কঠোর লকডাউনেও বাড়ছে মৃত্যু-শনাক্ত ১৬ জেলায় মৃত্যু ৩০ শনাক্ত ১০৮২

চুয়াডাঙ্গায় মৃত্যু

৮ শনাক্ত ১৫২

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গায় একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১৫২ জন। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৮ জন। এরা হলেন সদর উপজেলার কুন্দিপুর গ্রামের আল্লাদী খাতুন(৬০), একই গ্রামের নজরুল উসলাম(৬৫), একই উপজেলার হাসনহাটি গ্রামের তৈয়ব আলি (৪২), নেহালপুর গ্রামের মৃত্যুঞ্জয় হালদার(৭৬), দামুড়হুদা উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের গোলাম হোসেন (৭০),একই উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের নাজমা খাতুন (৪০), চুয়াডাঙ্গা শহরের সাদেক আলি মল্লিকপাড়ার ফরিদা ইয়াসমিন(৩৫) এবং ঝিনাইদহ জেলার বাটি কুমড়া গ্রামের বিপুল(২৫)। গত রোববার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এএসএম ফাতেহ্ আকরাম জানান, জেলায় একদিনে আরো ১৫২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৬৮ জন, আলমডাঙ্গার ২২ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ১৮ জন ও জীবননগর উপজেলার ৪৪ জন। সুস্থ হয়েছেন আরও ৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩৪৬ জন।

খোকসায় মৃত্যু ৩

প্রতিনিধি, খোকসা (কুষ্টিয়া)

কুষ্টিয়ার খোকসায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়ার খোকসায় ১৬ জনের মৃত্যু হলে। খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, বিগত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ৮ জন। এ পর্যন্ত খোকসায় করোনা পজিটিভ হয়েছেন ৪৩৭ জন। এর মধ্যে আরোগ্য লাভ করেছেন ২১১ জন। খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন ৬ জন। অন্যান্যরা হোম আইসোলেসনে আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতরা হলেন খোকসা ইউপির দুধরাজপুর গ্রামের মো. রবিউল আলম(৫৪), খোকসা কালিবাড়িপাড়া গ্রামের মো. আইয়ুব আলী (৫৫), উপজেলার কমলাপুর গ্রামের মো. কাউসার আলী (৬২)।

সোনারগাঁয়ে শনাক্ত ১২

প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নতুন আরও ১২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ জনের পরীক্ষায় ১২ জনের দেহে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পলাশ কুমার সাহা জানান, গত রোববার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ২৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে দেয়া হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সোমবার দুপুরে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, তাদের মধ্যে ১২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের সকলেই প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ। আক্রান্তরা পিরোজপুর, কাঁচপুর, বারদী, জামপুর, সনমান্দী, বৈদ্যেরবাজার ইউপি ও সোনারগাঁও পৌরসভা এলাকার। করোনাভাইরাসে সোনারগাঁয়ে এই পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৬৩ জনে। মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৮ জন এবং জাতীয় গাইডলাইনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুস্থতা লাভ করেছেন ১২১৩ জন।

দোহারে শনাক্ত ১৯

প্রতিনিধি, দোহার (ঢাকা)

ঢাকার দোহার উপজেলায় নতুন করে আরও ১৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দোহার উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট ৯২৯ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ১৫ জন। দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জসিম উদ্দিন করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত রোববার বিকেলে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জসিম উদ্দিন এ তথ্য জানান।

বাগমারায় মৃত্যু ২

প্রতিনিধি, বাগমারা (রাজশাহী)

করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজশাহীর বাগমারায় একইদিনে একজন এনজিও কর্মকর্তাসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে এক নারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে বিনা চিকিৎসায় এবং আরেকজন নিজ বাড়িতে মারা গেছেন।

