ওয়াশিংটন-দুবাইকে পেছনে ফেললো ঢাকা

বিদেশি কর্মজীবীদের জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় দুবাই, ওয়াশিংটনের মতো শহরকে পেছনে ফেলেছে ঢাকা। বসবাসের জন্য বিশ্বের ৪০তম ব্যয়বহুল শহর হয়েছে ঢাকা। তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশগাবাত। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জরিপকারী প্রতিষ্ঠান মার্সার নিউইয়র্ক শহরকে ভিত্তি ধরে আবাসন, পরিবহন, খাবার এবং বিনোদন ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে ২০৯ শহরকে অন্তর্ভুক্ত করে জরিপ চালিয়ে ২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে।

২০২০ সালের তালিকায় রাজধানী ঢাকার অবস্থান ২৬ থাকলেও এ বছর তা ১৪ ধাপ পিছিয়ে ৪০তম। তালিকা অনুযায়ী বিদেশি কর্মজীবীদের জীবনযাপনে ঢাকার চেয়েও কম ব্যয় হয় দুবাইয়ে। শহরটির অবস্থান ঢাকার চেয়ে দুই ধাপ পরে, ৪২ নম্বরে। ঢাকার চেয়ে কম ব্যয়ের শহরের মধ্যে রয়েছে- ব্যাংকক (৪৬তম), ওয়াশিংটন ডিসি (৫১তম), মিউনিখ (৫২তম), মেলবোর্ন (৫৯তম), বার্লিন (৬০তম), মস্কো (৬২তম), স্টকহোম (৭২তম), মুম্বাই (৭৮তম), জেদ্দা (৯৪তম), দিল্লি (১১৭তম), দোহা (১৩০তম), কুয়ালালামপুর (১৫২তম), বেঙ্গালুরু (১৭০তম), ইস্তাম্বুল (১৭৩তম), কলকাতা (১৮১তম), কলম্বো (১৮৫তম), ইসলামাবাদ (১৯৯তম) ও করাচি (২০১তম)।

মার্সার প্রকাশিত এবারের ‘কস্ট অব লিভিং সিটি র্যাঙ্কিং-২০২১’ শীর্ষক সমীক্ষায় হংকংকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে মধ্য এশিয়ার দেশ তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী শহর আশখাবাত। মারাত্মক ও দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক মন্দার ফলে মুদ্রাস্ফীতিসহ বহুমুখী সংকটের মধ্যে থাকা লেবাননের রাজধানী বৈরুত ২০২১ সালে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। অথচ ২০২০ সালে তালিকায় বৈরুতের অবস্থান ছিল ৪৫তম।

প্রতিষ্ঠানটির ফ্রান্স শাখার গ্লোবাল মোবিলিটি প্র্যাকটিস শাখার প্রধান জ্যাঁ ফিলিপ্পে সারা বলছেন, ‘অতি মাত্রায় মুদ্রাস্ফীতির কারণে’ আশখাবাত আগের জরিপে দ্বিতীয় থেকে চলতি বছরের জরিপে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে। তুর্কমেনিস্তান মূলত প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল। ২০১৪ সালে বিশ্বে জ্বালানির দামের যে পতন শুরু হয়েছিল তা পুনরুদ্ধারে সংগ্রাম করছে দেশটি। এতে করে দেশটির মুদ্রা মানাতের মান কমেছে এবং দরিদ্র হয়েছে বহু মানুষ। চলমান অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও দেশটির সরকার গত মে মাসে আশখাবাত নিয়ে বড় ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। স্বৈরশাসক গুরবাঙ্গুলি বেরদিমুখেভব এটিকে ‘বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ শহর’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

মার্সারের এবারের জরিপে অত্যধিক আবাসন ব্যয়ের শহর হংকং শীর্ষ স্থান হারিয়ে চলে গেছে দ্বিতীয় স্থানে। এছাড়া জাপানের রাজধানী শহর টোকিও গত বছরের জরিপে তৃতীয় স্থানে থাকলেও এবার এক ধাপ পিছিয়ে চলে গেছে চতুর্থ স্থানে। এক ধাপ পিছিয়ে পঞ্চম স্থানে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ। সবচেয়ে ব্যয়বহুল দশটি শহরের মধ্যে সুইজারল্যান্ডের রয়েছে তিনটি শহর। জুরিখ ছাড়াও তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে জেনেভা এবং দশম স্থানে রয়েছে দেশটির বার্ন শহর। প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিশ্বের শীর্ষ দশটি ব্যয়বহুল শহরের মধ্যে তালিকায় প্রথম দশে চীনের দুটি শহর রয়েছে। এবার এক ধাপ এগিয়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে সাংহাই। এক ধাপ এগিয়ে বেইজিং রয়েছে নবম স্থানে। তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর।

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন ২০২১ , ১০ আষাঢ় ১৪২৮ ১২ জিলকদ ১৪৪২

