টিকা উৎপাদনে আবারও সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

টিকা উৎপাদনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবারও সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ (বিআরআই) নিয়ে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে মোমেন এই সহযোগিতা চান। একইসঙ্গে করোনা মহামারী প্রতিরোধে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৫ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন।

গতকাল পাঠানো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এই সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং আই সভাপতিত্ব করেন। চীনা উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলনে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যোগ দেন।

আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশসহ যেসব দেশের টিকা উৎপাদনে সক্ষমতা আছে, সেসব দেশকে টিকা উৎপাদনে সহায়তা দিন।

করোনা নিয়ে তথ্য আদান-প্রদান, করোনা প্রতিরোধে যৌথ উদ্যোগ ও সমন্বয়, টিকাকে জনগণের সম্পত্তি ও কোভ্যাক্স উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করতে প্রস্তাব দেন ড. মোমেন।

এদিকে, চীনের নতুন একটি টিকার মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)। টিকাটি উদ্ভাবন করেছে চীনের ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল বায়োলজি অব দ্য চায়নিজ একাডেমি অব মে ডিকেল সায়েন্স। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীদের দেহে টিকাটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা যাবে। দেশে এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনার কাজ করবে আইসিডিডিআর’বি।

বিএমআরসির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন বলেন, আইসিডিডিআর’বি এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য প্রটোকল জমা দিয়েছিল। সেই অনুযায়ী তাদের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ধাপ পেরিয়ে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের টিকা, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা, রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি টিকা, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা এবং জনসনের টিকা এরই মধ্যে বাংলাদেশে ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে।

শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১ , ১১ আষাঢ় ১৪২৮ ১৩ জিলকদ ১৪৪২

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে

টিকা উৎপাদনে আবারও সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

টিকা উৎপাদনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবারও সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ (বিআরআই) নিয়ে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে মোমেন এই সহযোগিতা চান। একইসঙ্গে করোনা মহামারী প্রতিরোধে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৫ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন।

গতকাল পাঠানো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এই সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং আই সভাপতিত্ব করেন। চীনা উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলনে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যোগ দেন।

আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশসহ যেসব দেশের টিকা উৎপাদনে সক্ষমতা আছে, সেসব দেশকে টিকা উৎপাদনে সহায়তা দিন।

করোনা নিয়ে তথ্য আদান-প্রদান, করোনা প্রতিরোধে যৌথ উদ্যোগ ও সমন্বয়, টিকাকে জনগণের সম্পত্তি ও কোভ্যাক্স উদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করতে প্রস্তাব দেন ড. মোমেন।

এদিকে, চীনের নতুন একটি টিকার মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)। টিকাটি উদ্ভাবন করেছে চীনের ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল বায়োলজি অব দ্য চায়নিজ একাডেমি অব মে ডিকেল সায়েন্স। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীদের দেহে টিকাটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা যাবে। দেশে এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বা ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনার কাজ করবে আইসিডিডিআর’বি।

বিএমআরসির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন বলেন, আইসিডিডিআর’বি এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য প্রটোকল জমা দিয়েছিল। সেই অনুযায়ী তাদের অনুমতি দেয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ধাপ পেরিয়ে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের টিকা, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা, রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি টিকা, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা এবং জনসনের টিকা এরই মধ্যে বাংলাদেশে ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে।