রাজস্ব আহরণে এলটিইউ’র রেকর্ড

২০২০-২০২১ অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ)। ১৫.৩৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কর বিভাগ গত ৩০ জুন পর্যন্ত রেকর্ড ২৪ হাজার ১১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। গতকাল এলটিইউ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যানুসারে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রাথমিক হিসাব অনুসারে করপোরেট কর এবং ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতাদের কাছ থেকে আদায়কৃত করের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ১১ কোটি টাকা। যেখানে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪ হাজার কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধির হিসাবে যার পরিমাণ ১৫.৩৮ শতাংশ। তার আগের ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে কর আদায়ের পরিমাণ ছিল ২০ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা।

গতকাল এ বিষয়ে এলটিইউ’র একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘বিগত দুই অর্থবছর ধরে এলটিইউ (আয়কর) তার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। সেখানে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে রাজস্বে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। গত অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ে বড় অবদান রেখেছে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ। এলটিইউতে ১০০ কোটি টাকার বেশি কর এসেছে অপ্রদর্শিত অর্থ থেকে। যারা ১০ শতাংশ ফ্ল্যাট রেটে এ সুবিধা নিয়েছেন। এছাড়া করোনা মহামারী বিবেচনায় নিয়ে গত অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ১১.৬৬ শতাংশ কমানো হয়েছিল। সেটিও লক্ষ্যমাত্রা পূরণের বড় কারণ।’

প্রসঙ্গত সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে সরকার অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগের কারণে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ পেয়েছে। এনবিআর থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে ২৫ মে পর্যন্ত ১০ হাজার ৪০৪ জন ব্যক্তি কালো টাকা সাদা করার সুযোগ গ্রহণ করেছেন। এর মাধ্যমে ১৪ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা সাদা হয়েছে। কর হিসেবে এনবিআর পেয়েছে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা।

সোমবার, ০৫ জুলাই ২০২১ , ২১ আষাঢ় ১৪২৮ ২৩ জিলক্বদ ১৪৪২

রাজস্ব আহরণে এলটিইউ’র রেকর্ড

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

২০২০-২০২১ অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ)। ১৫.৩৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কর বিভাগ গত ৩০ জুন পর্যন্ত রেকর্ড ২৪ হাজার ১১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। গতকাল এলটিইউ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যানুসারে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রাথমিক হিসাব অনুসারে করপোরেট কর এবং ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতাদের কাছ থেকে আদায়কৃত করের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ১১ কোটি টাকা। যেখানে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪ হাজার কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধির হিসাবে যার পরিমাণ ১৫.৩৮ শতাংশ। তার আগের ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে কর আদায়ের পরিমাণ ছিল ২০ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা।

গতকাল এ বিষয়ে এলটিইউ’র একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘বিগত দুই অর্থবছর ধরে এলটিইউ (আয়কর) তার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। সেখানে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে রাজস্বে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। গত অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ে বড় অবদান রেখেছে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ। এলটিইউতে ১০০ কোটি টাকার বেশি কর এসেছে অপ্রদর্শিত অর্থ থেকে। যারা ১০ শতাংশ ফ্ল্যাট রেটে এ সুবিধা নিয়েছেন। এছাড়া করোনা মহামারী বিবেচনায় নিয়ে গত অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ১১.৬৬ শতাংশ কমানো হয়েছিল। সেটিও লক্ষ্যমাত্রা পূরণের বড় কারণ।’

প্রসঙ্গত সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে সরকার অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগের কারণে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ পেয়েছে। এনবিআর থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে ২৫ মে পর্যন্ত ১০ হাজার ৪০৪ জন ব্যক্তি কালো টাকা সাদা করার সুযোগ গ্রহণ করেছেন। এর মাধ্যমে ১৪ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা সাদা হয়েছে। কর হিসেবে এনবিআর পেয়েছে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা।