পাঁচ জেলায় করোনায় মৃত্যু ১৮ শনাক্ত ২৯৩

রামেক মৃত্যু ১৪

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের পাঁচজনের করোনা পজিটিভ ছিল। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টার মধ্যে বিভিন্ন সময় মারা যাওয়া ছয়জন রাজশাহীর। বাকিদের মধ্যে চাঁপাইনবাগঞ্জের চারজন, নাটোরের একজন ও নওগাঁর তিনজন। এদের মধ্যে দুইজন মারা যান আইসিইউতে। মারা যাওয়াদের সাতজন পুরুষ ও সাতজন নারী। এদের মধ্যে চারজনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে।

নোয়াখালীতে করোনায় মৃত্যু ৩ শনাক্ত ১২৮

জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৫ জনে। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। এরমধ্যে সদর উপজেলায় মারা যায় ২৬ জন, সুবর্ণচরে ২ জন, বেগমগঞ্জ-৪৭ জন, সোনাইমুড়ীতে ৮ জন, চাটখিল ১৩ জন, সেনবাগ-১৭ জন, কোম্পানীগঞ্জ-৪ জন, কবিরহাট ১৮ জন। গতকাল শনিবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুম ইফতেখার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৪৪২ জনের নমুনা পরীক্ষায় এ ফল পাওয়া যায়। এতে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এতে জেলায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দশ হাজার ৮১৩ জন। মোট আক্রান্তের হার ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ।

বাগেরহাটে করোনায় মৃত্যু ১, আক্রান্ত ১৫

বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক সরদার নাসির উদ্দিনের মাতা কুলসুম বেগম (৯৪) ইন্তেকাল করেছেন। গতকাল শনিবার সকাল ৬টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি করোনা পজিটিভ ছিলেন। গত শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় জেলার কোন হাসপাতালে র‌্যাপিড এ্যান্টিজেন পরীক্ষা হয়নি। তবে বাগেরহাট থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআরে পাঠানো নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৭৩টি নমুনা পরীক্ষায় ১৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় সংক্রমণের হার ২০ দশমিক ৫৪ শতাংশ। যা গত ২৪ ঘণ্টার তুলনায় ২৬ শতাংশ কম। একদিন আগে যা ছিল ৪৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। বাগেরহাটের বেশি ঝুঁকিতে থাকা মংলা উপজেলা থেকে আরটি পিসিআরে পাঠানো ১০টি নমুনা পরীক্ষায় ১০টিই নেগেটিভ এসেছে। মংলায় সংক্রমণের হার শূন্যের ঘরে।

সিরাজগঞ্জে শনাক্ত ৪০

গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তে হার ৪১ দশমিক ৪৯ ভাগ জেলায় নতুন করে আর কেউ মারা যায়নি। গতকাল শনিবার আরও ২ জন করোনা রোগীকে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একইসঙ্গে করোনা আক্রান্ত এক রোগী সুস্থ হওয়ায় তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেন। এখন হাসপাতালে ৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে । শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৯৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে সিরাজগঞ্জ সদরে ১০ জন, উল্লাপাড়াতে ১১ জন, শাহজাদপুরে ৪ জন, বেলকুচিতে ৫ জন, চৌহালিতে ৫ জন, রায়গঞ্জে ৩ জন, এবং কামারখন্দ উপজেলায় ১ জন। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা হুমায়ুন ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন ।

কিশোরগঞ্জে শনাক্ত ১১০

শুক্রবার রাত ১১টা পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসাবে দেখা গেছে, কিশোগঞ্জে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ ১১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতবছর করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে একদিনে এত রোগী আর কখনও শনাক্ত হয়নি। এদের মধ্যে সদরেই ৮৯ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২২ জন। এরা সবাই সদরের। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমানের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আর আগের ২৪ ঘণ্টায় সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন ১০৭টি আর পুরনো রোগীদের ১৯টি নমুনা পজিটিভ হয়েছে। জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৮৪টি নমুনা পীক্ষায় জেলায় আক্রান্ত একজন আর অন্য জেলা থেকে আক্রান্ত হয়ে আসা একজনের নমুনা পজিটিভ হয়েছে। এছাড়া জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতাল এবং হোসেনপুর ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৭টি নমুনার র‌্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষায় ২টি পজিটিভ হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদরে ৮৯ জন, ভৈরবে ১৭ জন, কুলিয়ারচরে ৩ জন আর বাজিতপুরে একজন।

শুক্রবার রাত পর্যন্ত জেলায় সর্বশেষ করোনায় চিকিৎসাধীন ছিলেন ৫৪০ জন। এদেরমধ্যে সদরেই ৪০৫ জন। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রোগী ভৈরবে ২৭ জন আর তৃতীয় সর্বোচ্চ রোগী পাকুন্দিয়ায় ২৫ জন।