এরা হলেন ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সাদোপাড়া গ্রামের আতাউরের রহমানে ছেলে মুকুল হোসেন (৫৬) ও শ্রীপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের স্ত্রী রহিমা বেগম (৬৪)। গতকাল সোমবার সকালে তারা মারা যায়। স্বজনদের দেয়া তথ্যে জানা যায়, সোমবার সকালে করোনার উপসর্গ নিয়ে শ্রীপুর গ্রামের রহিমা বেগমকে (৬৪) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। করোনা পরীক্ষার আগে চিকিৎসা করা যাবে না বলে জানিয়ে হাসপাতালের বারান্দায় তাকে রাখা হয়। সকাল নয়টায় ল্যাব টেকনিশিয়ান হাসপাতালে আসলে বৃদ্ধার অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য নমুনা নেয়া হয়। এরপরেই চিকিৎসকদের সামনে বৃদ্ধা ছটফটিয়ে মারা যায়। মারা যাওয়ার পর তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। স্বজনেরা অভিযোগ করেন, রহিমার শ্বাসকষ্ট ছিল। অক্সিজেনের প্রয়োজন থাকার পরেও হাসপাতাল থেকে এর ব্যবস্থা করা হয়নি এবং চিকিৎসায় চিকিৎসকদের চরম অবহেলা ছিল বলে অভিযোগ করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, মৃত্যুর পরেই রহিমা বেগমের করোনা পজিটিভ প্রতিবেদন আসে। তবে চিকিৎসকদের অবহেলার বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

অপরদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে উপজেলার সাদোপাড়া গ্রামের এক এনজিও কর্মকর্তা মুকুল হোসেন (৫৬) মারা যায়। রংপুরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতো। লকডাউন ঘোষণার পর মুকুল বাড়িতে ফিরে আসে। করোনার উপসর্গ দেখা দেয়াতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নমুনা দেয়া হয়।

এরপর পজিটিভ প্রতিবেদন আসার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের পরামর্শে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে উপজেলায় করোনায় চারজনের মৃত্যু হলো। এছাড়াও উপসর্গ নিয়ে আরও ৫০ জন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে তিনজন চিকিৎসাধীন আছে।

সিরাজগঞ্জে শনাক্ত ১১৮

জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জ জেলার সর্বত্র করোনা আক্রান্তের হার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১১৮ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল ৩৮১ জনের। শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৯৭ ভাগ । বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে সোমবার আরও ৬ জন করোনা রোগীকে ভর্তি করা হয়। এদিনে ২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। হাসপাতালে এখন চিকিৎসাধীন রয়েছে ১৮ জন। উপজেলার মধ্যে সিরাজগঞ্জ সদরে ২১ জন, কাজিপুরে ৩২ জন, বেলকুচিতে ৩ জন, কামারখন্দে ১৪ জন, শাহজাদপুরে ৭ জন, রায়গঞ্জ ৭ জন, উল্লাপাড়ায় ২১ জন, তাড়াশে ৪ জন, চৌহালীতে ৯ জন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিরাজগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন রামাপদ রায় ।

নাটোরে মৃত্যু ২ শনাক্ত ১৮৩

প্রতিনিধি, নাটোর

নাটোরে করোনা আক্রান্ত হয়ে দুইজন মারা গেলেও নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১৮৩। গতকাল সোমবার সকালে সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, করোনা আক্রান্ত হয়ে নাটোরে সদর হাসপাতালে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৭৬ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের হার ২৭.০৭ শতাংশ। গতকালের চেয়ে ১ শতাংশ কম। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৪২৮৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছন ১৯৫১ জন। সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি আছেন ৮২ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২২৭৪ জন। মোট মৃত্যু ৬২ জন। এদিকে সকাল থেকেই কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী বিজিবি র‌্যাব পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে। তবে বিগত চারদিনের থেকে আজ সকাল থেকেই লোকজনের বাইরে বের হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা গেছে।

নবাবগঞ্জে শনাক্ত ২২

প্রতিনিধি, নবাবগঞ্জ (ঢাকা)

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে আরও ২২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট ১ হাজার ২ শত ১১ জন। মোট সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ১৮ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ২১ জন। গত রোববার নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কিশোরগঞ্জে শনাক্ত ১০৭

