চট্টগ্রামের পটিযায় ‘লকডাউন’ ভঙ্গের দায়ে গত সোমবার ও মঙ্গলবার পটিয়া ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশ পৃথক পৃথকভাবে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক গাড়ি আটক করেলেও কয়েকটি গাড়ির কাগজপত্র ঠিক থাকায় মামলা দিলেও অধিকাংশ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, লকডাউনের প্রথম দিনে ৩৬ গাড়ি ও ২য় দিনে ২০টি গাড়ি আটক করা হয়েছে বলে দাবি করলেও প্রকৃত পক্ষে শতাধিক গাড়ি আটক করা হয়েছে। প্রতিটি গাড়ি ২ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে কোন ধরনের মামলা ছাড়া গাড়ি ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহা সড়কে সিএনজি, মিনি বাস, থ্রিহুইলার, পিকআপসহ বিভিন্ন পরিবহন চলাচল করে। পটিয়া ট্রাফিকের ইনচার্জ জিল্লুর রহমান পোস্ট অফিস মোড় এলাকা সিএনজি গাড়ি আটক করে। অপরদিকে, পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম মহাসড়কের পটিয়ার মনসার টেক ও ভেল্লাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাড়ি আটক করেন। এর মধ্যে ২টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তবে রোগীদের কথা বিবেচনায় এনে কয়েকটি গাড়ি ছেড়ে দেয়া হয়েছে তারা স্বীকার করেছেন। ট্রাফিক পুলিশ ৮টি গাড়ির বিরুদ্ধে দিয়েছে বলে জানালেও হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম কয়টি গাড়িকে মামলা দিয়েছে বিষয়টি তিনি বলতে পারছে না। ট্রাফিক পুলিশের টিআই জিল্লুর রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে সার্জেন্ট নুরুল আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন এলাকায় গণহারে চাঁদাবাজি পরিবহন শ্রমিকদের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চলাচলকৃত গাড়িগুলোকে মাসিক চুক্তিতে আসার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছে মাসিক চুক্তিতে না আসলে রাস্তা থেকে ধরে মামলা দেয়ার অভিযোগ শ্রমিক নেতাদের। অন্যদিকে হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে গাড়ি আটক করা হরে পুলিশ ফাঁড়িতে না নিয়ে রাস্তায় হিসাব নিকাশ করে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। নাইখান এলাকার করিম নামের একজন সিএনজি চালক জানান, গতকাল গাড়ি আটক করলে হাইওয়ে পুলিশ টাকা দাবি করে পকেট থেকে এক হাজার টাকা বের করে দিলে গাড়ি ছেড়ে দেয়। গাড়ি ছেড়ে দেয়ার একটু পর ইনচার্জ সিরাজ আসেন কথা হয়েছে বলে জানালে চলে যেতে বলেন।
পটিয়া ট্রাফিকের ইনচার্জ জিল্লুর রহমান জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক সীমিত পরিসরের লকডাউন শুরু হয়। যেসব চালক অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন।
বুধবার, ৩০ জুন ২০২১ , ১৬ আষাঢ় ১৪২৮ ১৮ জিলক্বদ ১৪৪২
নজরুল ইসলাম, পটিয়া (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের পটিযায় ‘লকডাউন’ ভঙ্গের দায়ে গত সোমবার ও মঙ্গলবার পটিয়া ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশ পৃথক পৃথকভাবে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক গাড়ি আটক করেলেও কয়েকটি গাড়ির কাগজপত্র ঠিক থাকায় মামলা দিলেও অধিকাংশ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, লকডাউনের প্রথম দিনে ৩৬ গাড়ি ও ২য় দিনে ২০টি গাড়ি আটক করা হয়েছে বলে দাবি করলেও প্রকৃত পক্ষে শতাধিক গাড়ি আটক করা হয়েছে। প্রতিটি গাড়ি ২ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে কোন ধরনের মামলা ছাড়া গাড়ি ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান মহা সড়কে সিএনজি, মিনি বাস, থ্রিহুইলার, পিকআপসহ বিভিন্ন পরিবহন চলাচল করে। পটিয়া ট্রাফিকের ইনচার্জ জিল্লুর রহমান পোস্ট অফিস মোড় এলাকা সিএনজি গাড়ি আটক করে। অপরদিকে, পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম মহাসড়কের পটিয়ার মনসার টেক ও ভেল্লাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাড়ি আটক করেন। এর মধ্যে ২টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তবে রোগীদের কথা বিবেচনায় এনে কয়েকটি গাড়ি ছেড়ে দেয়া হয়েছে তারা স্বীকার করেছেন। ট্রাফিক পুলিশ ৮টি গাড়ির বিরুদ্ধে দিয়েছে বলে জানালেও হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম কয়টি গাড়িকে মামলা দিয়েছে বিষয়টি তিনি বলতে পারছে না। ট্রাফিক পুলিশের টিআই জিল্লুর রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে সার্জেন্ট নুরুল আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন এলাকায় গণহারে চাঁদাবাজি পরিবহন শ্রমিকদের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চলাচলকৃত গাড়িগুলোকে মাসিক চুক্তিতে আসার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছে মাসিক চুক্তিতে না আসলে রাস্তা থেকে ধরে মামলা দেয়ার অভিযোগ শ্রমিক নেতাদের। অন্যদিকে হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে গাড়ি আটক করা হরে পুলিশ ফাঁড়িতে না নিয়ে রাস্তায় হিসাব নিকাশ করে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। নাইখান এলাকার করিম নামের একজন সিএনজি চালক জানান, গতকাল গাড়ি আটক করলে হাইওয়ে পুলিশ টাকা দাবি করে পকেট থেকে এক হাজার টাকা বের করে দিলে গাড়ি ছেড়ে দেয়। গাড়ি ছেড়ে দেয়ার একটু পর ইনচার্জ সিরাজ আসেন কথা হয়েছে বলে জানালে চলে যেতে বলেন।
পটিয়া ট্রাফিকের ইনচার্জ জিল্লুর রহমান জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক সীমিত পরিসরের লকডাউন শুরু হয়। যেসব চালক অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন।