বাতিল ৫ কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প, গ্যাসে যাচ্ছে ৫টি

রামপাল, মাতারবাড়ি, মিরসরাই থাকবে

সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার গত এক যুগে যে ১৮টি বড় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছিল, এর মধ্যে অন্তত ৫টি প্রকল্প বাতিল হচ্ছে আর ৫টি গ্যাসে (এলএনজি) রূপান্তর করে চালানো হবে।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল হচ্ছে, কয়েকটি গণমাধ্যমে এমন খবর দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিষয়টি নিয়ে সরকার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে জাইকা (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি)। সূত্র বলছে, ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ বাস্তবায়নাধীন রামপাল ১৩২০ মেগাওয়াট, জাইকার অর্থায়নে মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট, মিরসরাইয়ে চীনের উদ্যোগে নির্মাণাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলমান থাকবে।

প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে আরও কয়েকটি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল হতে পরে। বাতিলের পেছনে জলাবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের সংহতির বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে।

এদিকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের খবরে সাধুবাদ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তবে কয়লার পরিবর্তে পরিবেশ দূষণকারী এলএনজি (রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস) ব্যবহারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনসহ (বাপা) কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠন কয়লা প্রকল্প বাতিলের দাবিতে সাধুবাদ জানালেও বরাবরের মতোই এ ধরনের (কয়লা) সব প্রকল্প বাতিলের দাবি জানিয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অর্থায়ন যোগাড় হয়নি, বাস্তবায়ন অগ্রগতি নেই এমন বেশকিছু প্রকল্প বাতিল করতে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। এর অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।

প্রকল্প বাতিলের বিষয়ে জানাতে আজ সকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

সূত্র জানায়, এলএনজিতে রূপান্তরিত হতে যাওয়া পাঁচটি বিদ্যুকন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ৫ হাজার ১৭৫ মেগাওয়াট। অন্যদিকে বাতিল হতে যাওয়া পাঁচটি কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ৪ হাজার ১৭১ মেগাওয়াট।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) এক কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএল) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশ গ্রিন ও ক্লিন এনার্জির প্রসারে আরও নিবেদিত হয়ে কাজ করছে। বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে ৭২২ দশমিক ১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। এখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পরিবেশবাদীদের ক্রমাগত উদ্বেগ এবং স্থানীয় জনগণের তীব্র আপত্তি ও প্রতিবাদ সত্ত্বেও পরিবেশগত প্রতিপন্ন এলাকা এবং জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় জেলায় সরকার বড়সংখ্যক কয়লাভিত্তিক প্রকল্প স্থাপনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা থেকে ১০টি কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত সরকারের বোধোদয় হিসেবে ধরে নেয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে আমরা বিশ্বাস করতে চাই, প্যারিস চুক্তিসহ ২০৫০ সালের মধ্যে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি বাস্তাবয়নে সরকার অধিকতর সচেষ্ট হবে এবং সংশোধন হতে যাওয়া বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনায় কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র থেকে পুরোপুরি সরে আসার সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেয়া হবে।’

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি, বেসরকারি ও যৌথ বিনিয়োগের নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর মধ্যে রামপালে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কেন্দ্রটির বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫৭ শতাংশ।

কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) কক্সবাজারে মাতারবাড়ী ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির অগ্রগতি ৩৭ শতাংশ। সিপিজিসিবিএলের সঙ্গে জাপানের প্রতিষ্ঠান সুমিটোমো এটি বাস্তবায়ন করছে।

রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিসিএল) ও চীনের নরিনকো ইন্টারন্যাশনালের পটুয়াখালীতে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বাস্তবায়ন অগ্রগতি ২৭ শতাংশ।

এদিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় ওরিয়নের ৫২২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৩ শতাংশ। কেন্দ্রটির জন্য এখনও ‘ফাইনেন্সিয়াল ক্লোজিং’ করতে পারেনি ওরিয়ন। ২০১২ সালের ২৭ জুন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে চুক্তি করে সরকার। একাধিকবার সময় বাড়িয়েও প্রকল্পের অগ্রগতি হয়নি।

ওরিয়নের অরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ঢাকা ৬৩৫ মেগাওয়াট কয়লাভিক্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল কেন্দ্রটি স্থাপনে চুক্তি হয়। ওরিয়ন তারা জিই, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করেছে। বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যানুযায়ী এর কেন্দ্রটির বাস্তাবয়ন অগ্রগতি নেই।

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলমের (এসএস পাওয়ার) চট্টগ্রামে ১ হাজার ২২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অগ্রগতি ৫৯ শতাংশ।

আইসোটেকের বরিশাল ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানির ৩০৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৪০ শতাংশ।

বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) পায়রায় দ্বিতীয় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কেন্দ্রটির অগ্রগতি ২০ শতাংশ। চীনের সিএমসি’র সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বে কেন্দ্রটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