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমানের গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রকাশ করা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এর আগের ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন ১০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সদরেই ৯২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪০ জন। রোববার সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন ১০১টি, পুরনো রোগীদের ২৫টি এবং অন্য জেলায় আক্রান্ত হওয়া একজনের নমুনা পজিটিভ হয়েছে। জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৮৫টি নমুনা পরীক্ষায় এ জেলায় আক্রান্ত হওয়া ৪ জনের এবং অন্য জেলায় আক্রান্ত হওয়া একজনের নমুনা পজিটিভ হয়েছে। এছাড়া করিমগঞ্জ, পাকুন্দিয়া ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯টি নমুনার র‌্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষায় ২টি পজিটিভ হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদরে ৯২ জন, করিমগঞ্জে ৬ জন, কটিয়াদী ও ভৈরবে ৩ জন করে, হোসেনপুরে ২ জন, আর নিকলীতে একজন। সুস্থ হয়েছেন সদরে ১৩ জন, কটিয়াদীতে ৭ জন, পাকুন্দিয়ায় ৫ জন, ভৈরবে ৪ জন, হোসেনপুর ও কুলিয়ারচরে ৩ জন করে, নিকলী ও বাজিতপুরে ২ জন করে, আর তাড়াইলে একজন। রোববার রাত পর্যন্ত জেলায় সর্বশেষ করোনায় চিকিৎসাধীন ছিলেন এক হাজার ২৪ জন। তবে সন্দেহজনক একজনের মৃত্যুর খবরও দেয়া হয়েছে।

কলাপাড়া ৩ দিনে শনাক্তের হার

৯৭ ভাগ

প্রতিনিধি, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা এখন করোনার হটস্পটে পরিনত হয়েছে। গত তিনদিনে কলাপাড়ায় ৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৩ জন। আক্রান্তের হার ৯৭ দশমিক ৫ ভাগ। প্রতিদিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে সর্বত্রই। বরং সকাল থেকে গভীররাত পর্যন্ত প্রশাসনের টহল গাড়ি চলে গেলেই হুমড়ি খেয়ে ঘর থেকে রাস্তায় বের হয়ে যাচ্ছে মানুষ। তবে প্রশাসন বলছে এখন কঠোর হওয়া ছাড়া সংক্রমণ ঠেকানোর কোন উপায় দেখছেন না। আর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলছেন হাসপাতালে জনবল না বাড়ানো হলে এ সংক্রমণ ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে।

কলাপাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী গত রোববার ১৪ জনের পরীক্ষায় ১৩ জন, শনিবার ছয় জনের পরীক্ষায় ছয়জন এবং শুক্রবার ১৪ জনের পরীক্ষায় ১৪ জনই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৪৭৪ জন। সুস্থ হয়েছে ৩৫৮ জন। আর মারা গেছে ১০ জন। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে পাঁচজন।

কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদার বলেন, সোমবার কলাপাড়া হাসপাতালের পাঁচ বেডের করোনা ইউনিটে তিনজন রোগী ভর্তি রয়েছে। হাসপাতালে অক্সিজেন সঙ্কট না থাকলেও বর্তমানে চতুর্থ শ্রেণীর জনবল সঙ্কট রয়েছে বলে জানান।

এদিকে কলাপাড়ায় লকডাউন কার্যকর করতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকলেও মানুষের মধ্যে নেই কোন সচেতনতা। কলাপাড়া পৌরশহরসহ মহিপুর ও কুয়াকাটায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ মানুষকে সচেতনে কাজ করলেও মানুষের জমায়েত ঠেকানো যাচ্ছে না। লকডাউনের গত চারদিনে কলাপাড়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে অন্তত একশজনকে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করলেও সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল গাড়ি চলে গেলেই আবার স্বাভাবিকভাবে দোকান খুলে বসছে ব্যবসায়ীরা।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, লকডাউন কার্যকর ও করোনা সচেতনতায় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তবে করোনার সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে আর কঠোর অবস্থান গ্রহণ ছাড়া উপায় নেই।

