শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রীর চাপে বাড়ছে করোনার ঝুঁকি

কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় শনিবার সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে উভয়মুখী যাত্রী চাপ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ আরও বৃদ্ধি পায়। দূর পাল্লার বাস বন্ধ থাকায় যাত্রীরা মোটরসাইকেল, থ্রি হুইলার, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন হালকা যানবাহনে ৩-৪ গুণ ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছান। এদিনও ঘাট এলাকা বা ফেরিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন লক্ষণই দেখা যায়নি।

জানা যায়, শনিবার সকাল থেকেই শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রীদের চাপ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী চাপ আরও বৃদ্ধি পায়। লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিতেই যাত্রীরা গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দেন। ফলে ঘাট এলাকা বা ফেরিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন লক্ষণ দেখা যায়নি কোথাও। অনেককেই দেখা গেছে মাস্কবিহীন। দূরপাল্লা বা আভ্যন্তরীন রুটের যাত্রীবাহী যানবাহন বন্ধ থাকলেও বরিশাল, খুলনাসহ দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে মোটরসাইকেল, থ্রী হুইলার, ইজিবাইকসহ হালকা যানবাহনে ৩-৪ গুণ ভাড়া গুণে যাত্রীরা বাংলাবাজার ঘাটে পৌছান। অপরদিকে একই চিত্র ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের ক্ষেত্রেও। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে যাত্রীরা হালকা যানবাহনে ৩-৪ গুণ ভাড়া দিয়ে ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিয়েও আবারও ভোগান্তিতেও পড়েন। বাংলাবাজার থেকে ইজিবাইক, সিএনজি, মোটরসাইকেলে বরিশালে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা, গোপালগঞ্জ ৫শ’ টাকা, খুলনা ৭শ’ টাকা, মাদারীপুর ২শ’ টাকা, বাগেরহাট ৬শ ৫০ টাকাসহ প্রতিটি যানবাহনেই কয়েকগুণ ভাড়া আদায় করা হয় যাত্রীদের কাছ থেকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহাসড়ক ও অভ্যন্তরীণ সড়কের বিভিন্ন স্থানে বেড়িকেড দিলেও বিভিন্ন অজুহাতে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন। পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ১৪টি ফেরি চালু থাকায় যাত্রী ও যানবাহনগুলোকে পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে আটকে থাকতে দেখা যায়নি।

ঢাকার গুলিস্তানের রিক্সাচালক আনোয়ার মিয়া বলেন, সোমবার থেকে রাস্তায় রিক্সা নিয়ে বের হতে পারব না। আর রাস্তায় বের হতে না পারলে খাবো কি ? আর ঘর ভাড়াই বা দেবো কিভাবে ? তাই স্ত্রী, ছেলে মেয়েসহ গ্রামে ফিরে যাচ্ছি।

মোহাম্মদপুরের ঝালমুড়ি বিক্রেতা রফিক মাতুব্বর বলেন, করোনার কারনে এমনিতেই মানুষ আগের মতো ঝালমুড়ি খায় না। তার ওপর কঠোর লকডাউনে তো ঘর থেকেই বের হতে পারব না। তাই ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি বরিশাল চলে যাচ্ছি। বাস বন্ধ থাকায় ইজিবাইকে ২শ’ টাকার ভাড়া ৭শ’ টাকা দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে এসে ফেরিতে নদী পার হয়েছি। এখন বরিশাল যাব মোটরসাইকেলে চাচ্ছে ১২শ টাকা ভাড়া।

মংলা থেকে ঢাকাগামী শফিকুর রহমান বলেন, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। সোমবার থেকে অফিস বন্ধ হয়ে যাবে তাই ময়মনসিংহ গ্রামের বাড়ি চলে যাচ্ছি। পথে পথে অনেক ভাড়া দিয়েছি আর ভোগান্তির কোন শেষ নেই।

বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাট সহকারী ম্যানেজার ভজন কুমার সাহা বলেন, সকাল থেকেই ফেরিতে উভয়মুখী যাত্রী চাপ রয়েছে। আমাদের সকল ফেরি চালু থাকায় পারাপারে কোন সমস্যা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা যাত্রীদের বলা হলেও বেশিরভাগ যাত্রীরাই তা মানছেন না। আর অনেকে তো মাক্সও ব্যবহার করছেন না।

আরও খবর
সুন্দরগঞ্জ-কামারজানি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধস
কাপাসিয়ায় নিখোঁজ শিক্ষার্থীর মরদেহ
কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া বাজারের পয়ঃনিষ্কাশন নালা সংস্কার শুরু
গৌরনদীতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবর বাঁধাই করতে গিয়ে বিপাকে প্রশাসন
পাঁচ জেলায় মৃত্যু ১৪, শনাক্ত ৪০২
দাগনভূঞার যুবক মীরসরাইয়ে নিহত
দেড় বছর ধরে করোনা রোগীদের সেবা দিচ্ছেন ৬৫ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী
করোনাবিধি মানছেন না ভীমপুর ইউপি চেয়ারম্যান
সেনবাগে বিয়ের ১৫ দিন পর গৃহবধূর আত্মহত্যা স্বামী আটক
চট্টগ্রামে অস্ত্রসহ ৩ ডাকাত আটক
মেয়াদ শেষ হলেও নির্মিত হয়নি দুর্যোগসহনীয় ঘর
সৈয়দপুরে বজ্রপাতে ছাত্রের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গার সীমান্তে ১৫ কেজি রুপা জব্দ : ধৃত দুই
তিতাসে সর্প দংশনে ছাত্রের মৃত্যু

