লকডাউন : তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পতন শেয়ারবাজারে

একদিনে কমলো ১০০ পয়েন্ট, শেয়ার দর কমেছে ৩০৬টি কোম্পানির

সর্বাত্মক লকডাউনের খবরে আতঙ্কে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল শেয়ারবাজারে ব্যাপক পতন হয়েছে। এই পতন গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ১০০ পয়েন্ট কমেছে। কমেছে অন্যান্য সূচকও। সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন আগের কার্যদিবস থেকে বেড়েছে। ডিএসইর পাশাপাশি অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ২৯৮ পয়েন্ট।

গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০০.১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৯২.৭৩ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৪.৪৩ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩০.৮৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ২৮৭.৪৩ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ১৬৮.৬৩ পয়েন্টে। ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ১ হাজার ৭৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকার। যা আগের দিন থেকে ১৪২ কোটি ২৩ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫৯৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকার।

ডিএসইতে গতকাল ৩৭২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৫৪টির বা ১৪.৫২ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ৩০৬টির বা ৮২.২৬ শতাংশের এবং ১২টির বা ৩.২২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯৭.৩৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩৫৯.৮৬ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ৩১১টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৮টির দর বেড়েছে, কমেছে ২৪১টির আর ১২টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ২১৪ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসইর ব্লক মার্কেটে ৬১টি কোম্পানির ২২০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৩ কোটি ৬৭ লাখ ৫২ হাজার ২৮৫টি শেয়ার ১১৫ বার হাত বদলের মাধ্যমে ২২০ কোটি ৪৪ লাখ ৬২ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৪৪ কোটি ৬৩ লাখ ৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে রেনাটার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ কোটি ৭৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকার ইস্টার্ন ব্যাংকের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৯ কোটি ৬২ লাখ ৮৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মার।

এছাড়া আমরা নেটওয়ার্কসের ৪ কোটি ২০ লাখ টাকার, এসিআইয়ের ১৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকার, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার, এআইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৫ লাখ ১৫ হাজার টাকার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১ কোটি ৭ লাখ ৪২ হাজার টাকার, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ৮ লাখ টাকার, আর্গন ডেনিমসের ১৮ লাখ টাকার, এশিয়া প্যাসিফিক ডেনিমসের ২৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ১৩ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ৪ কোটি ৯৭ লাখ ২৩ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ৪ কোটি ৭২ লাখ ৮৮ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ১ কোটি ৫১ লাখ ৩৯ হাজার টাকার, বসুন্ধরা পেপারের ১৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ২ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার, কপারটেকের ৭ লাখ ৯৯ হাজার টাকার, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৬৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার, ঢাকা ডাইংয়ের ১ কোটি ১১ লাখ ৫৯ হাজার টাকার, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ টাকার, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ফরচুন সুজের ৮ লাখ ৩৫ লাখ ২ হাজার টাকার, ফু-ওয়াং ফুডের ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার, জেনেক্সের ৪৫ লাখ ১৬ হাজার টাকার, গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ৬১ লাখ টাকার, আইসিবি এএমসিএল দ্বিতীয় মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার, আইএফআইসির ৩ কোটি ২০ লাখ টাকার, ইন্ট্রাকোর ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার, কেয়া কসমেটিক্সের ১৬ লাখ টাকার, কাট্টালি টেক্সটাইলের ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকার, লুব-রেফের ৫ লাখ ৪৭ হাজার টাকার, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ৩৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৯৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকার, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ৬ লাখ টাকার, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ৪৮ লাখ ৪২ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলের ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের ৪৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকার, নর্দার্ন ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ১৪ লাখ ৫৯ হাজার টাকার, এনআরবিসি ব্যাংকের ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকার, অলিম্পিকের ৩৪ লাখ ২০ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৫৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ফনিক্স ফাইন্যান্সের ২ কোটি ৫৩ লাখ ৪ হাজার টাকার, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ৩২ লাখ ৫২ হাজার টাকার, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ১১ লাখ ৯৫ হাজার টাকার, প্রাইম ব্যাংকের ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ১ কোটি ২০ লাখ ২ হাজার টাকার, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ১২ লাখ ৬১ হাজার টাকার, রহিম টেক্সটাইলের ৮ লাখ ৬২ হাজার টাকার, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকার, রবি আজিয়াটার ৬২ লাখ ৭৯ হাজার টাকার, রূপালী ইন্স্যুরেন্সের ৫৬ লাখ ৮১ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ১৪ লাখ ২ হাজার টাকার, সোনালী পেপারের ৪ কোটি ১২ লাখ টাকার, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকার, এসএস স্টিলের ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকার, উত্তরা ব্যাংকের ৮১ লাখ ৩১ হাজার টাকার এবং ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের ৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসই’র লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩০৬টির বা ৮২.২৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এদিন রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬৩.৮০ টাকায়। গতকাল লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৫৬.১০ টাকায়। অর্থাৎ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭.৭০ টাকা বা ১২.০৬ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স ডিএসইর টপটের লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সী পার্লের ৯.৮৭ শতাংশ, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ৯.৬০ শতাংশ, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৯.৩২ শতাংশ, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ৮.৮০ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের ৮.৭৪ শতাংশ, প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ৮.৫০ শতাংশ, এস আলমের ৮.৩০ শতাংশ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ৮.২১ শতাংশ এবং সাফকো স্পিনিংয়ের শেয়ার দর ৭.৮৪ শতাংশ কমেছে।