মঙ্গলবার, ০৬ জুলাই ২০২১ , ২২ আষাঢ় ১৪২৮ ২৪ জিলক্বদ ১৪৪২

কঠোর লকডাউনেও বাড়ছে মৃত্যু-শনাক্ত ১৬ জেলায় মৃত্যু ৩০ শনাক্ত ১০৮২

চুয়াডাঙ্গায় মৃত্যু

৮ শনাক্ত ১৫২

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গায় একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১৫২ জন। অপরদিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৮ জন। এরা হলেন সদর উপজেলার কুন্দিপুর গ্রামের আল্লাদী খাতুন(৬০), একই গ্রামের নজরুল উসলাম(৬৫), একই উপজেলার হাসনহাটি গ্রামের তৈয়ব আলি (৪২), নেহালপুর গ্রামের মৃত্যুঞ্জয় হালদার(৭৬), দামুড়হুদা উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের গোলাম হোসেন (৭০),একই উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের নাজমা খাতুন (৪০), চুয়াডাঙ্গা শহরের সাদেক আলি মল্লিকপাড়ার ফরিদা ইয়াসমিন(৩৫) এবং ঝিনাইদহ জেলার বাটি কুমড়া গ্রামের বিপুল(২৫)। গত রোববার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এএসএম ফাতেহ্ আকরাম জানান, জেলায় একদিনে আরো ১৫২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৬৮ জন, আলমডাঙ্গার ২২ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ১৮ জন ও জীবননগর উপজেলার ৪৪ জন। সুস্থ হয়েছেন আরও ৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩৪৬ জন।

খোকসায় মৃত্যু ৩

প্রতিনিধি, খোকসা (কুষ্টিয়া)

কুষ্টিয়ার খোকসায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়ার খোকসায় ১৬ জনের মৃত্যু হলে। খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, বিগত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা পজিটিভ হয়েছেন ৮ জন। এ পর্যন্ত খোকসায় করোনা পজিটিভ হয়েছেন ৪৩৭ জন। এর মধ্যে আরোগ্য লাভ করেছেন ২১১ জন। খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন ৬ জন। অন্যান্যরা হোম আইসোলেসনে আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতরা হলেন খোকসা ইউপির দুধরাজপুর গ্রামের মো. রবিউল আলম(৫৪), খোকসা কালিবাড়িপাড়া গ্রামের মো. আইয়ুব আলী (৫৫), উপজেলার কমলাপুর গ্রামের মো. কাউসার আলী (৬২)।

সোনারগাঁয়ে শনাক্ত ১২

প্রতিনিধি, সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নতুন আরও ১২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯ জনের পরীক্ষায় ১২ জনের দেহে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পলাশ কুমার সাহা জানান, গত রোববার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ২৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে দেয়া হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সোমবার দুপুরে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, তাদের মধ্যে ১২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের সকলেই প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ। আক্রান্তরা পিরোজপুর, কাঁচপুর, বারদী, জামপুর, সনমান্দী, বৈদ্যেরবাজার ইউপি ও সোনারগাঁও পৌরসভা এলাকার। করোনাভাইরাসে সোনারগাঁয়ে এই পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৬৩ জনে। মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৮ জন এবং জাতীয় গাইডলাইনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুস্থতা লাভ করেছেন ১২১৩ জন।

দোহারে শনাক্ত ১৯

প্রতিনিধি, দোহার (ঢাকা)

ঢাকার দোহার উপজেলায় নতুন করে আরও ১৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দোহার উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট ৯২৯ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ১৫ জন। দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জসিম উদ্দিন করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত রোববার বিকেলে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জসিম উদ্দিন এ তথ্য জানান।

বাগমারায় মৃত্যু ২

প্রতিনিধি, বাগমারা (রাজশাহী)

করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজশাহীর বাগমারায় একইদিনে একজন এনজিও কর্মকর্তাসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে এক নারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে বিনা চিকিৎসায় এবং আরেকজন নিজ বাড়িতে মারা গেছেন।

