ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাজেট ঘোষণা এক দশকে সর্বনিম্ন

প্রতিনিধি ঢাবি

আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৮৩১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। বাজেটে ৪৭ কোটি ৫২ লাখ ৪২ হাজার টাকা ঘাটতি রয়েছে।

গতকাল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এই বাজেট উত্থাপন করেন। নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সিনেটের চেয়ারম্যান ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সালের ৭৭৪ কোটি ২৮ লাখ ৪২ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন ঢাবি উপাচার্য। ২০২০-২১ অর্থবছরের মূল বাজেট ছিল ৮৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ৯৫ কোটি ২৭ লাখ ৫৮ হাজার কমিয়ে সংশোধিত বাজেট দাঁড়ায় ৭৭৪ কোটি ২৮ লাখ ৪২ হাজার টাকা।

সংশোধিত বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে অনুদান ৬৬৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা এবং নিজস্ব আয় হিসেবে ৬০ কোটি টাকাসহ আয় ধরা হয়েছে ৭৩৩ কোটি ছয় লাখ টাকা। ফলে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪৭ কোটি ৫২ লাখ ৪২ হাজার টাকা মাত্র, যা মোট প্রাক্কলিত ব্যয়ের ছয় দশমিক ১৪ শতাংশ।

এবারের বাজেটে বেতন, ভাতা ও পেনশন বাবদ ৬১১ কোটি ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা যা মোট ব্যয়ের ৭৩.৫৭%, গবেষণা মঞ্জুরি বাবদ ১৯ কোটি টাকা যা মোট ব্যয়ের ১.৩২%, অন্যান্য অনুদান বাবদ ১৯ কোটি ১২ লাখ টাকা যা প্রস্তাবিত ব্যয়ের ২.৩০%, পণ্য ও সেবা বাবদ ১৬৮ কোটি ৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা যা মোট ব্যয়ের ২০.২০% এবং মূলধন খাতে ২১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা যা মোট ব্যয়ের ২.৬১% বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিমক থেকে পাওয়া যাবে ৬৯৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা এবং ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৭০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, যা প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৮.৪৫%। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের মূল বাজেটে বিমক-এর অনুদানের তুলনায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বিমক-এর বরাদ্দ ৫১ কোটি ৫২ লাখ টাকা কমবে।

চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সিনেটের এই বার্ষিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিনেট অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামালসহ সিনেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অধিবেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল নির্মাণ, দ্রুত টিকা ব্যবস্থা করে হল খুলে দেয়া, তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ সৃষ্টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের মান বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে বক্তব্য দেন সিনেট সদস্যরা।

এছাড়া সিনেট সদস্যরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত উপাচার্যদের নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার কঠোর সমালোচনা করেন।

শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১ , ১১ আষাঢ় ১৪২৮ ১৩ জিলকদ ১৪৪২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাজেট ঘোষণা এক দশকে সর্বনিম্ন

প্রতিনিধি ঢাবি

আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৮৩১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। বাজেটে ৪৭ কোটি ৫২ লাখ ৪২ হাজার টাকা ঘাটতি রয়েছে।

গতকাল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এই বাজেট উত্থাপন করেন। নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সিনেটের চেয়ারম্যান ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সালের ৭৭৪ কোটি ২৮ লাখ ৪২ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট উপস্থাপন করেছেন ঢাবি উপাচার্য। ২০২০-২১ অর্থবছরের মূল বাজেট ছিল ৮৬৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ৯৫ কোটি ২৭ লাখ ৫৮ হাজার কমিয়ে সংশোধিত বাজেট দাঁড়ায় ৭৭৪ কোটি ২৮ লাখ ৪২ হাজার টাকা।

সংশোধিত বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে অনুদান ৬৬৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা এবং নিজস্ব আয় হিসেবে ৬০ কোটি টাকাসহ আয় ধরা হয়েছে ৭৩৩ কোটি ছয় লাখ টাকা। ফলে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪৭ কোটি ৫২ লাখ ৪২ হাজার টাকা মাত্র, যা মোট প্রাক্কলিত ব্যয়ের ছয় দশমিক ১৪ শতাংশ।

এবারের বাজেটে বেতন, ভাতা ও পেনশন বাবদ ৬১১ কোটি ৮৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা যা মোট ব্যয়ের ৭৩.৫৭%, গবেষণা মঞ্জুরি বাবদ ১৯ কোটি টাকা যা মোট ব্যয়ের ১.৩২%, অন্যান্য অনুদান বাবদ ১৯ কোটি ১২ লাখ টাকা যা প্রস্তাবিত ব্যয়ের ২.৩০%, পণ্য ও সেবা বাবদ ১৬৮ কোটি ৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা যা মোট ব্যয়ের ২০.২০% এবং মূলধন খাতে ২১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা যা মোট ব্যয়ের ২.৬১% বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিমক থেকে পাওয়া যাবে ৬৯৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা এবং ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৭০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, যা প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৮.৪৫%। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের মূল বাজেটে বিমক-এর অনুদানের তুলনায় ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বিমক-এর বরাদ্দ ৫১ কোটি ৫২ লাখ টাকা কমবে।

চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সিনেটের এই বার্ষিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিনেট অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামালসহ সিনেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অধিবেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মান বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল নির্মাণ, দ্রুত টিকা ব্যবস্থা করে হল খুলে দেয়া, তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ সৃষ্টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের মান বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে বক্তব্য দেন সিনেট সদস্যরা।

এছাড়া সিনেট সদস্যরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত উপাচার্যদের নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার কঠোর সমালোচনা করেন।