করোনাবিধি মানছেন না ভীমপুর ইউপি চেয়ারম্যান

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউপি চেয়ারম্যান রামপ্রসাদ ভদ্র মোটেও মানছেননা করোনাবিধি। তার দেখাদেখি ইউনিয়নের অন্য সাধারণ মানুষও মানছেন না। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেননি। বরং জেলা প্রশাসকের জারি করা নির্দেশ তার প্রতি প্রযোজ্য নয় বলে দাবি করেছেন। নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতালের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ভুয়া বলেও দাবি করেছেন এই চেয়ারম্যান।

মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, গত ১৭ জুন ভীমপুর ইউপি চেয়ারম্যান রামপ্রসাদ ভদ্রের ছেলে আপন ভদ্রের (৩০) করোনাভাইরাস পজিটিভ রেজাল্ট আসে। সে সময় ওই চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, কিছুদিন আগে তার অটোরাইস মিলের একজন লেবার অসুস্থ হলে তার ছেলে ওই লেবারকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ হাসপাতালে যান। সেখানে তার টাইফয়েড ধরা পড়ে। কৌতুহলবশত : তারা উভয়েই করোনাভাইরাস টেস্ট করান। টেস্টে ওই লেবারের করোনা নিগেটিভ আসলেও তার ছেলের পজিটিভ আসে। তবে তার ছেলের কোন উপসর্গ নেই। তাই তিনি সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলেছেন। বিষয়টি ভুলও হতে পারে বলে আবারও পরীক্ষা করাবেন। কিন্তু গত ১২ দিনেও নতুন করে তার টেস্ট করাননি। নিয়মানুযায়ী চেয়ারম্যান নিজে বা তার পরিবারের অন্য সদস্যদের কারও টেস্ট করাননি। তিনি কোয়ারেন্টাইনে না থেকে তখন থেকে নিয়মিত তার এজলাশে বসে বিচার করছেন। বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সালিশ দরবার, মরা বাড়ি, নানান অনুষ্ঠান ও তার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কাজে স্বাভাবিকভাবেই অংশ নিচ্ছেন। বিষয়টি জানতে পেরে ইউনিয়ন পরিষদের অন্য সদস্যরা তাকে নিষেধ করলেও তিনি তা মানেননি।

গত শনিবার চেয়ারম্যান রামপ্রসাদ ভদ্র জানান, তার ছেলের করোনা টেস্টের রিপোর্ট সঠিক নয়। তাই লকডাউনের প্রশ্নই ওঠে না। তিনি স্বাভাবিকভাবে সব কাজে অংশ নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরিধান করে ও দূরত্ব বজায় রেখেই করছেন। জেলা প্রশাসকের জারি করা বিধিনিষেধ তার জন্য প্রযোজ্য নয় বলেও তিনি জানান।

যোগাযোগ করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান মিলন বলেন,‘ওই চেয়ারম্যানকে অবশ্যই লকডাউনে থাকতে হবে। আমি তাকে শক্তভাবে বলে দিয়েছি যে, তার ছেলের করোনা পজিটিভ হওয়ায় চেয়ারম্যানের বাড়ির বাইরে আসার কোন সুযোগ নেই। ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কাজগুলো প্যানেল চেয়ারম্যান করবেন।’

আরও খবর
সুন্দরগঞ্জ-কামারজানি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধস
কাপাসিয়ায় নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ
কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া বাজারের পয়ঃনিষ্কাশন নালা সংস্কার শুরু
গৌরনদীতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবর বাঁধাই করতে গিয়ে বিপাকে প্রশাসন
পাঁচ জেলায় মৃত্যু ১৪, শনাক্ত ৪০২
দাগনভূঞার যুবক মীরসরাইয়ে নিহত
দেড় বছর ধরে করোনা রোগীদের সেবা দিচ্ছেন ৬৫ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী
সেনবাগে বিয়ের ১৫ দিন পর গৃহবধূর আত্মহত্যা স্বামী আটক
চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ ৩ ডাকাত আটক
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রীর চাপে বাড়ছে করোনার ঝুঁকি
মেয়াদ শেষ হলেও নির্মিত হয়নি দুর্যোগসহনীয় ঘর
সৈয়দপুরে বজ্রপাতে ছাত্রের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার সীমান্তে ১৫ কেজি রুপা জব্দ : ধৃত দুই
তিতাসে সর্প দংশনে ছাত্রের মৃত্যু

