-একদিন মধ্যে মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তা কমে গেলে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা।

সরেজিমনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল দুপুরের পরে সামান্য বৃষ্টিতে ঢাকার মতিঝিল, গুলিস্তান, দৈনিক বাংলা, আরামবাগ, কমলাপুর, বংশাল, যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা, পোস্তগোলা, জুরাইন, দয়াগঞ্জ ও বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। সড়কের পাশের ড্রেনের মুখ বন্ধ থাকায় বৃষ্টি পানি নামতে না পারায় এই জলাবদ্ধতায় সৃষ্টি হয়। সড়কের পানিতে যানবাহন আটকে যানজটের সৃষ্টি হয় বলে স্থানীয়রা জানান।

রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় আলাউদ্দীন নামের মিরপুরের এক যাত্রী জানান, ‘বিকেল ৪টায় অফিস শেষে মিরপুরে যাওয়ার জন্য বাসে উঠি। কিন্তু আধ ঘণ্টা যাবত মতিঝিল এলাকায় আটকে আছি। বাস তো চলে না। বাস থেকে নেমে হেঁটে যাব তারও উপায় নেই। কারণে সড়কে পানি। এভাবে কতক্ষণ বসে থাকতে হয় কে জানে।’

হামিদ নামের অপর এক যাত্রী বলেন, ‘দুই-এক বছর আগে বৃষ্টির পানি নামার জন্য সড়কে মোটা পাইপ বসানো হয়েছে। কিন্তু এখন দেখি বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তাহলে টাকা খরচ করে পাইপ বসিয়ে কি লাভ হলো।’ জলাবদ্ধতা ও যানজট থেকে নগরবাসীর সহসে মুক্তি নেই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেলেন তিনি।

সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ঢাকার নিম্নাঞ্চল। যাত্রাবাড়ীর বিবির বাগিচা এলাকায় ফারুক নামের এক দোকানদার সংবাদকে বলেন, ‘‘বিবির বাগিচা এলাকায় বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পানির সঙ্গে ময়লা মিশিয়ে খুব খারাপ অবস্থা তৈরি হয়। সড়কের ড্রেনগুলো পরিষ্কার না থাকার কারণে পানি সহজে নামে না। সকালে বৃষ্টি হলে রাতে সড়কে জলাবদ্ধতা থাকে।’’

একই অবস্থা রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকায়। বৃষ্টির দিনে এই এলাকায় দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে জমে যায় পানি। আর পানি নামলেও অনেক জায়গায় কাদা জমে থাকে। এসব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ চান স্থানীয়রা বাসিন্দারা।