সুন্দরগঞ্জ-কামারজানি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধস

সুন্দরগঞ্জ-কামারজানি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের শতাধিক স্থানে বৃষ্টিতে ধসে ভাঙন হুমকিতে পড়েছে। আসন্ন বন্যায় বাঁধটি ভেঙ্গে যেতে পারে। বর্তমানে বাঁধটি পাঁচপীর-চিলমারি তিস্তা পিসি গার্ডার সেতুর সংযোগ সড়ক হিসেবে নতুনভাবে মাটি ভরাটের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।

তবে মাটি ভরাটের ক্ষেত্রে মানা হয়নি সরকারি বিধি। বাঁধ সংলগ্ন স্থান হতে ভেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন করে বাঁধটি মোরামত করা হয়েছে। অবিরাম বর্ষণের কারণে বৃষ্টির তোড়ে বাঁধটি বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য খানাখন্দে ভরে গেছে। পাশাপাশি শতাধিক স্থানে ধসে গিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বাঁধটি উপজেলার ডানতীর কামারজানি স্লুইচ গেট হতে উপজেলা পরিষদ ভায়া বামতীর তারাপুরের ঘঘেয়া পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটার।

স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন প্রকার মেরামত, সংস্কার করা হয়নি। ইদানিং তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়ক হিসেবে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দুরত্ব পর্যন্ত মাটি ভরাট করেছে। উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে পূর্বাঞ্চলের ৭টি ইউনিয়নবাসী ওই বাঁধটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন চলাফেরা করে। বাঁধটির ওপর দিয়ে ছোট বড় হাজারও যানবাহন যাওয়া আসা করে প্রতিনিয়ত। বেলকা বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক মিয়া জানান, বৃষ্টি বাদলের সময় বাঁধটির ওপর দিয়ে চলাচল করা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়ে। হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, বাঁধটিতে সঠিকভাবে মাটি ভরাট না করায় বৃষ্টিতে গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। সে কারণে জনসাধারণসহ যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে।

বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তার আগেই মেরামত করা একান্ত প্রয়োজন। তিস্তা সেতু নির্মাণ কাজের দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও নকশাকার ময়নুল ইসলাম জানান, মাটি ভরাটের কাজ প্রায় শেষের দিকে। নিদিষ্ট দূরত্বের মধ্যে হতে মাটি উত্তোলন করে মেরামত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, বিষয়টির তার জানা ছিল না। তদন্ত সাপেক্ষে আশু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

image

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : বৃষ্টিতে তিস্তা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ধসে যাওয়ায় ভাঙন হুমকিতে -সংবাদ

আরও খবর
কাপাসিয়ায় নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ
কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া বাজারের পয়ঃনিষ্কাশন নালা সংস্কার শুরু
গৌরনদীতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবর বাঁধাই করতে গিয়ে বিপাকে প্রশাসন
পাঁচ জেলায় মৃত্যু ১৪, শনাক্ত ৪০২
দাগনভূঞার যুবক মীরসরাইয়ে নিহত
দেড় বছর ধরে করোনা রোগীদের সেবা দিচ্ছেন ৬৫ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী
করোনাবিধি মানছেন না ভীমপুর ইউপি চেয়ারম্যান
সেনবাগে বিয়ের ১৫ দিন পর গৃহবধূর আত্মহত্যা স্বামী আটক
চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ ৩ ডাকাত আটক
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রীর চাপে বাড়ছে করোনার ঝুঁকি
মেয়াদ শেষ হলেও নির্মিত হয়নি দুর্যোগসহনীয় ঘর
সৈয়দপুরে বজ্রপাতে ছাত্রের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার সীমান্তে ১৫ কেজি রুপা জব্দ : ধৃত দুই
তিতাসে সর্প দংশনে ছাত্রের মৃত্যু

সোমবার, ২৮ জুন ২০২১ , ১৪ আষাঢ় ১৪২৮ ১৬ জিলক্বদ ১৪৪২

সুন্দরগঞ্জ-কামারজানি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধস

প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)

image

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : বৃষ্টিতে তিস্তা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ধসে যাওয়ায় ভাঙন হুমকিতে -সংবাদ

সুন্দরগঞ্জ-কামারজানি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের শতাধিক স্থানে বৃষ্টিতে ধসে ভাঙন হুমকিতে পড়েছে। আসন্ন বন্যায় বাঁধটি ভেঙ্গে যেতে পারে। বর্তমানে বাঁধটি পাঁচপীর-চিলমারি তিস্তা পিসি গার্ডার সেতুর সংযোগ সড়ক হিসেবে নতুনভাবে মাটি ভরাটের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।

তবে মাটি ভরাটের ক্ষেত্রে মানা হয়নি সরকারি বিধি। বাঁধ সংলগ্ন স্থান হতে ভেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন করে বাঁধটি মোরামত করা হয়েছে। অবিরাম বর্ষণের কারণে বৃষ্টির তোড়ে বাঁধটি বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য খানাখন্দে ভরে গেছে। পাশাপাশি শতাধিক স্থানে ধসে গিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বাঁধটি উপজেলার ডানতীর কামারজানি স্লুইচ গেট হতে উপজেলা পরিষদ ভায়া বামতীর তারাপুরের ঘঘেয়া পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটার।

স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোন প্রকার মেরামত, সংস্কার করা হয়নি। ইদানিং তিস্তা সেতুর সংযোগ সড়ক হিসেবে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দুরত্ব পর্যন্ত মাটি ভরাট করেছে। উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে পূর্বাঞ্চলের ৭টি ইউনিয়নবাসী ওই বাঁধটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন চলাফেরা করে। বাঁধটির ওপর দিয়ে ছোট বড় হাজারও যানবাহন যাওয়া আসা করে প্রতিনিয়ত। বেলকা বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক মিয়া জানান, বৃষ্টি বাদলের সময় বাঁধটির ওপর দিয়ে চলাচল করা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়ে। হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, বাঁধটিতে সঠিকভাবে মাটি ভরাট না করায় বৃষ্টিতে গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। সে কারণে জনসাধারণসহ যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে।

বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তার আগেই মেরামত করা একান্ত প্রয়োজন। তিস্তা সেতু নির্মাণ কাজের দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও নকশাকার ময়নুল ইসলাম জানান, মাটি ভরাটের কাজ প্রায় শেষের দিকে। নিদিষ্ট দূরত্বের মধ্যে হতে মাটি উত্তোলন করে মেরামত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, বিষয়টির তার জানা ছিল না। তদন্ত সাপেক্ষে আশু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।