প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কিট অ্যালাউন্স

আবু ফারুক

সরকার কর্তৃক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেয়ায় ভর্তির হার বৃদ্ধির পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া। প্রতি তিন মাস অন্তর বছরে চারবার উপবৃত্তির টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের মা/অভিভাবকদের মোবাইল ফোনের হিসাবে জমা হয়। চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের শেষ দুই কিস্তির উপবৃত্তির সঙ্গে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণানুযায়ী জামা, জুতা ও ব্যাগ কেনার জন্য কিট অ্যালাউন্স বাবদ এককালীন ১০০০ টাকা বিতরণের নিমিত্তে সুবিধাভোগী নির্বাচনের জন্য ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর অনলাইন পোর্টালে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য দাখিল করার কাজ চলছে। চলতি মাসের ২৫ জানুয়ারির মধ্যে তথ্য প্রদানের কাজ শেষ করার কথা।

কিন্তু উপবৃত্তির নীতিমালা অনুসরণপূর্বক সুবিধাভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে একই শ্রেণীতে পুনরাবৃত্তি (রিপিটার) শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির পাশাপাশি কিট অ্যালাউন্স থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, করোনা মহামারীর কারণে বিদ্যালয়ে পাঠদান ও মূল্যায়ন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম বাতিল হওয়ায় ২০২০ শিক্ষাবর্ষের সব শিক্ষার্থীই স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু অনেক অভিভাবক ২০২১ শিক্ষাবর্ষে তাদের সন্তানদের আগের শ্রেণীতেই ভর্তি করান।

তাছাড়া যেসব শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই তারাও উপবৃত্তি ও কিট অ্যালাউন্সের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিংহভাগ শিক্ষার্থী যেমন দরিদ্র পরিবারের, তেমনি করোনার ক্রান্তিকালে নতুন করেও অনেক অভিভাবকের নিয়মিত আয়ের পথ বন্ধ হয়েছে। ফলে, জন্মনিবন্ধন সনদ না থাকা এবং একই শ্রেণীতে পুনরাবৃত্তি হওয়ার দরুন উপবৃত্তির পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ উপহার থেকে বঞ্চিত হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের মনে বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি হবে। এতে করে উপবৃত্তি ও কিট অ্যালাউন্স প্রদানের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিশ্চিতভাবেই ব্যাহত হবে। তাই, কর্তৃপক্ষ সমীপে কোনরূপ শর্তারোপ ছাড়াই বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে কিট অ্যালাউন্স-এর সুবিধা প্রদানের বিনীত অনুরোধ করছি।

[লেখক : সহকারী শিক্ষক,

ভাগ্যকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,

সদর, বান্দরবান।]

বুধবার, ৩০ জুন ২০২১ , ১৬ আষাঢ় ১৪২৮ ১৮ জিলক্বদ ১৪৪২

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য কিট অ্যালাউন্স

আবু ফারুক

সরকার কর্তৃক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেয়ায় ভর্তির হার বৃদ্ধির পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে আনুষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া। প্রতি তিন মাস অন্তর বছরে চারবার উপবৃত্তির টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের মা/অভিভাবকদের মোবাইল ফোনের হিসাবে জমা হয়। চলতি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের শেষ দুই কিস্তির উপবৃত্তির সঙ্গে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণানুযায়ী জামা, জুতা ও ব্যাগ কেনার জন্য কিট অ্যালাউন্স বাবদ এককালীন ১০০০ টাকা বিতরণের নিমিত্তে সুবিধাভোগী নির্বাচনের জন্য ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’-এর অনলাইন পোর্টালে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য দাখিল করার কাজ চলছে। চলতি মাসের ২৫ জানুয়ারির মধ্যে তথ্য প্রদানের কাজ শেষ করার কথা।

কিন্তু উপবৃত্তির নীতিমালা অনুসরণপূর্বক সুবিধাভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে একই শ্রেণীতে পুনরাবৃত্তি (রিপিটার) শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির পাশাপাশি কিট অ্যালাউন্স থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, করোনা মহামারীর কারণে বিদ্যালয়ে পাঠদান ও মূল্যায়ন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম বাতিল হওয়ায় ২০২০ শিক্ষাবর্ষের সব শিক্ষার্থীই স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরবর্তী শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু অনেক অভিভাবক ২০২১ শিক্ষাবর্ষে তাদের সন্তানদের আগের শ্রেণীতেই ভর্তি করান।

তাছাড়া যেসব শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই তারাও উপবৃত্তি ও কিট অ্যালাউন্সের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিংহভাগ শিক্ষার্থী যেমন দরিদ্র পরিবারের, তেমনি করোনার ক্রান্তিকালে নতুন করেও অনেক অভিভাবকের নিয়মিত আয়ের পথ বন্ধ হয়েছে। ফলে, জন্মনিবন্ধন সনদ না থাকা এবং একই শ্রেণীতে পুনরাবৃত্তি হওয়ার দরুন উপবৃত্তির পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ উপহার থেকে বঞ্চিত হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের মনে বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি হবে। এতে করে উপবৃত্তি ও কিট অ্যালাউন্স প্রদানের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিশ্চিতভাবেই ব্যাহত হবে। তাই, কর্তৃপক্ষ সমীপে কোনরূপ শর্তারোপ ছাড়াই বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে কিট অ্যালাউন্স-এর সুবিধা প্রদানের বিনীত অনুরোধ করছি।

[লেখক : সহকারী শিক্ষক,

ভাগ্যকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,

সদর, বান্দরবান।]