কালীগঞ্জে তিস্তা নদীর ভাঙন ঠেকাতে গ্রামবাসীর বাঁধ নির্মাণ

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের মইশামুরী চারমাথা থেকে মুক্তিযোদ্ধা বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তিস্তার ভাঙনরোধে গ্রামবাসী নিজ অর্থায়নে বাঁধ নির্মাণ করেছে।

জনপ্রতিনিধির সাড়া না পেয়ে স্থানীয়রা তাদের অর্থ দিয়ে এ বাঁধ নির্মাণ করে তিস্তার ভাঙনের হাত থেকে কয়েকশ’ পরিবারকে রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এলাকাবাসী জানান, প্রতি বছর তিস্তার ব্যাপক ভাঙনে বসতবাড়িসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও ভাঙনরোধ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকাবাসী এ উদ্যোগ নিয়েছে।

মইশামুরী গ্রামের সেজাব আলী বলেছিলেন, তিস্তার ভাঙনে আমরা নি:স্ব। সরকার রোহিঙ্গাদের থাকার ব্যবস্থা করেছে কিন্তু আমাদের তা নেই। আমাদের সব শেষ। চলতি বর্ষায় আবারও ভাঙন শুরু হলে বাঁধে আশ্রয় নেয়া কয়েকশ’ পরিবারের যাওয়ার কোন জায়গা থাকবে না। তাই বাধ্য হয়ে এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাঁধটি নির্মাণ করলাম।

মইশামুরী গ্রামের হবিবর রহমান (হবি) জানান, ‘প্রাথমিকভাবে বাসিন্দাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ভাঙনরোধে বাঁধ নির্মাণের জন্য বারবার বলা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। কাকিনা ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম সফি বলেন, প্রতি বছরই বন্যায় ওই এলাকার মানুষ বসতবাড়ি ও আবাদি জমি হারিয়ে নি:স্ব হচ্ছে। স্থানীয় এমপি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন করেও কোন লাভ হয়নি। আসন্ন বন্যায় বড় ক্ষতির আশঙ্কা থাকায় এলাকাবাসী বাধ্য হয়েই নিজ অর্থায়নে এক কিলোমিটার এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করেছে। কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ বলেছেন, খবর পেয়ে আমরা ওই বাঁধটি পরিদর্শন করেছি। বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে লিখব। বরাদ্দ পেলে বাঁধটি ভালোভাবে মেরামত করা হবে।

সোমবার, ২৮ জুন ২০২১ , ১৪ আষাঢ় ১৪২৮ ১৬ জিলক্বদ ১৪৪২

কালীগঞ্জে তিস্তা নদীর ভাঙন ঠেকাতে গ্রামবাসীর বাঁধ নির্মাণ

মনিরুজ্জামান সরকার, লালমনিরহাট

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের মইশামুরী চারমাথা থেকে মুক্তিযোদ্ধা বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তিস্তার ভাঙনরোধে গ্রামবাসী নিজ অর্থায়নে বাঁধ নির্মাণ করেছে।

জনপ্রতিনিধির সাড়া না পেয়ে স্থানীয়রা তাদের অর্থ দিয়ে এ বাঁধ নির্মাণ করে তিস্তার ভাঙনের হাত থেকে কয়েকশ’ পরিবারকে রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এলাকাবাসী জানান, প্রতি বছর তিস্তার ব্যাপক ভাঙনে বসতবাড়িসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও ভাঙনরোধ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকাবাসী এ উদ্যোগ নিয়েছে।

মইশামুরী গ্রামের সেজাব আলী বলেছিলেন, তিস্তার ভাঙনে আমরা নি:স্ব। সরকার রোহিঙ্গাদের থাকার ব্যবস্থা করেছে কিন্তু আমাদের তা নেই। আমাদের সব শেষ। চলতি বর্ষায় আবারও ভাঙন শুরু হলে বাঁধে আশ্রয় নেয়া কয়েকশ’ পরিবারের যাওয়ার কোন জায়গা থাকবে না। তাই বাধ্য হয়ে এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাঁধটি নির্মাণ করলাম।

মইশামুরী গ্রামের হবিবর রহমান (হবি) জানান, ‘প্রাথমিকভাবে বাসিন্দাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ভাঙনরোধে বাঁধ নির্মাণের জন্য বারবার বলা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। কাকিনা ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম সফি বলেন, প্রতি বছরই বন্যায় ওই এলাকার মানুষ বসতবাড়ি ও আবাদি জমি হারিয়ে নি:স্ব হচ্ছে। স্থানীয় এমপি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন করেও কোন লাভ হয়নি। আসন্ন বন্যায় বড় ক্ষতির আশঙ্কা থাকায় এলাকাবাসী বাধ্য হয়েই নিজ অর্থায়নে এক কিলোমিটার এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করেছে। কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ বলেছেন, খবর পেয়ে আমরা ওই বাঁধটি পরিদর্শন করেছি। বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়ে লিখব। বরাদ্দ পেলে বাঁধটি ভালোভাবে মেরামত করা হবে।