রবিবার, ২৭ জুন ২০২১ , ১৩ আষাঢ় ১৪২৮ ১৫ জিলক্বদ ১৪৪২

বাতিল ৫ কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প, গ্যাসে যাচ্ছে ৫টি

রামপাল, মাতারবাড়ি, মিরসরাই থাকবে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার গত এক যুগে যে ১৮টি বড় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছিল, এর মধ্যে অন্তত ৫টি প্রকল্প বাতিল হচ্ছে আর ৫টি গ্যাসে (এলএনজি) রূপান্তর করে চালানো হবে।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল হচ্ছে, কয়েকটি গণমাধ্যমে এমন খবর দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিষয়টি নিয়ে সরকার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে জাইকা (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি)। সূত্র বলছে, ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ বাস্তবায়নাধীন রামপাল ১৩২০ মেগাওয়াট, জাইকার অর্থায়নে মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট, মিরসরাইয়ে চীনের উদ্যোগে নির্মাণাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলমান থাকবে।

প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে আরও কয়েকটি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল হতে পরে। বাতিলের পেছনে জলাবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের সংহতির বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে।

এদিকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের খবরে সাধুবাদ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তবে কয়লার পরিবর্তে পরিবেশ দূষণকারী এলএনজি (রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস) ব্যবহারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনসহ (বাপা) কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠন কয়লা প্রকল্প বাতিলের দাবিতে সাধুবাদ জানালেও বরাবরের মতোই এ ধরনের (কয়লা) সব প্রকল্প বাতিলের দাবি জানিয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অর্থায়ন যোগাড় হয়নি, বাস্তবায়ন অগ্রগতি নেই এমন বেশকিছু প্রকল্প বাতিল করতে বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। এর অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।

প্রকল্প বাতিলের বিষয়ে জানাতে আজ সকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

সূত্র জানায়, এলএনজিতে রূপান্তরিত হতে যাওয়া পাঁচটি বিদ্যুকন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ৫ হাজার ১৭৫ মেগাওয়াট। অন্যদিকে বাতিল হতে যাওয়া পাঁচটি কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ৪ হাজার ১৭১ মেগাওয়াট।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) এক কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএল) প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশ গ্রিন ও ক্লিন এনার্জির প্রসারে আরও নিবেদিত হয়ে কাজ করছে। বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে ৭২২ দশমিক ১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে। এখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পরিবেশবাদীদের ক্রমাগত উদ্বেগ এবং স্থানীয় জনগণের তীব্র আপত্তি ও প্রতিবাদ সত্ত্বেও পরিবেশগত প্রতিপন্ন এলাকা এবং জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় জেলায় সরকার বড়সংখ্যক কয়লাভিত্তিক প্রকল্প স্থাপনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা থেকে ১০টি কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত সরকারের বোধোদয় হিসেবে ধরে নেয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে আমরা বিশ্বাস করতে চাই, প্যারিস চুক্তিসহ ২০৫০ সালের মধ্যে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি বাস্তাবয়নে সরকার অধিকতর সচেষ্ট হবে এবং সংশোধন হতে যাওয়া বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনায় কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র থেকে পুরোপুরি সরে আসার সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেয়া হবে।’

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারি, বেসরকারি ও যৌথ বিনিয়োগের নির্মাণাধীন বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর মধ্যে রামপালে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কেন্দ্রটির বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৫৭ শতাংশ।

কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) কক্সবাজারে মাতারবাড়ী ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির অগ্রগতি ৩৭ শতাংশ। সিপিজিসিবিএলের সঙ্গে জাপানের প্রতিষ্ঠান সুমিটোমো এটি বাস্তবায়ন করছে।

রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিসিএল) ও চীনের নরিনকো ইন্টারন্যাশনালের পটুয়াখালীতে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বাস্তবায়ন অগ্রগতি ২৭ শতাংশ।

এদিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় ওরিয়নের ৫২২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৩ শতাংশ। কেন্দ্রটির জন্য এখনও ‘ফাইনেন্সিয়াল ক্লোজিং’ করতে পারেনি ওরিয়ন। ২০১২ সালের ২৭ জুন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে চুক্তি করে সরকার। একাধিকবার সময় বাড়িয়েও প্রকল্পের অগ্রগতি হয়নি।

ওরিয়নের অরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ঢাকা ৬৩৫ মেগাওয়াট কয়লাভিক্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল কেন্দ্রটি স্থাপনে চুক্তি হয়। ওরিয়ন তারা জিই, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করেছে। বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যানুযায়ী এর কেন্দ্রটির বাস্তাবয়ন অগ্রগতি নেই।

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলমের (এসএস পাওয়ার) চট্টগ্রামে ১ হাজার ২২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অগ্রগতি ৫৯ শতাংশ।

আইসোটেকের বরিশাল ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানির ৩০৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ৪০ শতাংশ।

বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) পায়রায় দ্বিতীয় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কেন্দ্রটির অগ্রগতি ২০ শতাংশ। চীনের সিএমসি’র সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বে কেন্দ্রটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।