এরা হলেন ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সাদোপাড়া গ্রামের আতাউরের রহমানে ছেলে মুকুল হোসেন (৫৬) ও শ্রীপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের স্ত্রী রহিমা বেগম (৬৪)। গতকাল সোমবার সকালে তারা মারা যায়। স্বজনদের দেয়া তথ্যে জানা যায়, সোমবার সকালে করোনার উপসর্গ নিয়ে শ্রীপুর গ্রামের রহিমা বেগমকে (৬৪) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। করোনা পরীক্ষার আগে চিকিৎসা করা যাবে না বলে জানিয়ে হাসপাতালের বারান্দায় তাকে রাখা হয়। সকাল নয়টায় ল্যাব টেকনিশিয়ান হাসপাতালে আসলে বৃদ্ধার অ্যান্টিজেন পরীক্ষার জন্য নমুনা নেয়া হয়। এরপরেই চিকিৎসকদের সামনে বৃদ্ধা ছটফটিয়ে মারা যায়। মারা যাওয়ার পর তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। স্বজনেরা অভিযোগ করেন, রহিমার শ্বাসকষ্ট ছিল। অক্সিজেনের প্রয়োজন থাকার পরেও হাসপাতাল থেকে এর ব্যবস্থা করা হয়নি এবং চিকিৎসায় চিকিৎসকদের চরম অবহেলা ছিল বলে অভিযোগ করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, মৃত্যুর পরেই রহিমা বেগমের করোনা পজিটিভ প্রতিবেদন আসে। তবে চিকিৎসকদের অবহেলার বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

অপরদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে উপজেলার সাদোপাড়া গ্রামের এক এনজিও কর্মকর্তা মুকুল হোসেন (৫৬) মারা যায়। রংপুরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতো। লকডাউন ঘোষণার পর মুকুল বাড়িতে ফিরে আসে। করোনার উপসর্গ দেখা দেয়াতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নমুনা দেয়া হয়।

এরপর পজিটিভ প্রতিবেদন আসার পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের পরামর্শে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে উপজেলায় করোনায় চারজনের মৃত্যু হলো। এছাড়াও উপসর্গ নিয়ে আরও ৫০ জন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে তিনজন চিকিৎসাধীন আছে।

সিরাজগঞ্জে শনাক্ত ১১৮

জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জ জেলার সর্বত্র করোনা আক্রান্তের হার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১১৮ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল ৩৮১ জনের। শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৯৭ ভাগ । বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে সোমবার আরও ৬ জন করোনা রোগীকে ভর্তি করা হয়। এদিনে ২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। হাসপাতালে এখন চিকিৎসাধীন রয়েছে ১৮ জন। উপজেলার মধ্যে সিরাজগঞ্জ সদরে ২১ জন, কাজিপুরে ৩২ জন, বেলকুচিতে ৩ জন, কামারখন্দে ১৪ জন, শাহজাদপুরে ৭ জন, রায়গঞ্জ ৭ জন, উল্লাপাড়ায় ২১ জন, তাড়াশে ৪ জন, চৌহালীতে ৯ জন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিরাজগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন রামাপদ রায় ।

নাটোরে মৃত্যু ২ শনাক্ত ১৮৩

প্রতিনিধি, নাটোর

নাটোরে করোনা আক্রান্ত হয়ে দুইজন মারা গেলেও নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১৮৩। গতকাল সোমবার সকালে সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, করোনা আক্রান্ত হয়ে নাটোরে সদর হাসপাতালে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৭৬ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় সংক্রমণের হার ২৭.০৭ শতাংশ। গতকালের চেয়ে ১ শতাংশ কম। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৪২৮৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছন ১৯৫১ জন। সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি আছেন ৮২ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ২২৭৪ জন। মোট মৃত্যু ৬২ জন। এদিকে সকাল থেকেই কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী বিজিবি র‌্যাব পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছে। তবে বিগত চারদিনের থেকে আজ সকাল থেকেই লোকজনের বাইরে বের হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা গেছে।

নবাবগঞ্জে শনাক্ত ২২

প্রতিনিধি, নবাবগঞ্জ (ঢাকা)

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে আরও ২২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট ১ হাজার ২ শত ১১ জন। মোট সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ১৮ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে ২১ জন। গত রোববার নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. হরগোবিন্দ সরকার অনুপ করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কিশোরগঞ্জে শনাক্ত ১০৭

