প্রত্যেকের গায়ে পেস্ট কালারের টি-শার্ট। বয়স কুড়ি থেকে ২৫ এর মধ্যে। হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে এমন এক ঝাঁক তরুণের নিরন্তর ছোটাছুটি, কেউ অক্সিজেন সিলিন্ডার বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, কেউ রোগীর পালস মাপছেন আবার কেউ রোগীর নাকে অক্সিজেনের নল লাগাচ্ছেন। যেকোন সময় কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে গেলে এমন দৃশ্য চোখে পড়বে। এই যুবকদের কেউ হাসপাতালের কর্মী নন। তবুও গত দেড় বছর ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তার নার্সদের পাশাপাশি এভাবেই করোনা রোগীদের সামলাচ্ছেন। এরা কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের এক ঝাঁক সাহসী কর্মী।
২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীর ভিড় সামলাতে ডাক্তার আর নার্সদের নাজেহাল হবার জোগাড়। এমন সঙ্কটকালে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগ। চিকিৎসক-সেবিকাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাতদিন সমানে কাজ করে চলেছেন এক ঝাঁক ছাত্রলীগ কর্মী। তাদের এই অনন্য দৃষ্টান্ত প্রশংসা কুড়াচ্ছে সবমহলের।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালকে ইতোমধ্যে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের সেবা ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে শয্যার পাশাপাশি রোগীদের ঠাঁই হয়েছে বারান্দা আর করিডোরে। তাদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। এই দুঃসময়ে তাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা। একদিন দুদিন নয়, প্রায় দেড় বছর ধরে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ৬৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী পালা করে এসব কাজ করে চলেছেন।
রাতদিন করোনা ওয়ার্ডে সেবা দিতে গিয়ে অনেকেই এরইমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন এ মারণ ভাইরাসে, আবার বাধা আছে পরিবার থেকেও। তাতেও মনোবল হারাননি এই তরুণ দল।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ জানান, মানবসেবার থেকে আর কোন ভাল কাজ হতে পারে না। ছাত্রলীগ দেশের ক্রান্তিকালে সব সময় মানুষের পাশে থেকেছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে লোকবল সঙ্কটে ভোগা ডাক্তার-নার্সের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। করোনা ওয়ার্ডের চিকিৎসক টপি রানী কুন্ডু বলেন, তাদের পাশাপাশি ছাত্রলীগ কর্মীরা যেভাবে করোনার আক্রান্ত মানুষকে বাঁচাতে লড়াই করে চলেছেন তা নজিরবিহীন। হাসপাতালের লোকবল সঙ্কটকে পুষিয়ে দিচ্ছেন এই ছাত্রলীগ কর্মীরা।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তাপস কুমার সরকার বলেন, ছাত্রলীগের এই দামাল ছেলেগুলো যদি সময়মতো না এগিয়ে আসত তাহলে করোনা রোগ চিকিৎসায় অনেক সঙ্কট তৈরি হতে পারত। তিনি বলেন, করোনাকালে দেশের সব জায়গায় ছাত্রলীগ কর্মীরা এমন ভূমিকা রাখলে চিকিৎসার ক্ষেত্রে সঙ্কট কমে আসবে।
সোমবার, ২৮ জুন ২০২১ , ১৪ আষাঢ় ১৪২৮ ১৬ জিলক্বদ ১৪৪২
জেলা বার্তা পরিবেশক, কুষ্টিয়া
প্রত্যেকের গায়ে পেস্ট কালারের টি-শার্ট। বয়স কুড়ি থেকে ২৫ এর মধ্যে। হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে এমন এক ঝাঁক তরুণের নিরন্তর ছোটাছুটি, কেউ অক্সিজেন সিলিন্ডার বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, কেউ রোগীর পালস মাপছেন আবার কেউ রোগীর নাকে অক্সিজেনের নল লাগাচ্ছেন। যেকোন সময় কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে গেলে এমন দৃশ্য চোখে পড়বে। এই যুবকদের কেউ হাসপাতালের কর্মী নন। তবুও গত দেড় বছর ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তার নার্সদের পাশাপাশি এভাবেই করোনা রোগীদের সামলাচ্ছেন। এরা কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের এক ঝাঁক সাহসী কর্মী।
২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীর ভিড় সামলাতে ডাক্তার আর নার্সদের নাজেহাল হবার জোগাড়। এমন সঙ্কটকালে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগ। চিকিৎসক-সেবিকাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাতদিন সমানে কাজ করে চলেছেন এক ঝাঁক ছাত্রলীগ কর্মী। তাদের এই অনন্য দৃষ্টান্ত প্রশংসা কুড়াচ্ছে সবমহলের।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালকে ইতোমধ্যে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের সেবা ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে শয্যার পাশাপাশি রোগীদের ঠাঁই হয়েছে বারান্দা আর করিডোরে। তাদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। এই দুঃসময়ে তাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা। একদিন দুদিন নয়, প্রায় দেড় বছর ধরে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ৬৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী পালা করে এসব কাজ করে চলেছেন।
রাতদিন করোনা ওয়ার্ডে সেবা দিতে গিয়ে অনেকেই এরইমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন এ মারণ ভাইরাসে, আবার বাধা আছে পরিবার থেকেও। তাতেও মনোবল হারাননি এই তরুণ দল।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ জানান, মানবসেবার থেকে আর কোন ভাল কাজ হতে পারে না। ছাত্রলীগ দেশের ক্রান্তিকালে সব সময় মানুষের পাশে থেকেছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে লোকবল সঙ্কটে ভোগা ডাক্তার-নার্সের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। করোনা ওয়ার্ডের চিকিৎসক টপি রানী কুন্ডু বলেন, তাদের পাশাপাশি ছাত্রলীগ কর্মীরা যেভাবে করোনার আক্রান্ত মানুষকে বাঁচাতে লড়াই করে চলেছেন তা নজিরবিহীন। হাসপাতালের লোকবল সঙ্কটকে পুষিয়ে দিচ্ছেন এই ছাত্রলীগ কর্মীরা।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তাপস কুমার সরকার বলেন, ছাত্রলীগের এই দামাল ছেলেগুলো যদি সময়মতো না এগিয়ে আসত তাহলে করোনা রোগ চিকিৎসায় অনেক সঙ্কট তৈরি হতে পারত। তিনি বলেন, করোনাকালে দেশের সব জায়গায় ছাত্রলীগ কর্মীরা এমন ভূমিকা রাখলে চিকিৎসার ক্ষেত্রে সঙ্কট কমে আসবে।