গতকাল ডিএসই’র লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫৪টির বা ১৪.৫২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। এদিন মতিন স্পিনিংয়ের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মতিন স্পিনিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪৭.৮০ টাকায়। গতকাল লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৫২.৫০ টাকায়। অর্থাৎ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪.৭০ টাকা বা ৯.৮৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে মতিন স্পিনিং ডিএসইর টপটের গেইনার তালিকায় শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সোনারগাঁও টেক্সটাইল ৯.৭৫ শতাংশ, অলিম্পিক এক্সেসরিজের ৯.৭০ শতাংশ, আর্গন ডেনিমসের ৯.৬৮ শতাংশ, জাহিন স্পিনিংয়ের ৯.৬৩ শতাংশ, হা-ওয়েল টেক্সটাইলের ৯.৬১ শতাংশ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৯.৫১ শতাংশ, কুইন সাইথ টেক্সটাইলের ৯.০৩ শতাংশ, জাহিন টেক্সটাইলের ৮.১০ শতাংশ এবং শাশা ডেনিমসের শেয়ার দর ৭.০৫ শতাংশ বেড়েছে।

সোমবার, ২৮ জুন ২০২১ , ১৪ আষাঢ় ১৪২৮ ১৬ জিলক্বদ ১৪৪২

লকডাউন : তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পতন শেয়ারবাজারে

একদিনে কমলো ১০০ পয়েন্ট, শেয়ার দর কমেছে ৩০৬টি কোম্পানির

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

সর্বাত্মক লকডাউনের খবরে আতঙ্কে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল শেয়ারবাজারে ব্যাপক পতন হয়েছে। এই পতন গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ১০০ পয়েন্ট কমেছে। কমেছে অন্যান্য সূচকও। সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন আগের কার্যদিবস থেকে বেড়েছে। ডিএসইর পাশাপাশি অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ২৯৮ পয়েন্ট।

গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০০.১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৯২.৭৩ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৪.৪৩ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩০.৮৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ২৮৭.৪৩ পয়েন্টে এবং ২ হাজার ১৬৮.৬৩ পয়েন্টে। ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ১ হাজার ৭৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকার। যা আগের দিন থেকে ১৪২ কোটি ২৩ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫৯৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকার।

ডিএসইতে গতকাল ৩৭২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৫৪টির বা ১৪.৫২ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ৩০৬টির বা ৮২.২৬ শতাংশের এবং ১২টির বা ৩.২২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৯৭.৩৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩৫৯.৮৬ পয়েন্টে। সিএসইতে গতকাল ৩১১টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৮টির দর বেড়েছে, কমেছে ২৪১টির আর ১২টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ২১৪ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসইর ব্লক মার্কেটে ৬১টি কোম্পানির ২২০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর ৩ কোটি ৬৭ লাখ ৫২ হাজার ২৮৫টি শেয়ার ১১৫ বার হাত বদলের মাধ্যমে ২২০ কোটি ৪৪ লাখ ৬২ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৪৪ কোটি ৬৩ লাখ ৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে রেনাটার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৩ কোটি ৭৩ লাখ ৫৭ হাজার টাকার ইস্টার্ন ব্যাংকের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ২৯ কোটি ৬২ লাখ ৮৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মার।