সোমবার, ২৮ জুন ২০২১ , ১৪ আষাঢ় ১৪২৮ ১৬ জিলক্বদ ১৪৪২

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রীর চাপে বাড়ছে করোনার ঝুঁকি

প্রতিনিধি, শিবচর, (মাদারীপুর)

কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় শনিবার সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে উভয়মুখী যাত্রী চাপ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ আরও বৃদ্ধি পায়। দূর পাল্লার বাস বন্ধ থাকায় যাত্রীরা মোটরসাইকেল, থ্রি হুইলার, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন হালকা যানবাহনে ৩-৪ গুণ ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছান। এদিনও ঘাট এলাকা বা ফেরিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন লক্ষণই দেখা যায়নি।

জানা যায়, শনিবার সকাল থেকেই শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রীদের চাপ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী চাপ আরও বৃদ্ধি পায়। লঞ্চ বন্ধ থাকায় ফেরিতেই যাত্রীরা গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দেন। ফলে ঘাট এলাকা বা ফেরিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন লক্ষণ দেখা যায়নি কোথাও। অনেককেই দেখা গেছে মাস্কবিহীন। দূরপাল্লা বা আভ্যন্তরীন রুটের যাত্রীবাহী যানবাহন বন্ধ থাকলেও বরিশাল, খুলনাসহ দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে মোটরসাইকেল, থ্রী হুইলার, ইজিবাইকসহ হালকা যানবাহনে ৩-৪ গুণ ভাড়া গুণে যাত্রীরা বাংলাবাজার ঘাটে পৌছান। অপরদিকে একই চিত্র ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীদের ক্ষেত্রেও। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে যাত্রীরা হালকা যানবাহনে ৩-৪ গুণ ভাড়া দিয়ে ফেরিতে পদ্মা পাড়ি দিয়েও আবারও ভোগান্তিতেও পড়েন। বাংলাবাজার থেকে ইজিবাইক, সিএনজি, মোটরসাইকেলে বরিশালে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা, গোপালগঞ্জ ৫শ’ টাকা, খুলনা ৭শ’ টাকা, মাদারীপুর ২শ’ টাকা, বাগেরহাট ৬শ ৫০ টাকাসহ প্রতিটি যানবাহনেই কয়েকগুণ ভাড়া আদায় করা হয় যাত্রীদের কাছ থেকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহাসড়ক ও অভ্যন্তরীণ সড়কের বিভিন্ন স্থানে বেড়িকেড দিলেও বিভিন্ন অজুহাতে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন। পণ্যবাহী ট্রাকের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য ব্যক্তিগত যানবাহন চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ১৪টি ফেরি চালু থাকায় যাত্রী ও যানবাহনগুলোকে পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে আটকে থাকতে দেখা যায়নি।

ঢাকার গুলিস্তানের রিক্সাচালক আনোয়ার মিয়া বলেন, সোমবার থেকে রাস্তায় রিক্সা নিয়ে বের হতে পারব না। আর রাস্তায় বের হতে না পারলে খাবো কি ? আর ঘর ভাড়াই বা দেবো কিভাবে ? তাই স্ত্রী, ছেলে মেয়েসহ গ্রামে ফিরে যাচ্ছি।

মোহাম্মদপুরের ঝালমুড়ি বিক্রেতা রফিক মাতুব্বর বলেন, করোনার কারনে এমনিতেই মানুষ আগের মতো ঝালমুড়ি খায় না। তার ওপর কঠোর লকডাউনে তো ঘর থেকেই বের হতে পারব না। তাই ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়ি বরিশাল চলে যাচ্ছি। বাস বন্ধ থাকায় ইজিবাইকে ২শ’ টাকার ভাড়া ৭শ’ টাকা দিয়ে শিমুলিয়া ঘাটে এসে ফেরিতে নদী পার হয়েছি। এখন বরিশাল যাব মোটরসাইকেলে চাচ্ছে ১২শ টাকা ভাড়া।

মংলা থেকে ঢাকাগামী শফিকুর রহমান বলেন, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। সোমবার থেকে অফিস বন্ধ হয়ে যাবে তাই ময়মনসিংহ গ্রামের বাড়ি চলে যাচ্ছি। পথে পথে অনেক ভাড়া দিয়েছি আর ভোগান্তির কোন শেষ নেই।

বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাট সহকারী ম্যানেজার ভজন কুমার সাহা বলেন, সকাল থেকেই ফেরিতে উভয়মুখী যাত্রী চাপ রয়েছে। আমাদের সকল ফেরি চালু থাকায় পারাপারে কোন সমস্যা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা যাত্রীদের বলা হলেও বেশিরভাগ যাত্রীরাই তা মানছেন না। আর অনেকে তো মাক্সও ব্যবহার করছেন না।