রেস্তোরাঁয় ভ্যাট ১০ শতাংশ

দেশের সব এসি ও নন-এসি রেস্তোরাঁর সেবায় ভ্যাটের হার আড়াই থেকে পাঁচ শতাংশ কমেছে। চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছর থেকে নন-এসি রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ এবং এসি রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত বৃহস্পতিবার এনবিআরের মূসক বিভাগের (তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা) দ্বিতীয় সচিব সম্প্রীতি প্রামানিক সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নন-এসি রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং এসি রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণ করা হয়েছে। যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে ভ্যাট ফাঁকি রোধে রেস্তোরাঁগুলোতে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) বা সানোর প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

এর আগে অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি এনবিআরের চেয়ারম্যানের কাছে ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ করার অনুরোধ জানিয়ে আসছিল। তাদের দাবি ছিল, রেস্তোরাঁয় খাবার তৈরিতে যেসব উপকরণ ব্যবহৃত হয়, তার বেশির ভাগ ভ্যাটমুক্ত। ফলে রেয়াত নেয়া যায় না। এতে খুচরা পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের প্রভাব অনেক বেশি হয়। হারটি ৫ শতাংশ করা হলে সবাই ভ্যাট দেবে। ফলে সরকারের রাজস্ব অনেক বাড়বে। ভোক্তারাও সুফল পাবেন।

এনবিআরকে দেয়া চিঠিতে আরও বলা হয়, অন্যান্য পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে রেয়াত সুবিধা পায়। এ কারণে সাধারণভাবে প্রকৃত ভ্যাট দাঁড়ায় ৩ থেকে ৫ শতাংশ। বিপরীতে রেস্তোরাঁ রেয়াত পায় না। ভ্যাট দাঁড়ায় ১৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে রেস্তোরাঁ বড় ধরনের বৈষম্যের শিকার হয়। বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির তথ্যানুসারে, দেশে বর্তমানে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি রেস্তোরাঁ রয়েছে।

শনিবার, ০৩ জুলাই ২০২১ , ১৯ আষাঢ় ১৪২৮ ২১ জিলক্বদ ১৪৪২

রেস্তোরাঁয় ভ্যাট ১০ শতাংশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

দেশের সব এসি ও নন-এসি রেস্তোরাঁর সেবায় ভ্যাটের হার আড়াই থেকে পাঁচ শতাংশ কমেছে। চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছর থেকে নন-এসি রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ এবং এসি রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত বৃহস্পতিবার এনবিআরের মূসক বিভাগের (তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রকল্প ব্যবস্থাপনা) দ্বিতীয় সচিব সম্প্রীতি প্রামানিক সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নন-এসি রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং এসি রেস্তোরাঁর ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণ করা হয়েছে। যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে ভ্যাট ফাঁকি রোধে রেস্তোরাঁগুলোতে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) বা সানোর প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।

এর আগে অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি এনবিআরের চেয়ারম্যানের কাছে ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ করার অনুরোধ জানিয়ে আসছিল। তাদের দাবি ছিল, রেস্তোরাঁয় খাবার তৈরিতে যেসব উপকরণ ব্যবহৃত হয়, তার বেশির ভাগ ভ্যাটমুক্ত। ফলে রেয়াত নেয়া যায় না। এতে খুচরা পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের প্রভাব অনেক বেশি হয়। হারটি ৫ শতাংশ করা হলে সবাই ভ্যাট দেবে। ফলে সরকারের রাজস্ব অনেক বাড়বে। ভোক্তারাও সুফল পাবেন।

এনবিআরকে দেয়া চিঠিতে আরও বলা হয়, অন্যান্য পণ্য বা সেবা সরবরাহের ক্ষেত্রে রেয়াত সুবিধা পায়। এ কারণে সাধারণভাবে প্রকৃত ভ্যাট দাঁড়ায় ৩ থেকে ৫ শতাংশ। বিপরীতে রেস্তোরাঁ রেয়াত পায় না। ভ্যাট দাঁড়ায় ১৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে রেস্তোরাঁ বড় ধরনের বৈষম্যের শিকার হয়। বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির তথ্যানুসারে, দেশে বর্তমানে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৪টি রেস্তোরাঁ রয়েছে।