ব্যয়বহুল শহরের তালিকায়

ওয়াশিংটন-দুবাইকে পেছনে ফেললো ঢাকা

সংবাদ ডেস্ক

বিদেশি কর্মজীবীদের জন্য সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় দুবাই, ওয়াশিংটনের মতো শহরকে পেছনে ফেলেছে ঢাকা। বসবাসের জন্য বিশ্বের ৪০তম ব্যয়বহুল শহর হয়েছে ঢাকা। তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশগাবাত। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জরিপকারী প্রতিষ্ঠান মার্সার নিউইয়র্ক শহরকে ভিত্তি ধরে আবাসন, পরিবহন, খাবার এবং বিনোদন ব্যয় বিবেচনায় নিয়ে ২০৯ শহরকে অন্তর্ভুক্ত করে জরিপ চালিয়ে ২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে।

২০২০ সালের তালিকায় রাজধানী ঢাকার অবস্থান ২৬ থাকলেও এ বছর তা ১৪ ধাপ পিছিয়ে ৪০তম। তালিকা অনুযায়ী বিদেশি কর্মজীবীদের জীবনযাপনে ঢাকার চেয়েও কম ব্যয় হয় দুবাইয়ে। শহরটির অবস্থান ঢাকার চেয়ে দুই ধাপ পরে, ৪২ নম্বরে। ঢাকার চেয়ে কম ব্যয়ের শহরের মধ্যে রয়েছে- ব্যাংকক (৪৬তম), ওয়াশিংটন ডিসি (৫১তম), মিউনিখ (৫২তম), মেলবোর্ন (৫৯তম), বার্লিন (৬০তম), মস্কো (৬২তম), স্টকহোম (৭২তম), মুম্বাই (৭৮তম), জেদ্দা (৯৪তম), দিল্লি (১১৭তম), দোহা (১৩০তম), কুয়ালালামপুর (১৫২তম), বেঙ্গালুরু (১৭০তম), ইস্তাম্বুল (১৭৩তম), কলকাতা (১৮১তম), কলম্বো (১৮৫তম), ইসলামাবাদ (১৯৯তম) ও করাচি (২০১তম)।

মার্সার প্রকাশিত এবারের ‘কস্ট অব লিভিং সিটি র্যাঙ্কিং-২০২১’ শীর্ষক সমীক্ষায় হংকংকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে মধ্য এশিয়ার দেশ তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী শহর আশখাবাত। মারাত্মক ও দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক মন্দার ফলে মুদ্রাস্ফীতিসহ বহুমুখী সংকটের মধ্যে থাকা লেবাননের রাজধানী বৈরুত ২০২১ সালে ব্যয়বহুল শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। অথচ ২০২০ সালে তালিকায় বৈরুতের অবস্থান ছিল ৪৫তম।

প্রতিষ্ঠানটির ফ্রান্স শাখার গ্লোবাল মোবিলিটি প্র্যাকটিস শাখার প্রধান জ্যাঁ ফিলিপ্পে সারা বলছেন, ‘অতি মাত্রায় মুদ্রাস্ফীতির কারণে’ আশখাবাত আগের জরিপে দ্বিতীয় থেকে চলতি বছরের জরিপে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে। তুর্কমেনিস্তান মূলত প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল। ২০১৪ সালে বিশ্বে জ্বালানির দামের যে পতন শুরু হয়েছিল তা পুনরুদ্ধারে সংগ্রাম করছে দেশটি। এতে করে দেশটির মুদ্রা মানাতের মান কমেছে এবং দরিদ্র হয়েছে বহু মানুষ। চলমান অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও দেশটির সরকার গত মে মাসে আশখাবাত নিয়ে বড় ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। স্বৈরশাসক গুরবাঙ্গুলি বেরদিমুখেভব এটিকে ‘বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ শহর’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

মার্সারের এবারের জরিপে অত্যধিক আবাসন ব্যয়ের শহর হংকং শীর্ষ স্থান হারিয়ে চলে গেছে দ্বিতীয় স্থানে। এছাড়া জাপানের রাজধানী শহর টোকিও গত বছরের জরিপে তৃতীয় স্থানে থাকলেও এবার এক ধাপ পিছিয়ে চলে গেছে চতুর্থ স্থানে। এক ধাপ পিছিয়ে পঞ্চম স্থানে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ। সবচেয়ে ব্যয়বহুল দশটি শহরের মধ্যে সুইজারল্যান্ডের রয়েছে তিনটি শহর। জুরিখ ছাড়াও তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে জেনেভা এবং দশম স্থানে রয়েছে দেশটির বার্ন শহর। প্রবাসী কর্মীদের জন্য বিশ্বের শীর্ষ দশটি ব্যয়বহুল শহরের মধ্যে তালিকায় প্রথম দশে চীনের দুটি শহর রয়েছে। এবার এক ধাপ এগিয়ে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে সাংহাই। এক ধাপ এগিয়ে বেইজিং রয়েছে নবম স্থানে। তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর।