তিনদিনের সীমিত লকডাউন আজ থেকে

পণ্য পরিবহন ও রিকশা ছাড়া সারাদেশে সব বন্ধ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আজ থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনের সীমিত লকডাউন। এর ফলে সোমবার সকাল ৬টা থেকে আগামী ১ জুলাই সকাল পর্যন্ত পণ্য পরিবহন ও রিকশা ছাড়া সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বন্ধ থাকবে সব শপিং মল, মার্কেট, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, বিনোদন কেন্দ্র। খাবার বিক্রির জন্য সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ। সীমিত জনবল দিয়ে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস খোলা থাকবে। সেই সব কর্মচারীদের অফিসের ব্যবস্থাপনায় পরিবহন করতে হবে। গতকাল এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এই বিধি-নিষেধের মেয়াদ শেষে ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হবে। কঠোর লকডাউন প্রাথমিকভাবে সাত দিনের জন্য জারি করা হলেও প্রয়োজনে এর মেয়াদ বাড়তে পারে বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বিধি-নিষেধ মানাতে পুলিশ ও বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারী ঠেকাতে গত বছর মার্চের শেষ দিকে সরকার সাধারণ ছুটির আদলে লকডাউন জারি করে, যা মে মাস পর্যন্ত ছিল। এর মধ্যে সংক্রমণের হার কমে যাওয়ায় বিধি-নিষেধও শিথিল করা হয়।

২০২১ সালের শুরুতে সংক্রমণের নিম্নগতিতে বিধি-নিষেধ ছিল না বললেই চলে। এই সময় স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার পরিকল্পনাও সরকার করেছিল। কিন্তু মার্চ মাসের শেষে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ পরিস্থিতি নাজুক করে তুললে এপ্রিলে সারাদেশে লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও তা ছিল আগের বছরের তুলনায় শিথিল।

পরিস্থিতির সাময়িক উন্নতিতে সেই বিধি-নিষেধ শিথিল করা হলেও করোনাভাইরাসে ভারতে উদ্ভুত ডেল্টা ধরনের সংক্রমণে সীমান্ত জেলাগুলোতে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন দিলেও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশে একটানা ১৪ দিন ‘সম্পূর্ণ শাটডাউন’ ঘোষণার সুপারিশ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটি। তার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে কঠোর লকডাউন ঘোষণা দেয় সরকার।

সোমবার, ২৮ জুন ২০২১ , ১৪ আষাঢ় ১৪২৮ ১৬ জিলক্বদ ১৪৪২

তিনদিনের সীমিত লকডাউন আজ থেকে

পণ্য পরিবহন ও রিকশা ছাড়া সারাদেশে সব বন্ধ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আজ থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনের সীমিত লকডাউন। এর ফলে সোমবার সকাল ৬টা থেকে আগামী ১ জুলাই সকাল পর্যন্ত পণ্য পরিবহন ও রিকশা ছাড়া সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বন্ধ থাকবে সব শপিং মল, মার্কেট, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, বিনোদন কেন্দ্র। খাবার বিক্রির জন্য সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ। সীমিত জনবল দিয়ে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস খোলা থাকবে। সেই সব কর্মচারীদের অফিসের ব্যবস্থাপনায় পরিবহন করতে হবে। গতকাল এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এই বিধি-নিষেধের মেয়াদ শেষে ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হবে। কঠোর লকডাউন প্রাথমিকভাবে সাত দিনের জন্য জারি করা হলেও প্রয়োজনে এর মেয়াদ বাড়তে পারে বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বিধি-নিষেধ মানাতে পুলিশ ও বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনীও মাঠে থাকবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারী ঠেকাতে গত বছর মার্চের শেষ দিকে সরকার সাধারণ ছুটির আদলে লকডাউন জারি করে, যা মে মাস পর্যন্ত ছিল। এর মধ্যে সংক্রমণের হার কমে যাওয়ায় বিধি-নিষেধও শিথিল করা হয়।

২০২১ সালের শুরুতে সংক্রমণের নিম্নগতিতে বিধি-নিষেধ ছিল না বললেই চলে। এই সময় স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার পরিকল্পনাও সরকার করেছিল। কিন্তু মার্চ মাসের শেষে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ পরিস্থিতি নাজুক করে তুললে এপ্রিলে সারাদেশে লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও তা ছিল আগের বছরের তুলনায় শিথিল।

পরিস্থিতির সাময়িক উন্নতিতে সেই বিধি-নিষেধ শিথিল করা হলেও করোনাভাইরাসে ভারতে উদ্ভুত ডেল্টা ধরনের সংক্রমণে সীমান্ত জেলাগুলোতে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন দিলেও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশে একটানা ১৪ দিন ‘সম্পূর্ণ শাটডাউন’ ঘোষণার সুপারিশ করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটি। তার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে কঠোর লকডাউন ঘোষণা দেয় সরকার।