সোমবার, ২৮ জুন ২০২১ , ১৪ আষাঢ় ১৪২৮ ১৬ জিলক্বদ ১৪৪২

করোনাবিধি মানছেন না ভীমপুর ইউপি চেয়ারম্যান

সংবাদদাতা, মহাদেবপুর (নওগাঁ)

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউপি চেয়ারম্যান রামপ্রসাদ ভদ্র মোটেও মানছেননা করোনাবিধি। তার দেখাদেখি ইউনিয়নের অন্য সাধারণ মানুষও মানছেন না। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেননি। বরং জেলা প্রশাসকের জারি করা নির্দেশ তার প্রতি প্রযোজ্য নয় বলে দাবি করেছেন। নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতালের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ভুয়া বলেও দাবি করেছেন এই চেয়ারম্যান।

মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, গত ১৭ জুন ভীমপুর ইউপি চেয়ারম্যান রামপ্রসাদ ভদ্রের ছেলে আপন ভদ্রের (৩০) করোনাভাইরাস পজিটিভ রেজাল্ট আসে। সে সময় ওই চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, কিছুদিন আগে তার অটোরাইস মিলের একজন লেবার অসুস্থ হলে তার ছেলে ওই লেবারকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য নওগাঁ হাসপাতালে যান। সেখানে তার টাইফয়েড ধরা পড়ে। কৌতুহলবশত : তারা উভয়েই করোনাভাইরাস টেস্ট করান। টেস্টে ওই লেবারের করোনা নিগেটিভ আসলেও তার ছেলের পজিটিভ আসে। তবে তার ছেলের কোন উপসর্গ নেই। তাই তিনি সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলেছেন। বিষয়টি ভুলও হতে পারে বলে আবারও পরীক্ষা করাবেন। কিন্তু গত ১২ দিনেও নতুন করে তার টেস্ট করাননি। নিয়মানুযায়ী চেয়ারম্যান নিজে বা তার পরিবারের অন্য সদস্যদের কারও টেস্ট করাননি। তিনি কোয়ারেন্টাইনে না থেকে তখন থেকে নিয়মিত তার এজলাশে বসে বিচার করছেন। বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সালিশ দরবার, মরা বাড়ি, নানান অনুষ্ঠান ও তার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কাজে স্বাভাবিকভাবেই অংশ নিচ্ছেন। বিষয়টি জানতে পেরে ইউনিয়ন পরিষদের অন্য সদস্যরা তাকে নিষেধ করলেও তিনি তা মানেননি।

গত শনিবার চেয়ারম্যান রামপ্রসাদ ভদ্র জানান, তার ছেলের করোনা টেস্টের রিপোর্ট সঠিক নয়। তাই লকডাউনের প্রশ্নই ওঠে না। তিনি স্বাভাবিকভাবে সব কাজে অংশ নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরিধান করে ও দূরত্ব বজায় রেখেই করছেন। জেলা প্রশাসকের জারি করা বিধিনিষেধ তার জন্য প্রযোজ্য নয় বলেও তিনি জানান।

যোগাযোগ করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান মিলন বলেন,‘ওই চেয়ারম্যানকে অবশ্যই লকডাউনে থাকতে হবে। আমি তাকে শক্তভাবে বলে দিয়েছি যে, তার ছেলের করোনা পজিটিভ হওয়ায় চেয়ারম্যানের বাড়ির বাইরে আসার কোন সুযোগ নেই। ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কাজগুলো প্যানেল চেয়ারম্যান করবেন।’