৫০ লাখ পরিবারকে নগদ আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

৫০ লাখ পরিবারকে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল জেলা-উপজেলা ভোক্তা প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২১ এবং ভোক্তা অধিকার শক্তিশালীকরণ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে অনলাইনে এ সেমিনার হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কল্যাণে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান ব্যবসাবান্ধব সরকার দেশের প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, সঠিক মূল্য এবং পর্যাপ্ত মজুত নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মহামারীর সময় প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভোক্তাদের কষ্ট লাগবের জন্য দেশের ৫০ লাখ পরিবারকে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব বলে জানান টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ভোক্তার অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করে বাজার অভিযান জোরদার করা হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একচেটিয়া বাণিজ্য বন্ধ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন গঠন করা হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাদ্য আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। ভোক্তাকে সচেতন করে তোলার জন্য নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

ক্যাব ভোক্তার অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোক্তাদের সচেতন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। বাজারে পণ্যের চাহিদা বেড়েছে, মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। ভোক্তার অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সরকার করোনা মহামারীতে পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য বিভিন্ন আমদানিনির্ভর পণ্যের শুল্ক হ্রাসের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভোক্তাদের ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সহজলভ্য করতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের পণ্য বিক্রয় কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে করোনার মাঝেও সব পণ্যের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রয়েছে।

ভোক্তা অধিকার শক্তিশালীকরণ শীর্ষক সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মিজানুর রহমান। ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য ড. আবদুল আলীম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া।

সোমবার, ২৮ জুন ২০২১ , ১৪ আষাঢ় ১৪২৮ ১৬ জিলক্বদ ১৪৪২

৫০ লাখ পরিবারকে নগদ আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

৫০ লাখ পরিবারকে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল জেলা-উপজেলা ভোক্তা প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২১ এবং ভোক্তা অধিকার শক্তিশালীকরণ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে অনলাইনে এ সেমিনার হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের কল্যাণে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান ব্যবসাবান্ধব সরকার দেশের প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, সঠিক মূল্য এবং পর্যাপ্ত মজুত নিশ্চিত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মহামারীর সময় প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভোক্তাদের কষ্ট লাগবের জন্য দেশের ৫০ লাখ পরিবারকে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদানের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব বলে জানান টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ভোক্তার অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করে বাজার অভিযান জোরদার করা হয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, একচেটিয়া বাণিজ্য বন্ধ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন গঠন করা হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাদ্য আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। ভোক্তাকে সচেতন করে তোলার জন্য নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

ক্যাব ভোক্তার অধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোক্তাদের সচেতন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। বাজারে পণ্যের চাহিদা বেড়েছে, মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। ভোক্তার অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সরকার করোনা মহামারীতে পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য বিভিন্ন আমদানিনির্ভর পণ্যের শুল্ক হ্রাসের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভোক্তাদের ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সহজলভ্য করতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের পণ্য বিক্রয় কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে করোনার মাঝেও সব পণ্যের মজুত, সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রয়েছে।

ভোক্তা অধিকার শক্তিশালীকরণ শীর্ষক সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মিজানুর রহমান। ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য ড. আবদুল আলীম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া।