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমানের গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রকাশ করা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এর আগের ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন ১০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সদরেই ৯২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪০ জন। রোববার সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন ১০১টি, পুরনো রোগীদের ২৫টি এবং অন্য জেলায় আক্রান্ত হওয়া একজনের নমুনা পজিটিভ হয়েছে। জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৮৫টি নমুনা পরীক্ষায় এ জেলায় আক্রান্ত হওয়া ৪ জনের এবং অন্য জেলায় আক্রান্ত হওয়া একজনের নমুনা পজিটিভ হয়েছে। এছাড়া করিমগঞ্জ, পাকুন্দিয়া ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯টি নমুনার র‌্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষায় ২টি পজিটিভ হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদরে ৯২ জন, করিমগঞ্জে ৬ জন, কটিয়াদী ও ভৈরবে ৩ জন করে, হোসেনপুরে ২ জন, আর নিকলীতে একজন। সুস্থ হয়েছেন সদরে ১৩ জন, কটিয়াদীতে ৭ জন, পাকুন্দিয়ায় ৫ জন, ভৈরবে ৪ জন, হোসেনপুর ও কুলিয়ারচরে ৩ জন করে, নিকলী ও বাজিতপুরে ২ জন করে, আর তাড়াইলে একজন। রোববার রাত পর্যন্ত জেলায় সর্বশেষ করোনায় চিকিৎসাধীন ছিলেন এক হাজার ২৪ জন। তবে সন্দেহজনক একজনের মৃত্যুর খবরও দেয়া হয়েছে।

কলাপাড়া ৩ দিনে শনাক্তের হার

৯৭ ভাগ

প্রতিনিধি, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা এখন করোনার হটস্পটে পরিনত হয়েছে। গত তিনদিনে কলাপাড়ায় ৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৩ জন। আক্রান্তের হার ৯৭ দশমিক ৫ ভাগ। প্রতিদিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে সর্বত্রই। বরং সকাল থেকে গভীররাত পর্যন্ত প্রশাসনের টহল গাড়ি চলে গেলেই হুমড়ি খেয়ে ঘর থেকে রাস্তায় বের হয়ে যাচ্ছে মানুষ। তবে প্রশাসন বলছে এখন কঠোর হওয়া ছাড়া সংক্রমণ ঠেকানোর কোন উপায় দেখছেন না। আর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলছেন হাসপাতালে জনবল না বাড়ানো হলে এ সংক্রমণ ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে।

কলাপাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী গত রোববার ১৪ জনের পরীক্ষায় ১৩ জন, শনিবার ছয় জনের পরীক্ষায় ছয়জন এবং শুক্রবার ১৪ জনের পরীক্ষায় ১৪ জনই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৪৭৪ জন। সুস্থ হয়েছে ৩৫৮ জন। আর মারা গেছে ১০ জন। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে পাঁচজন।

কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদার বলেন, সোমবার কলাপাড়া হাসপাতালের পাঁচ বেডের করোনা ইউনিটে তিনজন রোগী ভর্তি রয়েছে। হাসপাতালে অক্সিজেন সঙ্কট না থাকলেও বর্তমানে চতুর্থ শ্রেণীর জনবল সঙ্কট রয়েছে বলে জানান।

এদিকে কলাপাড়ায় লকডাউন কার্যকর করতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকলেও মানুষের মধ্যে নেই কোন সচেতনতা। কলাপাড়া পৌরশহরসহ মহিপুর ও কুয়াকাটায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ মানুষকে সচেতনে কাজ করলেও মানুষের জমায়েত ঠেকানো যাচ্ছে না। লকডাউনের গত চারদিনে কলাপাড়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে অন্তত একশজনকে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করলেও সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল গাড়ি চলে গেলেই আবার স্বাভাবিকভাবে দোকান খুলে বসছে ব্যবসায়ীরা।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, লকডাউন কার্যকর ও করোনা সচেতনতায় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তবে করোনার সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তাতে আর কঠোর অবস্থান গ্রহণ ছাড়া উপায় নেই।