১৫ ফেব্রুয়ারির পর এলসি খোলা যাবে না

চাল আমদানি করতে ঋণপত্র বা এলসি খুলতে আর চার দিন সময় পাবেন ব্যবসায়ীরা। সময় সীমা পার হলে আর কাউকে চাল আনতে দেয়া হবে না। গতকাল খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

ভার্চুয়াল এই সভায় সভাপতিত্ব করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এতে আরও অংশ নেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

গত বছর বন্যায় ফসলহানির কারণে চালের দাম বেড়ে যাওয়ার পর সরকার সীমিত পরিসরে চাল আমদানির সুযোগ করে দেয়। কোন প্রতিষ্ঠান কত চাল আনতে পারবে, সেটা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে সরকার। তবে অনুমতিপত্র পেয়েও এখনও অনেকে চাল আনেনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ১৩টি জেলার জেলা প্রশাসক ও আমদানিকারকদের নিয়ে একটি মিটিং করেছি। ১৫ ফেব্রুয়ারির পরে আর কেউ এলসি খুলতে পারবেন না বলেও সভায় আমদানিকারকদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের অনুরোধ করা হয়েছে যারা ১৫ তারিখের মধ্যে এলসি খুলতে পারবেন না তারা তাদের বরাদ্দ প্রত্যাহার করুন। তাদের বরাদ্দ বাতিল করে আমরা নতুন করে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে আমদানির অনুমতি দেবো।’

সরকার চাল আমদানির বরাদ্দপত্র ইস্যুর সাতদিনের মধ্যে এলসি খুলে এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে জানাতে বলেছিল। এখন পর্যন্ত ৩২০ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে মোট ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে আমদানি করা চাল দেশে আসতে শুরু করেছে। তবে আমদানির গতি অত বেশি না। পাঁচ হাজার মেট্রিক টন বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীকে এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং সর্বমোট ২০ দিনের মধ্যে সব চাল দেশে আনার নির্দেশ দেয়া হয়। ১০ থেকে ১৫ হাজার মেট্রিক টন বরাদ্দ পাওয়া ব্যবসায়ীদেরকে এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ৩০ দিনের মধ্যে সব চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে বলেও মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়।

শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১ , ১১ আষাঢ় ১৪২৮ ১৩ জিলকদ ১৪৪২

চাল আমদানিতে

১৫ ফেব্রুয়ারির পর এলসি খোলা যাবে না

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

চাল আমদানি করতে ঋণপত্র বা এলসি খুলতে আর চার দিন সময় পাবেন ব্যবসায়ীরা। সময় সীমা পার হলে আর কাউকে চাল আনতে দেয়া হবে না। গতকাল খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

ভার্চুয়াল এই সভায় সভাপতিত্ব করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এতে আরও অংশ নেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

গত বছর বন্যায় ফসলহানির কারণে চালের দাম বেড়ে যাওয়ার পর সরকার সীমিত পরিসরে চাল আমদানির সুযোগ করে দেয়। কোন প্রতিষ্ঠান কত চাল আনতে পারবে, সেটা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে সরকার। তবে অনুমতিপত্র পেয়েও এখনও অনেকে চাল আনেনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ১৩টি জেলার জেলা প্রশাসক ও আমদানিকারকদের নিয়ে একটি মিটিং করেছি। ১৫ ফেব্রুয়ারির পরে আর কেউ এলসি খুলতে পারবেন না বলেও সভায় আমদানিকারকদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে। তাদের অনুরোধ করা হয়েছে যারা ১৫ তারিখের মধ্যে এলসি খুলতে পারবেন না তারা তাদের বরাদ্দ প্রত্যাহার করুন। তাদের বরাদ্দ বাতিল করে আমরা নতুন করে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে আমদানির অনুমতি দেবো।’

সরকার চাল আমদানির বরাদ্দপত্র ইস্যুর সাতদিনের মধ্যে এলসি খুলে এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে জানাতে বলেছিল। এখন পর্যন্ত ৩২০ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে মোট ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে আমদানি করা চাল দেশে আসতে শুরু করেছে। তবে আমদানির গতি অত বেশি না। পাঁচ হাজার মেট্রিক টন বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীকে এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং সর্বমোট ২০ দিনের মধ্যে সব চাল দেশে আনার নির্দেশ দেয়া হয়। ১০ থেকে ১৫ হাজার মেট্রিক টন বরাদ্দ পাওয়া ব্যবসায়ীদেরকে এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ৩০ দিনের মধ্যে সব চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে বলেও মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়।