রবিবার, ২৭ জুন ২০২১ , ১৩ আষাঢ় ১৪২৮ ১৫ জিলক্বদ ১৪৪২

পাঁচ জেলায় করোনায় মৃত্যু ১৮ শনাক্ত ২৯৩

প্রতিনিধি, রাজশাহী, নোয়াখালী, জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, প্রতিনিধি, বাগেরহাট

রামেক মৃত্যু ১৪

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যাদের পাঁচজনের করোনা পজিটিভ ছিল। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টার মধ্যে বিভিন্ন সময় মারা যাওয়া ছয়জন রাজশাহীর। বাকিদের মধ্যে চাঁপাইনবাগঞ্জের চারজন, নাটোরের একজন ও নওগাঁর তিনজন। এদের মধ্যে দুইজন মারা যান আইসিইউতে। মারা যাওয়াদের সাতজন পুরুষ ও সাতজন নারী। এদের মধ্যে চারজনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে।

নোয়াখালীতে করোনায় মৃত্যু ৩ শনাক্ত ১২৮

জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৫ জনে। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। এরমধ্যে সদর উপজেলায় মারা যায় ২৬ জন, সুবর্ণচরে ২ জন, বেগমগঞ্জ-৪৭ জন, সোনাইমুড়ীতে ৮ জন, চাটখিল ১৩ জন, সেনবাগ-১৭ জন, কোম্পানীগঞ্জ-৪ জন, কবিরহাট ১৮ জন। গতকাল শনিবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মাসুম ইফতেখার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৪৪২ জনের নমুনা পরীক্ষায় এ ফল পাওয়া যায়। এতে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এতে জেলায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দশ হাজার ৮১৩ জন। মোট আক্রান্তের হার ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ।

বাগেরহাটে করোনায় মৃত্যু ১, আক্রান্ত ১৫

বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক সরদার নাসির উদ্দিনের মাতা কুলসুম বেগম (৯৪) ইন্তেকাল করেছেন। গতকাল শনিবার সকাল ৬টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি করোনা পজিটিভ ছিলেন। গত শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় জেলার কোন হাসপাতালে র‌্যাপিড এ্যান্টিজেন পরীক্ষা হয়নি। তবে বাগেরহাট থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআরে পাঠানো নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৭৩টি নমুনা পরীক্ষায় ১৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় সংক্রমণের হার ২০ দশমিক ৫৪ শতাংশ। যা গত ২৪ ঘণ্টার তুলনায় ২৬ শতাংশ কম। একদিন আগে যা ছিল ৪৬ দশমিক ১৫ শতাংশ। বাগেরহাটের বেশি ঝুঁকিতে থাকা মংলা উপজেলা থেকে আরটি পিসিআরে পাঠানো ১০টি নমুনা পরীক্ষায় ১০টিই নেগেটিভ এসেছে। মংলায় সংক্রমণের হার শূন্যের ঘরে।

সিরাজগঞ্জে শনাক্ত ৪০

গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তে হার ৪১ দশমিক ৪৯ ভাগ জেলায় নতুন করে আর কেউ মারা যায়নি। গতকাল শনিবার আরও ২ জন করোনা রোগীকে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একইসঙ্গে করোনা আক্রান্ত এক রোগী সুস্থ হওয়ায় তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেন। এখন হাসপাতালে ৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে । শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ৯৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে সিরাজগঞ্জ সদরে ১০ জন, উল্লাপাড়াতে ১১ জন, শাহজাদপুরে ৪ জন, বেলকুচিতে ৫ জন, চৌহালিতে ৫ জন, রায়গঞ্জে ৩ জন, এবং কামারখন্দ উপজেলায় ১ জন। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা হুমায়ুন ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন ।

কিশোরগঞ্জে শনাক্ত ১১০

শুক্রবার রাত ১১টা পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসাবে দেখা গেছে, কিশোগঞ্জে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ ১১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতবছর করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে একদিনে এত রোগী আর কখনও শনাক্ত হয়নি। এদের মধ্যে সদরেই ৮৯ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ২২ জন। এরা সবাই সদরের। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমানের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আর আগের ২৪ ঘণ্টায় সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন ১০৭টি আর পুরনো রোগীদের ১৯টি নমুনা পজিটিভ হয়েছে। জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৮৪টি নমুনা পীক্ষায় জেলায় আক্রান্ত একজন আর অন্য জেলা থেকে আক্রান্ত হয়ে আসা একজনের নমুনা পজিটিভ হয়েছে। এছাড়া জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতাল এবং হোসেনপুর ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৭টি নমুনার র‌্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষায় ২টি পজিটিভ হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদরে ৮৯ জন, ভৈরবে ১৭ জন, কুলিয়ারচরে ৩ জন আর বাজিতপুরে একজন।

শুক্রবার রাত পর্যন্ত জেলায় সর্বশেষ করোনায় চিকিৎসাধীন ছিলেন ৫৪০ জন। এদেরমধ্যে সদরেই ৪০৫ জন। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রোগী ভৈরবে ২৭ জন আর তৃতীয় সর্বোচ্চ রোগী পাকুন্দিয়ায় ২৫ জন।