করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্যাশ সার্ভার পুনর্বহালের দাবি

করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন পরিস্থিতি বিবেচনায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছে ক্যাশ সার্ভার পুনর্বহালের দাবি করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল সংবাদমাধ্যমে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গত ৬ জুন প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা সহজলভ্য ও নিরবচ্ছিন্ন করতে এক দেশ এক রেট ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণায় সর্বনি¤œ গতি ৫ এমবিপিএস ও সর্বোচ্চ মূল্য পাঁচশত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও ব্রডব্যান্ডের সর্বনিম্ন গতি হওয়ার কথা ১০ এমবিপিএস। তবুও এই সরকারি ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে সাধারণ গ্রাহক ও প্রান্তিক পর্যায়ের ব্যবহারকারীরা। কিন্তু এর পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে সাধারণ আইএসপি ও প্রান্তিক পর্যায়ের ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের হাতে থাকা ক্যাশ সার্ভার তুলে নিয়ে মোবাইল অপারেটর, আইআইজি, এনআইএক্স ও ন্যাশনওয়াইড আইএসপিদের কাছে ১২৯টি ক্যাশ সার্ভার রাখার অনুমতি দিয়েছে বিটিআরসি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্তকে চরম বৈষম্য বলে ইতোমধ্যে ক্ষুদ্র আইএসপি ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ জানাচ্ছেন। ইতোমধ্যে সারাদেশ থেকে প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহকসহ ঢাকা শহরের গ্রাহকরাও অভিযোগ করছে, ইন্টারনেটের গতি কমে এখন এক এমবিপিএস বা আরও কম পাওয়া যায়। আবার ক্ষণে ক্ষণে নেটওয়ার্ক চলে যাচ্ছে। অভিযোগগুলো নিয়ে স্থানীয় ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে গ্রাহকদের চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

আরও বলা হয়, বর্তমান করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে নাগরিকদের ঘরে থাকতে বলছে। ঘরে বসে যখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে তার সব জীবন-জীবিকার কাজকর্ম করার কথা। ঠিক তখন ইন্টারনেটের বেহাল দশা নাগরিক জীবনে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি করছে। আসন্ন কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে নাগরিকদের ঘরে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে পশু কেনাকাটার কথা বলছে সরকার। মানসম্পন্ন সেবা ও নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগতির ইন্টারনেট সার্ভারের বিকল্প নেই। তাই সরকারের প্রতি বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ক্যাশ সার্ভার পুনর্বহালের অনুরোধ করছি।

সোমবার, ০৫ জুলাই ২০২১ , ২১ আষাঢ় ১৪২৮ ২৩ জিলক্বদ ১৪৪২

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ক্যাশ সার্ভার পুনর্বহালের দাবি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন পরিস্থিতি বিবেচনায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কাছে ক্যাশ সার্ভার পুনর্বহালের দাবি করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল সংবাদমাধ্যমে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার গত ৬ জুন প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা সহজলভ্য ও নিরবচ্ছিন্ন করতে এক দেশ এক রেট ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণায় সর্বনি¤œ গতি ৫ এমবিপিএস ও সর্বোচ্চ মূল্য পাঁচশত টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদিও ব্রডব্যান্ডের সর্বনিম্ন গতি হওয়ার কথা ১০ এমবিপিএস। তবুও এই সরকারি ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে সাধারণ গ্রাহক ও প্রান্তিক পর্যায়ের ব্যবহারকারীরা। কিন্তু এর পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে সাধারণ আইএসপি ও প্রান্তিক পর্যায়ের ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের হাতে থাকা ক্যাশ সার্ভার তুলে নিয়ে মোবাইল অপারেটর, আইআইজি, এনআইএক্স ও ন্যাশনওয়াইড আইএসপিদের কাছে ১২৯টি ক্যাশ সার্ভার রাখার অনুমতি দিয়েছে বিটিআরসি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্তকে চরম বৈষম্য বলে ইতোমধ্যে ক্ষুদ্র আইএসপি ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ জানাচ্ছেন। ইতোমধ্যে সারাদেশ থেকে প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহকসহ ঢাকা শহরের গ্রাহকরাও অভিযোগ করছে, ইন্টারনেটের গতি কমে এখন এক এমবিপিএস বা আরও কম পাওয়া যায়। আবার ক্ষণে ক্ষণে নেটওয়ার্ক চলে যাচ্ছে। অভিযোগগুলো নিয়ে স্থানীয় ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে গ্রাহকদের চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

আরও বলা হয়, বর্তমান করোনা মহামারী নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে নাগরিকদের ঘরে থাকতে বলছে। ঘরে বসে যখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে তার সব জীবন-জীবিকার কাজকর্ম করার কথা। ঠিক তখন ইন্টারনেটের বেহাল দশা নাগরিক জীবনে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি করছে। আসন্ন কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে নাগরিকদের ঘরে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে পশু কেনাকাটার কথা বলছে সরকার। মানসম্পন্ন সেবা ও নিরবচ্ছিন্ন দ্রুতগতির ইন্টারনেট সার্ভারের বিকল্প নেই। তাই সরকারের প্রতি বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ক্যাশ সার্ভার পুনর্বহালের অনুরোধ করছি।