বিশ্বজুড়ে ব্যবসা পরিচালনাকারী কোম্পানিগুলোর ওপর ন্যূনতম হারে শুল্কারোপের ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে ১৩০টি দেশ। কর ফাঁকি দেয়ার লক্ষ্যে কোম্পানিগুলো কর্তৃক নিজেদের মুনাফা সর্বনি¤œ করহারের দেশগুলোতে স্থানান্তর করা রোধে এমনটা করা হয়েছে। এপি।
ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক ডিজিটাল অর্থনীতিতে নানা চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে এ ধরনের ঘোষণা দেয়া হয়। কোম্পানিগুলো তাদের মুনাফা সীমান্তের বাইরের নানা স্থানে স্থানান্তর করে থাকে। এছাড়া কোম্পানিগুলো অনলাইন থেকে অর্জিত মুনাফা এমন স্থানে স্থানান্তর করে যেখানে তাদের কোন ধরনের কর পরিশোধযোগ্য সদর দপ্তর নেই।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রস্তাব অনুসারে এ চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো, বিশ্বব্যাপী করপোরেট কোম্পানিগুলোর ওপর সর্বনি¤œ ১৫ শতাংশ হারে করারোপ করা। বাইডেন তার অবকাঠামো উন্নয়ন খাত ও পরিশোধিত জ্বালানি পরিকল্পনার জন্য রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির জন্য এমন প্রস্তাব করেছিলেন। এর আগে জি৭ সম্মেলনে এক চুক্তির ব্যাপারে একমত হয়েছিল বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলো। তবে নানা প্রতিবন্ধকতা ও নীতিমালা সংশোধন করে এ করহার বাস্তবায়নে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
প্যারিসভিত্তিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক এ চুক্তির ঘোষণা দেয়া হয়। পাশাপাশি তারা অনলাইনে ব্যবসায় পরিচালনাকারী বিশ্বের বৃহত্তম কোম্পানিগুলোর জন্য তাদের অর্জিত মুনাফার ওপর করহারও নির্ধারণ করে। ফরাসি অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লে মাইরে জানান, এটি শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক কর চুক্তি।
তবে এরই মধ্যে ফ্রান্স একতরফাভাবে ডিজিটাল করারোপ শুরু করেছে। বিশেষ করে মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যামাজন, গুগল ও ফেইসবুকের ওপর এ করারোপ করেছে দেশটি। তবে এ চুক্তির পর ফ্রান্স এসব টেক জায়ান্টের ওপর আরোপিত কর তুলে নিতে সম্মত হয়েছে। দিনটিকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, ‘অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনাকারী বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলো যে স্থানে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করবে সেখানে অন্য সবার মতো তাদেরও সমান হারে কর প্রদান করতে হবে। শুধু বাহ্যিক কার্যালয় থাকার দরুণ ছোট ও মাঝারি আকারের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনলাইন জায়ান্টদের চেয়ে বেশি কর পরিশোধ করতে হবে এমনটির কোন যুক্তি নেই।’
তবে এ করহারের বিরোধিতা করে আয়ারল্যান্ডের অর্থমন্ত্রী জানান, চুক্তির ব্যাপারে আইরিশদের সমর্থন থাকলেও ১৫ শতাংশ ন্যূনতম কর নিয়ে আপত্তি রয়েছে। আইরিশ মন্ত্রী জানান, ১২ দশমিক ৫ শতাংশ ন্যূনতম কর আরোপ একটি সুবিধাজনক হার হতে পারে।
রবিবার, ০৪ জুলাই ২০২১ , ২০ আষাঢ় ১৪২৮ ২২ জিলক্বদ ১৪৪২
সংবাদ ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে ব্যবসা পরিচালনাকারী কোম্পানিগুলোর ওপর ন্যূনতম হারে শুল্কারোপের ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে ১৩০টি দেশ। কর ফাঁকি দেয়ার লক্ষ্যে কোম্পানিগুলো কর্তৃক নিজেদের মুনাফা সর্বনি¤œ করহারের দেশগুলোতে স্থানান্তর করা রোধে এমনটা করা হয়েছে। এপি।
ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক ডিজিটাল অর্থনীতিতে নানা চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে এ ধরনের ঘোষণা দেয়া হয়। কোম্পানিগুলো তাদের মুনাফা সীমান্তের বাইরের নানা স্থানে স্থানান্তর করে থাকে। এছাড়া কোম্পানিগুলো অনলাইন থেকে অর্জিত মুনাফা এমন স্থানে স্থানান্তর করে যেখানে তাদের কোন ধরনের কর পরিশোধযোগ্য সদর দপ্তর নেই।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রস্তাব অনুসারে এ চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো, বিশ্বব্যাপী করপোরেট কোম্পানিগুলোর ওপর সর্বনি¤œ ১৫ শতাংশ হারে করারোপ করা। বাইডেন তার অবকাঠামো উন্নয়ন খাত ও পরিশোধিত জ্বালানি পরিকল্পনার জন্য রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির জন্য এমন প্রস্তাব করেছিলেন। এর আগে জি৭ সম্মেলনে এক চুক্তির ব্যাপারে একমত হয়েছিল বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলো। তবে নানা প্রতিবন্ধকতা ও নীতিমালা সংশোধন করে এ করহার বাস্তবায়নে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
প্যারিসভিত্তিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক এ চুক্তির ঘোষণা দেয়া হয়। পাশাপাশি তারা অনলাইনে ব্যবসায় পরিচালনাকারী বিশ্বের বৃহত্তম কোম্পানিগুলোর জন্য তাদের অর্জিত মুনাফার ওপর করহারও নির্ধারণ করে। ফরাসি অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লে মাইরে জানান, এটি শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক কর চুক্তি।
তবে এরই মধ্যে ফ্রান্স একতরফাভাবে ডিজিটাল করারোপ শুরু করেছে। বিশেষ করে মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যামাজন, গুগল ও ফেইসবুকের ওপর এ করারোপ করেছে দেশটি। তবে এ চুক্তির পর ফ্রান্স এসব টেক জায়ান্টের ওপর আরোপিত কর তুলে নিতে সম্মত হয়েছে। দিনটিকে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন বলেন, ‘অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনাকারী বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলো যে স্থানে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করবে সেখানে অন্য সবার মতো তাদেরও সমান হারে কর প্রদান করতে হবে। শুধু বাহ্যিক কার্যালয় থাকার দরুণ ছোট ও মাঝারি আকারের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনলাইন জায়ান্টদের চেয়ে বেশি কর পরিশোধ করতে হবে এমনটির কোন যুক্তি নেই।’
তবে এ করহারের বিরোধিতা করে আয়ারল্যান্ডের অর্থমন্ত্রী জানান, চুক্তির ব্যাপারে আইরিশদের সমর্থন থাকলেও ১৫ শতাংশ ন্যূনতম কর নিয়ে আপত্তি রয়েছে। আইরিশ মন্ত্রী জানান, ১২ দশমিক ৫ শতাংশ ন্যূনতম কর আরোপ একটি সুবিধাজনক হার হতে পারে।