এছাড়া আমরা নেটওয়ার্কসের ৪ কোটি ২০ লাখ টাকার, এসিআইয়ের ১৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকার, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার, এআইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৫ লাখ ১৫ হাজার টাকার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১ কোটি ৭ লাখ ৪২ হাজার টাকার, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ৮ লাখ টাকার, আর্গন ডেনিমসের ১৮ লাখ টাকার, এশিয়া প্যাসিফিক ডেনিমসের ২৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকার, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর ১৩ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ৪ কোটি ৯৭ লাখ ২৩ হাজার টাকার, বিকন ফার্মার ৪ কোটি ৭২ লাখ ৮৮ হাজার টাকার, বেক্সিমকোর ১ কোটি ৫১ লাখ ৩৯ হাজার টাকার, বসুন্ধরা পেপারের ১৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকার, ব্র্যাক ব্যাংকের ২ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার, কপারটেকের ৭ লাখ ৯৯ হাজার টাকার, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ৬৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার, ঢাকা ডাইংয়ের ১ কোটি ১১ লাখ ৫৯ হাজার টাকার, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ টাকার, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ৫৯ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ফরচুন সুজের ৮ লাখ ৩৫ লাখ ২ হাজার টাকার, ফু-ওয়াং ফুডের ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার, জেনেক্সের ৪৫ লাখ ১৬ হাজার টাকার, গ্রিনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ৬১ লাখ টাকার, আইসিবি এএমসিএল দ্বিতীয় মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার, আইএফআইসির ৩ কোটি ২০ লাখ টাকার, ইন্ট্রাকোর ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার, কেয়া কসমেটিক্সের ১৬ লাখ টাকার, কাট্টালি টেক্সটাইলের ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকার, লুব-রেফের ৫ লাখ ৪৭ হাজার টাকার, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ৩৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৯৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকার, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ৬ লাখ টাকার, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ৪৮ লাখ ৪২ হাজার টাকার, ন্যাশনাল ফিড মিলের ৪১ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের ৪৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকার, নর্দার্ন ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের ১৪ লাখ ৫৯ হাজার টাকার, এনআরবিসি ব্যাংকের ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৮৪ হাজার টাকার, অলিম্পিকের ৩৪ লাখ ২০ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৫৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ফনিক্স ফাইন্যান্সের ২ কোটি ৫৩ লাখ ৪ হাজার টাকার, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ৩২ লাখ ৫২ হাজার টাকার, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ১১ লাখ ৯৫ হাজার টাকার, প্রাইম ব্যাংকের ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ১ কোটি ২০ লাখ ২ হাজার টাকার, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ১২ লাখ ৬১ হাজার টাকার, রহিম টেক্সটাইলের ৮ লাখ ৬২ হাজার টাকার, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকার, রবি আজিয়াটার ৬২ লাখ ৭৯ হাজার টাকার, রূপালী ইন্স্যুরেন্সের ৫৬ লাখ ৮১ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ১৪ লাখ ২ হাজার টাকার, সোনালী পেপারের ৪ কোটি ১২ লাখ টাকার, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকার, এসএস স্টিলের ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকার, উত্তরা ব্যাংকের ৮১ লাখ ৩১ হাজার টাকার এবং ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের ৫ লাখ ৭৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

গতকাল ডিএসই’র লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩০৬টির বা ৮২.২৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এদিন রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬৩.৮০ টাকায়। গতকাল লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৫৬.১০ টাকায়। অর্থাৎ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার দর ৭.৭০ টাকা বা ১২.০৬ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স ডিএসইর টপটের লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সী পার্লের ৯.৮৭ শতাংশ, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ৯.৬০ শতাংশ, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের ৯.৩২ শতাংশ, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের ৮.৮০ শতাংশ, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের ৮.৭৪ শতাংশ, প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ৮.৫০ শতাংশ, এস আলমের ৮.৩০ শতাংশ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ৮.২১ শতাংশ এবং সাফকো স্পিনিংয়ের শেয়ার দর ৭.৮৪ শতাংশ কমেছে।

গতকাল ডিএসই’র লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫৪টির বা ১৪.৫২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। এদিন মতিন স্পিনিংয়ের শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ছিল সবচেয়ে বেশি। গত বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মতিন স্পিনিংয়ের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪৭.৮০ টাকায়। গতকাল লেনদেন শেষে এর শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৫২.৫০ টাকায়। অর্থাৎ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪.৭০ টাকা বা ৯.৮৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে মতিন স্পিনিং ডিএসইর টপটের গেইনার তালিকায় শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সোনারগাঁও টেক্সটাইল ৯.৭৫ শতাংশ, অলিম্পিক এক্সেসরিজের ৯.৭০ শতাংশ, আর্গন ডেনিমসের ৯.৬৮ শতাংশ, জাহিন স্পিনিংয়ের ৯.৬৩ শতাংশ, হা-ওয়েল টেক্সটাইলের ৯.৬১ শতাংশ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৯.৫১ শতাংশ, কুইন সাইথ টেক্সটাইলের ৯.০৩ শতাংশ, জাহিন টেক্সটাইলের ৮.১০ শতাংশ এবং শাশা ডেনিমসের শেয়ার দর ৭.০৫ শতাংশ বেড়েছে।